1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নববর্ষে কিম জং উনের 'বিকল্প ব্যবস্থার' হুমকি

১ জানুয়ারি ২০১৯

অবিলম্বে দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ সামরিক মহড়া বন্ধসহ এক তরফা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছেন ভিডিও বার্তায়৷

https://p.dw.com/p/3ArAO
ছবি: picture-alliance/dpa/AP Photo/KRT

সামরিক মহড়া বন্ধ করে সেনা প্রত্যাহার না করলে  পিয়ংইয়ং ‘বিকল্প ব্যবস্থা' গ্রহণ করবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন কিম৷ উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে কিম জং উনের এ বক্তব্য সরাসরি সম্প্রচার করা হয়৷

 তিনি আরো বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের অনুরোধ বিবেচনা করে উত্তর কোরিয়া পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ প্রক্রিয়া নিয়ে কাজ করতে চায়৷  তবে তাঁর ধৈর্য্যের পরীক্ষা নেওয়ার ফল ভালো হবে না৷

তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি প্রতিনিয়ত তাদের প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে এবং উত্তর কোরিয়ার সহনশীল আচরণকে উপেক্ষা করে তাহলে তাদের আর কিছুই করার থাকবে না৷ তিনি মনে করিয়ে দেন, বিশ্বের সামনে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের যে প্রতিশ্রুতি যুক্তরাষ্ট্র দিয়েছিল, সেটি ভঙ্গ করলে উত্তর কোরিয়ার নিজেদের স্বার্বভৌমত্ত্ব ও স্বার্থ রক্ষায় কঠোর হবে৷ 

ভিডিও বার্তায় তিনি জানান, গত ১২ জুন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে যৌথ বিবৃতি দেওয়া হয়েছিল, সেটা শুধুমাত্র তাঁর সদিচ্ছার কারণেই হয়েছিল৷ কোরীয় উপদ্বীপে শান্তিপূর্ণ পরিবেশের প্রত্যাশাতেই যৌথভাবে পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ ও নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল৷

তিনি আরো উল্লেখ করেন, যুক্তরাষ্ট্রের তরফ থেকে আপোশমূলক আচরণ না পেলে পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ নিয়ে পুনরায় ভাববে তাঁর দেশ৷ তিনি যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি দক্ষিণ কোরিয়াকেও তাঁর দেশের প্রতি নমনীয় হওয়ার আহ্বান জানান৷

তিনি বলেন, তাঁর দেশ দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক দৃঢ় করতে সদা প্রস্তুত৷ সীমান্তবর্তী কায়েসাং শহরে পুনরায় যৌথ কারখানা চালু করতেও আগ্রহী৷ এমনকি তাঁর দেশ আশা করে, সৌল উত্তর ডায়মন্ড মাউন্টেন রিসোর্টে তাদের পর্যটন কার্যক্রম চালু করবে৷ কিন্তু যদি উত্তর কোরিয়ার ওপর থেকে সম্পূর্ণরূপে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হয়, তবেই এসব পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হবে৷

এফএ/এসিবি (এএফপি, রয়্টার্স, এপি, ডিপিএ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য