1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

প্রার্থিতা ফিরে পেলেন ৫৩ জন

৬ ডিসেম্বর ২০১৮

মনোনয়নপত্র বাতিলের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে আপিলের শুনানির প্রথমদিনে ১০০ জনের প্রার্থিতা নিয়ে শুনানি হয়েছে৷ এর মধ্যে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন ৮০ জন৷

https://p.dw.com/p/39Zwt
Bangladesch Gebäude der Wahlkommission in Dhaka
ছবি: DW/M. M. Rahman

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদার নেতৃত্বাধীন কমিশন রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন কমিশন ভবনের দশম তলায় স্থাপিত এজলাসে এ আপিল শুনানি হয়৷

নির্বাচন কমিশনের আপিল শুনানিতে চট্টগ্রাম-৫ আসনের বিএনপি'র প্রার্থী মীর মোহাম্মদ নাছিরের মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়ায় তিনি হাইকোর্টে যাওয়ার কথা বলেছেন৷ নাটোর-২ আসনে বিএনপির প্রার্থী রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুর মনোনয়নপত্র বাতিল করেছেন নির্বাচন কমিশন৷ সেই সঙ্গে সিরাজগঞ্জ-২ আসনের বিএনপির প্রার্থী ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর মনোনয়নও বাতিল হয়েছে৷

শুনানি শুরু হয় চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ আসনের নবাব মো. শামছুল হুদার আপিলের মধ্য দিয়ে৷ এ দফায় আপিলেও তাঁর মনোনয়নপত্র বাতিল করে নির্বাচন কমিশন৷ এরপর ছিল বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বগুড়া-৭ আসনে দলের মনোনীত বিকল্প প্রার্থী মোরশেদ মিলটনের আপিলের শুনানি৷ শুনানি শেষে তাঁর মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়৷ এ সময় ঢাকা-১ আসনে খন্দকার আবু আশফাক ও ঢাকা-২০ আসনের তমিজ উদ্দিনও প্রার্থিতা ফিরে পান৷ তাঁরা দু'জনই বিএনপির প্রার্থী৷ যাঁরা প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন, তাঁদের মধ্যে পটুয়াখালী-৩ আসনে সদ্য আওয়ামী লীগ থেকে বিএনপিতে যোগ দেয়া গোলাম মাওলা রনিও আছেন৷

কিশোরগঞ্জ-২ আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী মেজর (অব.) মো. আখতারুজ্জামান রঞ্জন ও পটুয়াখালী-৩ আসনে মো. গোলাম মাওলা রনির মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে৷ ঝিনাইদহ-২ আসনে মো. আবদুল মজিদ প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন৷

মনোনয়নপত্র বৈধ হয়েছে জামালপুর-৪ আসনের বিএনপির প্রার্থী মো. ফরিদুল কবির তালুকদার শামীমের৷ পটুয়াখালী-৩ আসনে মোহাম্মদ শাহজাহান প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন৷ রিটার্নিং কর্মকর্তাদের বাছাইয়ের পর যে ছয়টি আসনে বিএনপির কোনো প্রার্থী ছিল না সেখানে আপিলের মাধ্যমে চারটি আসনেই লড়াই করার সুযোগ পেলো দলটি৷ ঢাকা-১ আসনে আবু আশফাক, বগুড়া-৭-এ মোর্শেদ মিল্টন, , মানিকগঞ্জ-২ এবং জামালপুর-৪-এ ফরিদুল কবীর তালুকদারের প্রার্থিতা বাতিল হয়ে গিয়েছিল৷ সেগুলোতে প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ার পর এখন বাকি রয়েছে রংপুর-৫ এবং শরীয়তপুর-১ আসন৷

মাদারীপুর-১ আসনের জহিরুল ইসলাম মিন্টু এবং সিলেট-৩ আসনের আবদুল কাইয়ুম চৌধুরীও আপিল করে সফল হয়েছেন৷ প্রার্থিতা ফেরত পাওয়া ৫৩ জনের বেশিরভাগই বিএনপি প্রার্থী৷

একাদশ সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ হবে ৩০ ডিসেম্বর৷ গত ২৯ নভেম্বর ছিল মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন৷ এরপর গত রোববার মনোনয়নপত্র বাছাই করা হয়৷ এদিন নির্বাচনে ৩০০ সংসদীয় আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য জমা দেওয়া ৩ হাজার ৬৫ মনোনয়নপত্রের মধ্যে ৭৮৬টি বাতিল করেন রিটার্নিং কর্মকর্তারা, যাঁদের মধ্যে বিএনপি, জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন দলের শক্তিধর প্রার্থীও রয়েছেন৷

গত সোমবার থেকে গতকাল বুধবার পর্যন্ত আপিল গ্রহণ করে নির্বাচন কমিশন৷ তিন দিনে মোট ৫৪৩ জন আপিল করেছেন৷ প্রথম দিনে ৮৪, দ্বিতীয় দিনে ২৩৭ ও তৃতীয় দিনে ২২২টি আবেদন জমা পড়ে নির্বাচন কমিশনে৷ আজ ১ থেকে ১৬০ পর্যন্ত ক্রমিক নম্বরের আবেদনের শুনানি হওয়ার কথা৷ কাল শুক্রবার ১৬১ থেকে ৩১০ পর্যন্ত এবং আগামী শনিবার ৩১১ ক্রমিক নম্বর থেকে ৫৪৩ পর্যন্ত আবেদনের আপিল শুনানি গ্রহণ করবে কমিশন৷

এপিবি/এসিবি (সূত্র: বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম, প্রথম আলো)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য