নাম পালটানোর গণভোটে মেসিডোনিয়া
৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৮গ্রিসের দাবি, সাবেক এই যুগোস্লাভ রিপাবলিক গ্রিসের একটি অঞ্চলের ‘নাম', এমনকি কিছু এলাকাও ‘চুরি' করেছে৷ গ্রিসের সবচেয়ে উত্তরের প্রদেশের নামও মেসিডোনিয়া৷ এই অভিযোগেই দীর্ঘদিন ধরে মেসিডোনিয়াকে ন্যাটো ও ইইউতে যোগদানে বাধা দিয়ে আসছে গ্রিস৷
জুন মাসে মেসিডোনিয়া ও গ্রিস সরকার ন্যাটো ও ইউরোপীয়. ইউনিয়নে যোগদানের বিনিময়ে নাম পালটানোর চুক্তি করে৷ কিন্তু মেসিডোনিয়ার নাগরিকরা এর পক্ষে কিনা, সে সিদ্ধান্তই তাঁরা নিচ্ছেন রোববার৷
কিন্তু এই নাম পরিবর্তনের বিরোধীরা, এমনকি দেশটির প্রেসিডেন্ট জর্জ ইভানভও, রোববারের ভোট বর্জনের আহ্বান জানিয়েছেন৷ তাঁর দাবি, জুন মাসের চুক্তিটি ছিল ‘বিষাক্ত' এবং ‘সার্বভৌমত্বের ভয়াবহ লঙ্ঘন'৷
হ্যাঁ-না ভোটের লড়াই
মেসিডোনিয়ার প্রধানমন্ত্রী জোরান জায়েভ এবং গ্রিক প্রধানমন্ত্রী অ্যালেক্সিস সিপ্রাসের মধ্যে যে চুক্তি হয়েছে, তাতে এই গণভোট গ্রহণকে বাধ্যতামূলক রাখা হয়নি৷ ফলে, জনগণের রায় যা-ই হোক না কেন, তা মানতে বাধ্য নয় সরকার৷
তবে দেশটির প্রধানমন্ত্রী জায়েভ মনে করেন, ন্যাটো ও ইইউ-তে যোগ দিলে মেসিডোনিয়ার অর্থনীতি ব্যাপকভাবে চাঙ্গা হয়ে উঠবে৷
তবে ‘হ্যাঁ ভোট' জয়লাভ করলে সরকার পার্লামেন্টে জোরালোভাবে নাম পরিবর্তনের পক্ষে দাঁড়াতে পারবে৷ মেসিডোনিয়ান পার্লামেন্টে যথাযথ পরিবর্তনের পরই কেবল গ্রিস দ্বিপাক্ষিক চুক্তি বাস্তবায়ন করবে৷
ইউরোপ জুড়ে মেসিডোনিয়ার এই গণভোট ব্যাপক আগ্রহের সৃষ্টি করেছে৷ এমনকি জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল নিজেই মেসিডোনিয়ার রাজধানী স্কিয়োপে সফরে দেশটির নাগরিকদের ‘হ্যাঁ ভোট' দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন৷
অন্যদিকে, অঞ্চলটিতে ন্যাটোর সম্প্রসারণের বিরুদ্ধে জোরালো প্রচারণায় আছে রাশিয়া৷ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী জিম ম্যাটিস ‘সন্দেহাতীতভাবে' দাবি করেছেন, রাশিয়াই মেসিডোনিয়ার ‘না' ভোটের প্রচারণার কলকাঠি নাড়ছে৷
এডিকে/এসিবি (এপি, ডিপিএ)