1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নিজামীর বিরুদ্ধে রায়

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা২৪ মার্চ ২০১৪

জামায়াতে ইসলামীর আমীর মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীর বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ মামলার রায় হবে যে কোনো দিন৷ সোমবার ট্রাইব্যুনালে মামলার যুক্তি-তর্ক শেষ হয়েছে৷ বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বে ট্রাইব্যুনাল মামলাটির রায় দেবে৷

https://p.dw.com/p/1BUrh
Bangladesh Matiur Rahman Nizami
ছবি: picture alliance/AP Photo

২০১০ সালের ২৯শে জুন মতিউর রহমান নিজামীকে আলাদা একটি মামলায় গ্রেপ্তার করার পর, একই বছরের ২রা আগস্ট তাঁকে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আবারো গ্রেপ্তার দেখানো হয়৷ তাঁর বিরুদ্ধে একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় হত্যা, লুট, ধর্ষণ, উস্কানি ও সহায়তা, পরিকল্পনা ও ষড়যন্ত্র এবং বুদ্ধিজীবী হত্যার মতো ১৬টি অভিযোগ রয়েছে৷ এ সব ঘটনায় অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে গত বছরের ২৮শে মে নিজামীর বিচার শুরু হয়৷ এই মামলায় আগে একবার যুক্তি-তর্ক শেষ হলেও বিচারক অবসরে যাওয়ায় নতুন করে আবারো যুক্তি-তর্কের সুযোগ দেয়া হয়৷

এই মামলার প্রসিকিউটর মোহাম্মদ আলি জানান, ‘‘তারা নিজামীর বিরুদ্ধে সব অভিযোগ প্রমাণে সক্ষম হয়েছেন৷ তাই তারা নিজামীর সর্বোচ্চ শাস্তি আশা করছেন৷'' অন্যদিকে নিজামীর আইনজীবী তাজুল ইসলাম দাবি করেন, ‘‘প্রসিকিউশন নিজামীর বিরুদ্ধে যে সব অভিযোগ এনেছে, তা ভিত্তিহীন ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত৷ প্রতিহিংসার কারণে তাঁর বিরুদ্ধে এ সব অভিযোগ আনা হয়েছে৷ আশা করি, এ সব অভিযোগ থেকে তিনি খালাস পাবেন৷''

নিজামীর বাড়ি পাবনার সাথিয়া এলাকায়৷ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক জানান, নিজামীর বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হলো – একাত্তরের ডিসেম্বরে পাবনার বেড়া থানার বৃশালিকা গ্রাম ঘেরাও করে ৭০ জনকে গুলি করে হত্যা ও ৭২টি বাড়িতে আগুন দেয়া, ডেমরা ও বাউশগাড়ী গ্রামে ৪৫০ জনকে গুলি করে হত্যা, সাঁথিয়া উপজেলার করমচা গ্রামে মন্দিরের সামনে লাইনে দাঁড় করিয়ে গুলি করে হত্যা, ধর্ষণ ও লুটপাটের ঘটনা৷ এছাড়া বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের সঙ্গেও তিনি জড়িত ছিলেন৷

তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশে বলা হয়, ১৯৪৩ সালে পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার মোহাম্মদপুর প্রামে জন্ম নেয়া নিজামী ১৯৬৩ সালে কামিল পাস করেন৷ জামায়াতের তখনকার ছাত্রসংগঠন ইসলামী ছাত্রসংঘের পূর্ব পাকিস্তান শাখার প্রধান হিসাবে একাত্তরে তিনি ছিলেন আলবদর বাহিনীরও প্রধান৷ আলবদর বাহিনী একাত্তরে বুদ্ধিজীবী হত্যায় নেতৃত্ব দেয়৷

নিজামীর বিরুদ্ধে রায়ের মধ্য দিয়ে একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার দশম রায় হবে৷ এর আগের নয়টি মামলায় জামায়াতের সাবেক ও বর্তমান আটজন এবং বিএনপির দুই নেতাকে দণ্ড দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য