মানে, সংবিধানে বা কাগজ-কলমে কিছু ক্ষমতা আছে তো বটেই, কিন্তু বাস্তবে অন্তত গত দুই মেয়াদে রাষ্ট্রপতির কাজকর্ম, কথাবার্তা দেখে মনে পড়ছে ছোটবেলার বিজ্ঞাপনী ট্যাগলাইন-ছোট হয়ে আসছে পৃথিবী।
দুই মেয়াদের এক দশকে বর্তমান মহামান্য অনেক কিছু দেখেছেন বা অনেক সই-সাবুদ করেছেন বা তার নামে হয়েছে অনেক কিছুই। কিন্তু প্রকৃত প্রস্তাবে কতগুলো জনপ্রিয় রসিকতা ছাড়া আর কিছু কি করেছেন? আমার চোখে পড়ে নাই। খবরের শিরোনাম হয়েছেন, মোটামুটি ভুল কারণেই, এই ধরেন অর্থনৈতিক সংকটে বিদেশে চিকিৎসা নিতে গিয়ে বা কোনো পুলিশ কর্মকর্তা তার লোক হিসেবে পরিচয় দিয়ে ক্ষমতা দেখাচ্ছেন- এইসব কারণে। পজিটিভ বলতে রিক্সা বা ভ্যানে করে জন্মভূমি ঘুরে বেড়াচ্ছেন- এসব ছবিও আমরা দেখতে পেয়েছি।
তো দেশের সবচেয়ে বেশি বেতনের চাকরি কে পাচ্ছেন- এই জাহাজের খবরে আমি আদাকুঁচির ফেরিওয়ালার কী লাভ?
নতুন বড় চাকুরে কি এমন একটা সিদ্ধান্তও নিতে পারবেন যা তাকে আলাদা করবে বা যা আমাকে একটু হলেও চমকে দিতে পারবে? উত্তর নেতিবাচক।এই কারণে আমার আগ্রহ নাই কে হচ্ছেন পরবর্তী রাষ্ট্রপতি তা জানতে।
আরেকটা বিষয়- রাষ্ট্রপতি নারী হতে পারেন প্রথমবারের মতো। তাতেই বা এমন কী হবে? নারী সরকারপ্রধান হয়েছেন, তিনি চাইলে আগেও নারী রাষ্ট্রপতি নিয়োগ দিতে পারতেন, এখনও পারেন। এতে আমি আলাদা করে অন্য কারো কোনো কৃতিত্ব দেখি না। সবই তার ইচ্ছা।
আমার অনেক বন্ধু, অনেক স্বজন কে হবেন নতুন রাষ্ট্রপতি তা নিয়ে অনেক আগ্রহ দেখাচ্ছেন। কেউ কেউ নির্বাচনকালে বঙ্গভবনের চাবির গুরুত্ব বলছেন। কেউ বলছেন চমকের কথা। গুরুত্বের বিষয়টা আগে বলেছি, চমকপ্রদ কী হতে পারে তা তো ভেবে পাচ্ছি না, মানে প্রধানমন্ত্রীর মতের আলাদা কিছু ভাবেন বা ভাববেন এরকম কাউকে নিশ্চয়ই বড় বাড়িটিতে থাকতে দেওয়া হবে না? তাই আমি প্রেসনোট পেলেই জানবো কে হচ্ছেন রাষ্ট্রপতি৷