1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নাইজারে পালান নি গাদ্দাফি, অনুগামীদের সঙ্গে আলোচনা চলছে

৬ সেপ্টেম্বর ২০১১

গাদ্দাফি কোথায়? বিদ্রোহীরা ত্রিপোলি দখলের পর এতদিন কেটে গেলেও লিবিয়ার এই ক্ষমতাচ্যুত নেতার কোনো হদিশ পাওয়া যাচ্ছে না৷ এদিকে বিনা রক্তপাতে সংকট সমাধানের চেষ্টা চলছে৷

https://p.dw.com/p/12TvB
ত্রিপোলির পথে গাদ্দাফির পোস্টারছবি: dapd

এনটিসি বা লিবিয়ার নতুন প্রশাসন দেশের হাল ধরতে ব্যস্ত থাকলেও গাদ্দাফির কালো ছায়া তাদের উপর থেকে সরছে না৷

ত্রিপোলিতে ক্ষমতা দখলের পর এনটিসি গোটা বিশ্বের সামনে দায়িত্বশীল আচরণ দেখাতে চাইছে৷ ক্ষমতা দখলের সংগ্রামের সময় সামরিক শক্তি দেখালেও এখন তারা এমন এক দেশ গড়ে তুলতে চায়, যেখানে সবারই জায়গা রয়েছে, এমনকি যারা একসময় গাদ্দাফির সঙ্গ দিয়েছে, তাদেরও বিচ্ছিন্ন করতে চায় না এনটিসি৷ এই সদিচ্ছার দৃষ্টান্ত হিসেবে তারা বিনা যুদ্ধে গাদ্দাফিপন্থীদের আত্মসমর্পণের জন্য সময়সীমা স্থির করে দিয়েছে৷ গত শনিবার সেই মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও তা আরও এক সপ্তাহ বাড়ানো হয়েছে৷ এরই আওতায় মঙ্গলবার বানি ওয়ালিদের উপজাতীয় নেতাদের সঙ্গে এনটিসি আবার আলোচনা শুরু করেছে৷ এনটিসি'র অন্যতম নেতা মাহমুদ জিব্রিল মঙ্গলবার আবার বলেছেন, ‘‘কারও প্রতি খারাপ আচরণ করা হবে না, কারও সম্পত্তির উপর হামলা চালানো হবে না, কারও উপর হামলা করা হবে না৷ বানি ওয়ালিদ ও সেখানকার ওয়ারফালা উপজাতির জন্য এ এক ঐতিহাসিক সুযোগ৷''

Libyen Rebellen vor Bani Walid September 2011 FLASH-GALERIE
বানি ওয়ালিদ অবরোধ করে রয়েছে এনটিসি বাহিনীছবি: dapd

লিবিয়ার বিদ্রোহীরা আচমকা হিংসার পথ ত্যাগ করেছে বলে মনে হচ্ছে৷ অন্তত সাময়িকভাবে সেই সুরই শোনা যাচ্ছে তাদের কণ্ঠে৷ তবে সব ক্ষেত্রে তারা মোটেই নরম মনোভাব দেখাচ্ছে না৷ যেমন মঙ্গলবারই তারা গাদ্দাফির জন্মস্থান সির্ত'এর পূর্বে হসনিয়া উপজাতির কাছ থেকে অস্ত্র কেড়ে নিয়েছে৷ তবে এই ঘটনাটিও কার্যত বিনা রক্তপাতেই ঘটেছে৷

এরই মধ্যে এক বিশাল গাড়ি বহর লিবিয়ার সীমান্ত অতিক্রম করে নাইজারে প্রবেশ করেছে৷ গাদ্দাফি কি দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন বলে সন্দেহ করছিল বিদ্রোহীরা৷ তাদের খবর অনুযায়ী কমপক্ষে ২০০টি গাড়ি সোমবার নাইজারে প্রবেশ করে৷ সাধারণত গাদ্দাফি ও তাঁর পুত্রদের জন্যই এমন আয়োজন দেখা যায়৷ বহরে সামরিক গাড়িও ছিল৷ তবে নাইজারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আল আরাবিয়া টেলিভিশন চ্যানেলকে বলেছেন, গাদ্দাফি নাইজারে প্রবেশ করেন নি৷ তবে গাদ্দাফির নিরাপত্তা প্রধান মনসুর দাও বহরের নেতৃত্বে ছিলেন বলে নাইজারের আরেক কর্মকর্তা জানিয়েছেন৷

লিবিয়ার এনটিসি'র মতো আন্তর্জাতিক সমাজও ধৈর্য্য ধরে রয়েছে৷ যেমন ফ্রান্সের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেরার লঁগ মঙ্গলবার জানিয়েছেন, তাঁর দেশ লিবিয়ায় ন্যাটো অভিযান তড়িঘড়ি করে শেষ করতে চায় না৷ কারণ সেখানকার সামরিক সংকট এখনো পুরোপুরি মেটে নি৷ কিন্তু ফ্রান্স গাদ্দাফিকে আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালতের কাঠগড়ায় তুলতে বদ্ধপরিকর৷ সেদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র মঙ্গলবার একথা বলেন৷

সাক্ষাৎকার: সঞ্জীব বর্মন

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক