নিউ ইয়র্কের মানুষদের কাছে বার্লিন কেন ‘হোম’?
জার্মানির রাজধানী বার্লিনে ২০ হাজার অ্যামেরিকানের বসবাস৷ যাদের মধ্যে অনেকেই নিউইয়র্ক থেকে এসেছেন৷ তারা কেন বার্লিনকে পছন্দ করেন? বার্লিনে এমন কী রয়েছে, যা নিউ ইয়র্কে নেই?
বার্লিনের প্রেমে পড়ে যাই
‘‘প্রাচীর পতনের পর বার্লিনের প্রতি খুবই আকৃষ্ট হয়ে যাই৷ বার্লিনের সবকিছু তখন ছিলো খুবই এলেমোলো কিন্তু আমার সেটাই ভালো লেগে যায়৷ তাই ১৯৯০-এর দশকে বার্লিনে থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেই৷’’ একথা জানান মার্কিন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব Howard Katz .
আমি ফিরে যেতে চাইনা
‘‘নিউ ইয়র্ক বিশ্বের সবচেয়ে আকর্ষণীয় শহর হলেও বার্লিন শহরটি আমার খুবই পছন্দ হয়ে গেছে৷ ফিরে যেতে চাইনা৷’’ এমন অনুভূতির কথাই জানান জুনের প্রথমদিকে ইউরোপ সফরকালে বার্লিনে আসা ‘চ্যাপো ট্র্যাপ হাউস ’Chapo Trap House-এর মার্কিন পডকাস্ট হোস্ট৷
জীবন অনেক আয়েসি
বার্লিন এক ধরনের নরম ‘বালিশ’ যাতে বিশ্রাম নেয়া যায়৷ মোটেই নিউ ইয়র্কের মতো অস্থির নয় বার্লিন৷ নিউ ইয়র্কে সবকিছুতেই প্রচণ্ড তাড়াহুড়ো , মানুষের মধ্যে কেমন এক অস্থিরতা কাজ করে সারাক্ষণ৷ বার্লিনের জীবনযাত্রায় মানুষের মানসিক চাপকে দূরে রাখা সম্ভব৷ নিউ ইয়র্কের জীবনযাত্রা উল্টো, সেখানে ২৪ ঘন্টাই সময়ের সাথে যুদ্ধ করতে হয়৷ এই মন্তব্যটি করেন নিউ ইয়র্কের সৃজনশীল পরিচালক Alana Range যিনি বার্লিনেই থাকেন৷
রাতের বার্লিন
নাইটলাইফের জন্য অনেক অভিবাসীর কাছে বার্লিন পছন্দের শহর৷
দারুণ অনুভূতি
চ্যাপো ট্র্যাপ হাউস বার্লিনে লাইভ পডকাস্টে নিজেদের ইতিবাচক দিকগুলি তুলে ধরে৷ তারা খুবই আগ্রহের সঙ্গে তা করেন আর নিজেদের অজান্তেই তাদের অনেক শক্তিশালী মনে হয়েছে৷
বার্লিনের ইমেজ
অনেক আন্তর্জাতিক শিল্পী ও বুদ্ধিজীবী বার্লিনে বসবাস করতেন৷ তাদের মধ্যে ইগগী পপ, ডেভিড বোভি, সুসান সন্টাগ বা ন্যান গোল্ডিন৷ তাদের উপস্থিতি বার্লিন এর ইমেজ জনসাধারণের কাছে সুসংহত করে তুলতে সাহায্য করেছে৷
বার্লিনে সকলেই স্বচ্ছন্দ
বিধ্বস্ত, বিভক্ত অতীত ইতিহাস সত্ত্বেও শুধু অ্যামেরিকান নয়, বহু বিদেশীকেও আকৃষ্ট করে বার্লিন শহর৷ বার্লিন এমন একটি শহর যেখানে বিদেশিরাও নিজের একটি জায়গা খুঁজে পায় এবং স্বচ্ছন্দ বোধ করে৷ আর এসব কথাই তুলে ধরেছেন ডাব্লিউডির লেখক স্টুয়ার্ট ব্রুন তার ‘নির্বাসিত শহর’ বইটিতে৷
রাজনীতিকদের আশ্রয়স্হল
বার্লিন শহর এখনও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিকদের আশ্রয়স্হল হিসেবে বিবেচিত হয়৷