1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সোশ্যাল মিডিয়া

১০ ডিসেম্বর ২০১২

টুডেএফএম রেডিও’র দুই পরিবেশক মেল গ্রেইগ এবং মাইকেল ক্রিস্টিয়ান কান্নাভেজা গলায় বললেন, নার্স জাসিন্থা সালদানহা’র সম্ভাব্য আত্মহত্যায় তাঁরা বিধ্বস্ত, মর্মাহত৷ কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়া এখনও তাঁদের উপর খড়গহস্ত৷

https://p.dw.com/p/16zFD
epa03500176 (FILE) An undated handout photo made available by Southern Cross Austereo on 06 December 2012 shows the Sydney, Australia, radio station 2DayFM presenters Mel Greig (L) and Michael Christian. Confidential details about the Duchess of Cambridge's health have been revealed by a nurse who fell victim to a hoax call. Reports state on 07 December 2012 that a nurse acting as receptionist at the private hospital who took the call has died in a suspected suicide. EPA/SOUTHERN CROSS AUSTEREO AUSTRALIA AND NEW ZEALAND OUT LOW RESOLUTION IMAGE HANDOUT EDITORIAL USE ONLY HANDOUT EDITORIAL USE ONLY +++(c) dpa - Bildfunk+++
Australien Moderatoren vom Sender 2DayFMছবি: picture-alliance/dpa

রেডিও শো করার নামে একটি ঠাট্টা ফোনকল থেকে যে এ'রকম মর্মান্তিক ট্র্যাজেডির সৃষ্টি হতে পারে, সেটা যারা ঐ ঠাট্টাটি করেছে অথবা যারা পরে সেই ঠাট্টাকে ইন্টারনেটে লক্ষবার উপভোগ করেছে, তাদের কারোরই জানা ছিল না৷

এক সাধারণ নার্স, দুই সন্তানের জননী, ব্রিটেনের এক সন্তানসম্ভবা রাজকুমারীর মর্নিং সিকনেস সংক্রান্ত একটি খেলো ঠাট্টার জন্য প্রাণ দিলেন – অথবা নিজের প্রাণ নিলেন, যদিও সেটা অটোপ্সির পরেই সঠিকভাবে জানা যাবে৷

জাসিন্থাকে বোকা বানানো হল রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ এবং প্রিন্স চার্লসের অতি খেলো অনুকরণের মাধ্যমে৷ তাঁর অপরিচিত কিংবা আধা-পরিচিত একটি কিংবা একাধিক জগত থেকে তাঁকে হঠাৎ টেনে এনে, তাঁর চেনা, বাঁধা গণ্ডিগুলি থেকে অনেক দূরে নিয়ে গিয়ে তাঁকে দিশেহারা করে দেওয়া হল৷ তিনি ঠাট্টার ফোনকলটি ডাচেস অফ কেম্ব্রিজ যে বিভাগে রয়েছেন, সেখানে ট্রান্সফার করে দিলেন৷ এতে যে দোষ কিংবা লজ্জার কিছু নেই, আর যদি থেকেও থাকে তবে সেটা তাঁর নয়, সেলেব্রিটি পাগল, প্রচারলুব্ধ, মিডিয়া-পরিচালিত আধুনিক পৃথিবীর – জাসিন্থাকে সে'কথা বলে দেবার মতো কিছু লোক অন্তত থাকা উচিত ছিল৷

Britain's Prince William, Duke of Cambridge (L), and his wife Catherine, Duchess of Cambridge (R), attend a reception during a visit to Centrepoint's Camberwell Foyer in London on December 21, 2011. The national charity, Centrepoint, provides housing and support to improve the lives of homeless young people aged 16-25. AFP PHOTO / POOL / BEN STANSALL (Photo credit should read BEN STANSALL/AFP/Getty Images)
প্রিন্স উইলিয়াম এবং কেট মিডলটন (ফাইল ফটো)ছবি: Getty Images

জাসিন্থার ট্র্যাজেডির পর এখন হাওয়া ঘুরেছে৷ ফেসবুক, টুইটারে হেইট-মেইলের ঝড় বয়ে যাওয়ার পর টুডেএফএম রেডিও'র অবস্থা এখন কাহিল: শেয়ারের দর পড়েছে পাঁচ শতাংশ, বড় বড় বিজ্ঞাপনদাতারা নিজেদের নাম কাটাচ্ছেন, অস্ট্রেলিয়ার বেতার-টেলিভিশন সংক্রান্ত কর্মকর্তারা তদন্ত শুরু করেছেন৷

অন্যরা চিন্তায় পড়েছেন এই পুরো ঘটনাচক্রে সোশ্যাল মিডিয়ার ভূমিকা নিয়ে৷ সোশ্যাল মিডিয়া মতপ্রকাশের অভূতপূর্ব স্বাধীনতা এনে দিয়েছে, এ'কথা ঠিক৷ কিন্তু সেই স্বাধীনতার অপব্যবহার বন্ধ করার পন্থা কি? আরো বড় কথা, সেই সোশাল মিডিয়া যখন বোতলের ভূতের মতো দৈত্যাকারে বেরিয়ে এসে ঠিক সেই মতপ্রকাশের স্বাধীনতার কোনো অংশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে, তবে তাকেই বা ঠেকা দেয় কে?

এসি/ডিজি (রয়টার্স, এএফপি, এপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য