নাইজেরিয়ার নির্বাচন নিয়ে তারুণ্যের ভাবনা
আগামীকাল অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে নাইজেরিয়ার ষষ্ঠ প্রেসিডেন্ট নির্বাচন৷ শেষ মুহূর্তের প্রচারণা শেষ৷ এখন শুধুই অপেক্ষা ভোট দেওয়ার৷ ভোটের আগে নাইজেরিয়ার সমাজের বিভিন্ন স্তরের তরুণরা জানালেন তাঁদের ভাবনা৷ ছবিতে তাঁদেরই কথা...
ভোট দেওয়া অধিকার
১৮ বছর বয়সি নইমত শুহাইব আজোকে একজন গৃহিনী৷ প্রথমবারের মতো ভোট দিচ্ছেন৷ তিনি আশা করেন, এমন একজনই প্রেসিডেন্ট হোক, যিনি নাইজেরিয়ার সার্বিক পরিস্থিতির উন্নতি ঘটাবেন৷ আর ভোট দেওয়া আমার অধিকার৷ তাছাড়া ভোট দিয়ে নিজের মত প্রকাশ করা খুবই জরুরি৷
নিরাপদ আবাসন চাই
অ্যাজোমাইন মোজেস, ২১ বছর বয়সি স্কুল শিক্ষক৷ তাঁকেই ভোট দিতে চান যিনি নিরাপদ আবাসন নিশ্চিত করবেন৷ বর্তমান প্রেসিডেন্টের ভক্ত নন তিনি৷ তিনি মনে করেন, মুহাম্মদ বুহারির আমলে জীবন যাপন কঠিন হয়ে উঠেছে৷ চাকরি পাওয়া, খাবার কেনা দিনকে দিন কঠিন হচ্ছে৷ মোজেস পরিবর্তনের পক্ষে ভোট দিতে আগ্রহী৷
মৌলিক অধিকার নিশ্চিত হোক
১৮ বছর বয়সি শিক্ষার্থী ইমানুয়েলা প্রথমবারের মতো ভোট দিতে যাচ্ছেন৷ তিনি মানুষের মৌলিক অধিকারের নিশ্চয়তা চান৷ তিনি বলেন, ‘‘আমি চাই শিক্ষা ব্যবস্থা উন্নত হোক৷ খাবার নিশ্চিত হোক৷ সবার মৌলিক চাহিদা পুরণ করতে সক্ষম এমন ব্যক্তি নির্বাচিত হয়ে আসুক৷’’
‘আমার ভোটেই নির্বাচিত হবেন প্রেসিডেন্ট’
লাগোস শহরের মাকোকো বস্তিতে থাকেন ওয়াসিনু লাজারুস৷ খালের ওপর গড়ে ওঠা এই বস্তিতে চলাচল করতে হয় সরু নৌকা দিয়ে৷ ২১ বছর বয়সি ওয়াসিনু নৌকা থেকেই জানালেন, এবার তিনি প্রথমবার ভোট দিচ্ছেন৷ তিনি বলেন, ‘‘ভোট দেওয়া আমার দায়িত্ব৷ আমি আমার দায়িত্ব পালন করছি এবং আমার ভোটেই নির্বাচিত হবেন প্রেসিডেন্ট৷ সুতরাং আমাকে সতর্ক হয়ে দায়িত্ব পালন করতে হবে৷’’
বুঝেশুনে ভোট দিতে হবে
আবুজার মেয়ে ২৩ বছর বয়সি মডেল মার্সি ইমেজুরু৷ বললেন, ভোট দিতে হবে বুঝেশুনে৷ তিনি নিজে যেমন বুঝে যোগ্য ব্যক্তিকে ভোট দেবেন, তাঁর প্রত্যাশা নাইজেরিয়ার তরুণ প্রজন্মও তাই করবে৷
খেলার প্রতি মনোযোগী সরকার চাই
ক্রীড়াপ্রেমী শিক্ষার্থী ওলুওয়াসেগুনু ওলাডোকে ডেভিড৷ ২২ বছর বয়সি এই শিক্ষার্থী এমন সরকার চান যিনি সব মৌলিক চাহিদা পূরণের পাশাপাশি ক্রীড়াক্ষেত্রে গভীর মনোযোগ দেবেন৷ নাইজেরিয়ায় প্রতিভা থাকা সত্ত্বেও এই ক্ষেত্র ভীষণ অবহেলিত৷ তাঁর প্রত্যাশা, নিজের অধিকার প্রয়োগ করে যাকে নির্বাচিত করবেন তিনিও ক্রীড়াপ্রেমী হবেন৷
ভোট বিক্রি হচ্ছে
প্রথমবারের মতো ভোট দিতে যাচ্ছেন জন সানডে৷ ২৩ বছর বয়সি এই তরুণ মাকোকো বস্তিতে থাকেন৷ তিনি বলেন, ‘‘এখন মানুষের সততা নেই৷ সবাই অর্থের পেছনে ছুটছে৷ কেউ নিজের সন্তানদের ভবিষ্যতের কথা ভাবছেন না৷ তাই যিনি টাকা দিয়ে ভোট কিনে নিতে পারবেন, তিনিই বিজয়ী হবেন৷ কারণ, অর্থলোভীরা ভোট বিক্রি করছেন৷’’
‘অপরাধ আর দুর্নীতি চাই না’
রুথ ওয়েলোও, ২১ বছর বয়সি এই তরুণী লাগোসের বাসিন্দা৷ তিনি তাঁর ভোটাধিকার প্রয়োগ করে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করতে আগ্রহী৷ তবে নির্বাচিত প্রেসিডেন্টের কাছে তাঁর প্রত্যাশা একটাই– তাঁর দেশ নাইজেরিয়া থেকে দুর্নীতি ও অপরাধ এবং প্রতিনিয়ত চলমান হত্যাকাণ্ড নির্মূল হবে৷