1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কোণঠাসা সৌদি আরব

৯ অক্টোবর ২০১৮

ইস্তানবুলে সৌদি দূতাবাসে সাংবাদিক জামাল খাশগজি নিখোঁজ হবার পর সৌদি আরবের উপর চাপ বাড়ছে৷ তুরস্কের পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের ডাক দিয়েছে৷

https://p.dw.com/p/36CjP
বিক্ষুব্ধ সৌদি সাংবাদিক জামাল খাশগজি
ছবি: picture-alliance/dpa/H. Jamali

সৌদি আরবে রাজনৈতিক সমালোচনার পরিণাম যে মারাত্মক হতে পারে, সে বিষয়ে কোনো দ্বন্দ্ব নেই৷ দেশে থেকে এমন দুঃসাহস দেখানোর কথা কেউ ভাবতেই পারে না৷ তবে বিদেশে নির্বাসনের জীবন বেছে নিয়ে সৌদি রাজপরিবারের কড়া সমালোচনা করে আসছেন অনেকে৷ তুরস্কে বসবাসরত ৫৯ বছর বয়সি সৌদি সাংবাদিক জামাল খাশগজি তাঁদেরই একজন৷ গত বছর থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছিলেন তিনি৷ নিজের তুর্কি বাগদত্তাকে বিয়ে করতে তাঁর কিছু নথিপত্রের প্রয়োজন পড়েছিল৷ সেগুলি সংগ্রহ করতে গত সপ্তাহে মঙ্গলবার তিনি ইস্তানবুলে সৌদি দূতাবাসে গিয়েছিলেন৷ তারপর থেকেই নিখোঁজ হয়েছেন তিনি৷ সৌদি কর্তৃপক্ষ এখনো এই ঘটনার বিশ্বাসযোগ্য ব্যাখ্যা দিতে পারছে না৷

দূতাবাস প্রাঙ্গনেই খাশগজিকে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করছে তুরস্কের কিছু মহল৷ এমন অবস্থায় তুরস্কের সরকার সৌদি আরবের উপর চাপ সৃষ্টি করছে৷ খাশগজি নিরাপদে দূতাবাস প্রাঙ্গণ ত্যাগ করেছিলেন, এমন প্রমাণ দেখতে চান তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেচেপ তাইয়িপ এর্দোয়ান৷ তাঁর মতে, দূতাবাস প্রাঙ্গণে অসংখ্য ক্যামেরা আছে যার সাহায্যে সৌদি কর্তৃপক্ষ এমন প্রমাণ পেশ করতে পারে৷ তুর্কি উপ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সেদেত ওনাল আঙ্কারায় সৌদি রাষ্ট্রদূতকে পর পর দু'বার তলব করেছেন বলে দাবি করছে রাষ্ট্রীয় আনাদোলু সংবাদ সংস্থা৷

এবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও সৌদি আরবের উপর সত্য উন্মোচনের জন্য চাপ সৃষ্টি করছে৷ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সোমবার বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন৷ উল্লেখ্য, তিনি এতকাল সৌদি আরবের কোনো বিতর্কিত পদক্ষেপ নিয়ে মুখ খোলেননি৷ তারপর মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত ও স্বচ্ছভাবে তার ফলাফল প্রকাশের ডাক দিয়েছেন৷ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা সৌদি আরবের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছেন৷

প্রবল আন্তর্জাতিক চাপ সত্ত্বেও সৌদি আরব খাশগজির হত্যার অভিযোগ ভিত্তিহীন হিসেবে উড়িয়ে দিয়েছে৷ সৌদি যুবরাজ মহম্মদ বিন সালমান ব্লুমবার্গকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, খাশগজি আদৌ ইস্তানবুলে সৌদি কনসালেট ভবনে ছিলেন না৷ তদন্তের স্বার্থে সৌদি আরব তুরস্কের কর্তৃপক্ষকে সেখানে প্রবেশের অনুমতি দিতেও প্রস্তুত৷

এক বিক্ষুব্ধ সাংবাদিকের অন্তর্ধানকে ঘিরে আন্তর্জাতিক স্তরে এমন তীব্র প্রতিক্রিয়া সৌদি আরবকে বেশ কোণঠাসা করে ফেলছে৷ সাম্প্রতিক কালে বিক্ষুব্ধদের প্রতি সে দেশের কড়া পদক্ষেপের জোরালো সমালোচনা শোনা গেছে৷ তুরস্কের সঙ্গে সে দেশের সম্পর্কের অবনতির ফলে খাশগজির অন্তর্ধানের বিষয়টি বাড়তি গুরুত্ব পাচ্ছে৷ ট্রাম্প প্রশাসন এতকাল সৌদি রাজপরিবারের প্রতি প্রায় অন্ধ সমর্থন দেখিয়ে এলেও এই বিষয়টিকে কেন্দ্র করে সম্পর্কে কিছুটা চিড় ধরছে৷

এসবি/এসিবি (ডিপিএ, রয়টার্স)