1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নিজের তাগিদেই উদ্ভাবনের নেশা

১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮

পৃথিবীতে এখনো অনেক মানুষ আছেন. যাঁরা উপার্জন নয়, নিজেদের আনন্দের তাগিদেই উদ্ভাবনের নেশায় বুঁদ হয়ে পড়েন৷ স্পেনে এমনই এক ব্যক্তি বালুর উপর লেখার জন্য রোবট তৈরি করে ইউটিউবে জনপ্রিয়তা পাচ্ছেন৷

https://p.dw.com/p/34mtM
রোবট হাতে মিরান্ডাছবি: DW

রঙিন বল নিয়ে হামলা৷ থ্রিডি প্রিন্টার থেকে উকুলেলে বাদ্যযন্ত্র অথবা লাল রংয়ের খেলনা গাড়ি, যা এমনকি কিছুটা সাঁতারও কাটতে পারে৷ স্পেনের উদ্ভাবক ইভান মিরান্ডা এসব বস্তু সৃষ্টি করেছেন৷ দেশের উত্তরে সান সেবাস্টিয়ান শহরের খাঁড়িতে সকাল সাড়ে আটটায় তিনি হাঁটতে বেরিয়েছেন৷ সঙ্গে রয়েছে নিজের ডিজাইন অনুযায়ী হাতে তৈরি নানা ডিভাইস৷ ইভান বলেন, ‘‘এটা এমন এক রোবট, যা আমার নির্দেশ শুনে বালুতে সবকিছু লিখতে পারে৷ ইচ্ছা হয়েছিল বলে এটাকে তৈরি করেছি৷ এমন উদ্ভাবনের হয়তো কোনো অর্থ হয় না, কিন্তু কোনো আইডিয়া মাথায় এলে ও সেটা পছন্দ হলে যেভাবেই হোক না কেন, তা সৃষ্টি করতেই হয়৷’’

তাঁর তৈরি লেখক রোবটের প্রথম পরীক্ষামূলক কাজের ভিডিও করে তিনি সেটি ইউটিউবে আপলোড করেন৷ মাত্র ৪ সপ্তাহের মধ্যে ভিডিওটি ২৩০,০০০-এরও বেশি ক্লিক পেয়েছে৷ প্রথমে রোবট উলটো লিখলেও ইভান মিরান্ডা তাতেই বেশ খুশি হয়েছিলেন৷ বিপরীত দিক থেকে তাকালে লেখাটা মন্দ দেখায় না৷

নির্বিঘ্নে সমুদ্রতটে বালুর উপর লেখালেখি করতে তিনি ভোরেই সেখানে যান৷ তখন ভাটার সময় বালু বেশ মসৃণ থাকে৷ স্নান করার লোক না আসায় তাঁদের পায়ের ছাপও থাকে না৷ ইভান বলেন, ‘‘তোমরা দেখছো, ঠিক সেটাই বলছিলাম৷ সেটি আমার নির্দেশ অনুযায়ী বালুর উপর আঁকছে ও লিখছে৷ অসাধারণ!’’

নিজের উদ্ভাবনগুলিকে নিয়ে সমুদ্রতটে পরীক্ষার কাজে ব্যস্ত না থাকলে ইভান মিরান্ডা শহরের মাঝে নিজের কর্মশালায় থাকেন৷ এখন তিনি নিজের তৈরি রিমোট কনট্রোল ট্যাংক মেরামত করছেন৷ ছোট বয়স থেকেই তিনি ইলেকট্রনিক ও ডিজিটাল খেলনা নিয়ে মেতে রয়েছেন৷ এখন তাঁর বয়স ৩৯৷

আধা দিনের চাকরি থেকে আয়ের পাশাপাশি তিনি ইউটিউবে ভিডিও তুলেও কিছু উপার্জন করেন৷ তাঁর মতে, ইউটিউবার-ই সবচেয়ে ভালো পেশা৷ ইভান মিরান্ডা বলেন, ‘‘এই ট্যাংকটিকে পণ্য হিসেবে আরও উন্নত করে তোলার কথা ভাবলে বিষয়টি বড় সিরিয়াস বা গুরুগম্ভীর হয়ে পড়ে৷ তখন আর কোনো মজাই পাবো না৷ আমার ট্যাংক কিন্তু বিকলও হতে পারে৷ আমি সেটির শব্দ ও গতি আরো বাড়িয়ে দিতে পারি, খেয়ালখুশিমতো আরো উজ্জ্বল লাল রং করতে পারি৷ মনে হয়, মানুষ আমার ভিডিওর মধ্যে এই বিষয়টি পছন্দ করেন৷’’

ইউটিউবে তাঁর প্রায় ৭০,০০০ গ্রাহক রয়েছেন৷ যেসব ভিডিওতে সবকিছু গণ্ডগোল হয়ে যায়, তাঁরা সেগুলিও পছন্দ করেন৷ লেখক রোবট নিয়ে সৈকতে যাবার আগে তিনি পছন্দের শৈলি প্রোগ্রাম করে নেন৷

তাঁর উদ্ভাবনগুলির আয়ু বড় কম৷ নিজের ছোট্ট কর্মশালায় সবকিছু জমা রাখারও জায়গা নেই৷ বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তিনি সেগুলি উপহার হিসেবে বিলিয়ে দেন অথবা ভেঙে ফেলেন৷ বালুর উপর লেখার রোবট তৈরি করতে তাঁর তিন সপ্তাহ সময় লেগেছে৷ এবার তিনি সান সেবাস্টিয়ান শহরের বালুতে বিশেষ এক বার্তা লিখিয়েছেন৷

ক্রিস্টিয়ান ভাইবেৎসান/এসবি