1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নিউজিল্যান্ডে হামলার ‘প্রতিশোধ' নিতে শ্রীলঙ্কায় হামলা

২৩ এপ্রিল ২০১৯

 তথাকথিত জঙ্গি গোষ্ঠী ‘ইসলামিক স্টেট' শ্রীলঙ্কায় হামলার দায় স্বীকার করেছে৷ শ্রীলঙ্কা সরকার মনে করে, নিউজিল্যান্ডের ক্রাইসচার্চে মসজিদে হামলার ‘প্রতিশোধ নিতে' এ হামলা চালানো হয়েছে৷ এ হামলায় অন্তত ৩২১ জন প্রাণ হারিয়েছেন৷

https://p.dw.com/p/3HHnp
Sri Lanka Negombo Zerstörte St. Sebastian Kirche nach Anschlag
ছবি: Reuters/A. Perawongmetha

শ্রীলঙ্কায় সপ্তাহান্তে সিরিজ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে এখন অবধি চল্লিশ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে৷ গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে আত্মঘাতী হামলাকারীদের বহনকারী গাড়ির চালকও রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে৷ এছাড়া একটি বাড়ির মালিককেও আটক করা হয়েছে, যেখানে সন্দেহভাজন কয়েকজন হামলাকারী বসবাস করত বলে সন্দেহ করা হচ্ছে৷

ইস্টার সানডেতে প্রায় একই সময়ে রাজধানী কলম্বোর তিনটি বিলাসবহুল হোটেল এবং একটি গির্জায় ও অন্য দু'টি শহরে গির্জায় সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়৷ বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশটির কর্তৃপক্ষ এসব হামলার পেছনে ‘ন্যাশনাল তৌফিক জামাত' (এনটিজে) নামের একটি স্থানীয় ইসলামিস্ট গ্রুপ জড়িত বলে মনে করছে৷

তবে মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে আন্তর্জাতিক জঙ্গি গোষ্ঠী ‘ইসলামিক স্টেট' (আইএস)  শ্রীলঙ্কার হামলার দায় স্বীকার করেছে৷ ‘‘শ্রীলঙ্কায় মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোট এবং খ্রীষ্টানদের লক্ষ্য করে গত পরশু যারা হামলা চালিয়েছে, তারা ইসলামিক স্টেটের যোদ্ধা,'' লেখা হয়েছে বিবৃতিতে৷

শ্রীলঙ্কায় হামলায় নিহত ৩২১ জনের মধ্যে বেশ কয়েকজন বিদেশি রয়েছেন৷ ২০০১ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে টুইন টাওয়ারে সন্ত্রাসী হামলার পর থেকে এখন অবধি এটাই সবচেয়ে বড় সন্ত্রাসী হামলা৷ শ্রীলঙ্কা সরকার মনে করছে, কিছুদিন আগে  নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে হামলার ‘প্রতিশোধ' নিতে সন্ত্রাসীরা সপ্তাহান্তে দেশটিতে হামলা চালিয়েছে৷ আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলো স্থানীয়দের এই হামলা চালাতে সহায়তা করেছে বলেও মনে করছে দেশটি৷ এরকম হামলা হতে পারে বলে বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থা শ্রীলঙ্কাকে আগেই সতর্ক করেছিল৷ কিন্তু তা সত্ত্বেও দেশটি তা রুখতে পারেনি৷ ক্রাইস্টচার্চে হামলায় বাংলাদেশিসহ অন্তত পঞ্চাশ ব্যক্তি নিহত হয়েছিলেন৷ 

উল্লেখ্য, মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোটের সহায়তায় সিরিয়ায় কুর্দি বাহিনীর হাতে ‘ইসলামিক স্টেটের' তথাকথিত খেলাফতের পতনের একমাস পর শ্রীলঙ্কায় হামলার দায় স্বীকার করলো জঙ্গি গোষ্ঠীটি৷ তবে, দখলকৃত এলাকা হারালেও জঙ্গি গোষ্ঠীটি এখনো নানা স্থানে হামলা চালানো অব্যাহত রেখেছে৷ আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে শনিবারের এক হামলারও দায় স্বীকার করেছে গোষ্ঠীটি৷

এআই/এসিবি (এএফপি, এপি, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য