ডয়চে ভেলের পাঠক মো. সাদেক মিয়া চান বাংলাদেশের দেশের মানুষ শান্তিতে থাক৷ আর সে কথাই তিনি ফেসবুক পাতায তুলে ধরেছেন এভাবে,‘‘ আমি আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে, তারপরও বাংলাদেশের নাগরিক হিসাবে বলি, আমার খুব পছন্দ হয়েছে৷ আমার মনে হয়, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সর্বোচ্চ মেধা কাজে লাগানো হয়েছে৷ আমি আশা করি বাংলাদেশের উন্নয়নে কাজে লাগবে৷ আওয়ামীলীগ বা আপনারা সব সময় ক্ষমতায় থাকেন আপত্তি নাই৷ কিন্তু জনগণকে শান্তিতে থাকতে দিয়েন৷''
‘‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সুচতুর এবং বিচক্ষণতার পরিচয় দিয়েছেন নতুন মন্ত্রিসভা গঠনে৷ এখন নতুনত্ব এনে জাতিকে ভালো কিছু দিতে চাইছেন, যদি নতুনরা দুর্নীতির বাইরে থেকে প্রধানমন্ত্রীর মান রক্ষা করতে পারেন, তাহলে প্রধানমন্ত্রী শতভাগ সফল হবেন৷'' এই মন্তব্য করেছেন পাঠক জাহাঙ্গীর আলম৷
শামীম সুবর্ণার স্বপ্ন, ‘‘২০১৯ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যদি প্রত্যেক জেলায় জনবলে পুলিশদের ২০০ এএসআই এবং এস আই পরীক্ষায় বিবাহিতরাও অংশগ্রহন করতে পারবে - এ ঘোষণা দিতেন তাহলে এ জীবনে আর কিছু চাওয়ার ছিল না৷''
-
একাদশ জাতীয় নির্বাচন নিয়ে ভোটাররা যা বললেন
আলী হোসেন
সত্তরোর্ধ আলী হোসেন জীবনে অনেক ভোট দেখেছেন, কিন্তু এবারের মতো ভোটের পরিবেশ জীবনে আর দেখেননি৷ জোর করে তাঁর ব্যালটে সিল মেরেছেন বুথের ভেতরে আগে থেকে অবস্থান করা অন্য একজন৷ শেষ বয়সে এসে হেনস্তা হওয়ার ভয়ে কিছুই বলতে পারেননি৷
-
একাদশ জাতীয় নির্বাচন নিয়ে ভোটাররা যা বললেন
এলিম মিয়া
ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী এলিম মিয়ার কেন্দ্রে ভোট হয়েছে ইভিএম পদ্ধতিতে৷ তিনি ৩০ জানুয়ারি সকালেই ভোট দিতে পেরেছেন৷ সকাল থেকেই কেন্দ্রে ভোটারদের দীর্ঘ সারিতে অপেক্ষমান দেখেছেন তিনি৷ ভোটের পরিবেশও তাঁর কাছে সুষ্ঠু মনে হয়েছে৷
-
একাদশ জাতীয় নির্বাচন নিয়ে ভোটাররা যা বললেন
জুনায়েদ অমি
জীবনের প্রথম ভোটটি দিতে পেরে খুবই আনন্দিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই শিক্ষার্থী৷ ভোটের পরিবেশ বেশ ভালো বলে মনে হয়েছে তাঁর৷ তবে ভোট কেন্দ্রের আশপাশে ছাত্রলীগের কর্মীদের লাঠি হাতে উপস্থিতি এবং পুলিশের একপেশে ভূমিকা তাঁর ভালো লাগেনি৷
-
একাদশ জাতীয় নির্বাচন নিয়ে ভোটাররা যা বললেন
লামিয়া তাসনিম
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী লামিয়া তাসনিম এবারই প্রথম ভোট দিলেন৷ বিষয়টি নিয়ে খুব উত্তেজিত ছিলেন৷ তবে জাতীয় পরিচয়পত্র থাকার পরও নিজের ভোটকেন্দ্র খুঁজে বের করতে তাঁর দুপুর পর্যন্ত সময় লেগেছে৷ কেন্দ্রে গিয়ে দেখেন ফটক বন্ধ৷ জানানো হয়, মধ্যাহ্ণবিরতি চলছে৷ কিন্তু ভোটের সময় তো কেন্দ্রে কোনো বিরতি থাকার কথা নয়৷ তাই অনেক বিতণ্ডা করে শেষ পর্যন্ত ভেতরে ঢুকে নিজের ভোটটি দিতে পেরেছেন৷
-
একাদশ জাতীয় নির্বাচন নিয়ে ভোটাররা যা বললেন
মোহাম্মদ মামুন
খুব সকাল সকালই ভোট দিতে পেরেছেন তরুণ ভোটার মোহাম্মদ মামুন৷ ভোটের পরিবেশ নিয়েও তিনি বেশ সন্তুষ্ট৷
-
একাদশ জাতীয় নির্বাচন নিয়ে ভোটাররা যা বললেন
নূরুল্লাহ
বেসরকারি চাকরিজীবী নুরুল্লাহের দাবি, ঢাকার একটি কেন্দ্রে তিনি ভোট দিতে গিয়েছিলেন দুপুর ১২টার দিকে৷ গিয়ে দেখেন তাঁর ভোট এর আগেই দেয়া হয়ে গেছে৷ ফলে ভোট তো দিতে পারেনইনি, উলটে ভোটকেন্দ্রের এজেন্টরা তাঁর সঙ্গে নাকি দুর্ব্যবহার করেছেন৷ ভোট না দিয়েই তাই ফিরে এসেছেন তিনি৷
-
একাদশ জাতীয় নির্বাচন নিয়ে ভোটাররা যা বললেন
মো. শাহ জালাল
পিরোজপুরের ভোটার মোহাম্মদ শাহ জালাল দশম জাতীয় নির্বাচনে ভোট দিয়েছিলেন নৌকা মার্কায়৷ এবারও ভোট দিতে গিয়েছিলেন, তবে ব্যালটে নিজে সিল মারতে পারেননি৷ জানালেন, নৌকা মার্কার এজেন্টই তাঁর হাত থেকে সিল নিয়ে নৌকা মার্কার ওপরে মেরে দিয়েছেন৷
-
একাদশ জাতীয় নির্বাচন নিয়ে ভোটাররা যা বললেন
সিরাজুল ইসলাম
সিরাজুল ইসলাম এলাকায় বিএনপির সমর্থক হিসেবে পরিচিত৷ তাই আগে থেকেই নাকি তাঁকে ভোটকেন্দ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছিল৷ তাঁর দাবি, ভয়ে আর তিনি ভোট দিতে যাননি৷
তবে ভিন্নমত পাঠক মাহবুব আলম রিয়াজের৷ তিনি লিখেছেন,‘‘ যারা ভোট ডাকাতির মাধ্যমে ক্ষমতায় আসে তাদেরকে কিছু বলার নাই৷''
আর মো.হোসেন কিসলু লিখেছেন, ‘‘ সব কিছুই ম্লান, গণতন্ত্র ছাড়া৷ একটি রাষ্ট্রের সর্বপ্রথম গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করা উচিত গণতন্ত্রের কথা, এই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতেই আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল।''
অন্যদিকে পাঠক তাসিন রহমান শরীফ দুঃখ করে লিখেছেন, ‘‘জীবনে প্রথম ভোটার হয়েও ভোট দিতে পারি নাই, ডয়চে ভেলেকে আর কি মতামত দেবো৷ মতামতের মূল্য আমি ভোটের দিনই বুঝে গেছি৷''
‘‘মতামত দিলেই কী, না দিলেই কী? সাধারণ মানুষের মতামতের কি কোনো মূল্য আছে?'' এই মন্তব্যটি পাঠক সুমন বাবুর৷
সংকলন: নুরুননাহার সাত্তার
সম্পাদনা : আশীষ চক্রবর্ত্তী
-
আওয়ামী লীগ সরকারের ভালো-মন্দ
দীপক চন্দ্র শীল
ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সদ্য পাস করে বের হওয়া দীপক চন্দ্র শীল জানান, তাঁর কাছে গত পাঁচ বছরে আওয়ামী লীগ সরকারের যে কাজটি সবচেয়ে ভালো লেগেছে তা হলো, যুদ্ধাপরাধীর বিচার৷
-
আওয়ামী লীগ সরকারের ভালো-মন্দ
রিয়ন সরকার
ঢাকার শের-ই-বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রিয়ন সরকার মনে করেন, সরকারের সবচেয়ে ভালো কাজ ছিল যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন৷ এক্ষেত্রে অনেক বাধা পেরিয়ে পদ্মা সেতুর কাজ এগিয়ে নেয়ার উদাহরণ দেন তিনি৷
-
আওয়ামী লীগ সরকারের ভালো-মন্দ
জাহিদ মাহমুদ প্রান্ত
বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া জাহিদ মাহমুদ প্রান্ত বলেন, দেশ থেকে জঙ্গি নির্মূল করা আওয়ামী লীগ সরকারের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য কাজ৷
-
আওয়ামী লীগ সরকারের ভালো-মন্দ
মনিকা আক্তার
একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন মনিকা আক্তার৷ তাঁর দৃষ্টিতে সরকারের সবচেয়ে ভালো কাজ ছিল দশ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীকে আশ্রয় দেয়া৷
-
আওয়ামী লীগ সরকারের ভালো-মন্দ
হাসানুর রাজা
নিম্ন আয়ের দেশ থেকে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত করা সরকারের সবচেয়ে ভালো কাজ ছিল বলে মনে করেন স্কুল শিক্ষক হাসানুর রাজা৷
-
আওয়ামী লীগ সরকারের ভালো-মন্দ
সবুজ মাতুব্বর
তিনি একজন বেসরকারি চাকরিজীবী৷ তাঁর কাছে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সবচেয়ে খারাপ লাগার বিষয় ছিল দলীয় কিছু নেতা-কর্মীর অপকর্ম, যেমন বেপরোয়া সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি ও দুর্নীতি৷
-
আওয়ামী লীগ সরকারের ভালো-মন্দ
নিজামুদ্দীন আহমেদ
ব্যবসায়ী নিজামুদ্দীন আহমেদের কাছে প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার বিষয়টি সবচেয়ে খারাপ লেগেছে৷
-
আওয়ামী লীগ সরকারের ভালো-মন্দ
জালাল মিয়া
উপজেলা নির্বাচনে নিজের ভোট প্রয়োগ করতে পারেননি মাছ বিক্রেতা জালাল মিয়া৷ ভোটকেন্দ্রে যাবার আগেই তাঁর ভোট অন্য কেউ দিয়ে ফেলেছিল বলে অভিযোগ তাঁর৷
-
আওয়ামী লীগ সরকারের ভালো-মন্দ
মাহবুবুল আলম
পরিবহন ব্যবসায়ী মাহবুবুল আলমের মতে, আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনাটি তাঁর সবচেয়ে খারাপ লেগেছে৷
-
আওয়ামী লীগ সরকারের ভালো-মন্দ
নূর মোহাম্মদ
রিকশাচালক নূর মোহাম্মদ গত পাঁচ বছরে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের লাগামহীন মূল্য বৃদ্ধিকে আওয়ামী লীগ সরকারের সবচেয়ে খারাপ দিক মনে করেন৷
লেখক: মোস্তাফিজুর রহমান (ঢাকা)