নগরে কাশফুলের শুভ্রতা
দিগন্ত বিস্তৃত কাশফুলের চোখ জুড়ানো সৌন্দর্যই শরতের অন্যতম আকর্ষণ৷ নগরায়নের চাপে তার দেখা পাওয়া দুস্কর৷ তবে ঢাকাতেই আছে এমন কয়েকটি জায়গা যা আপনাকে মুগ্ধ করবে৷
‘আজি কি তোমার মধুর মূরতি’
শরৎ নিয়ে রবীন্দ্রনাথ লিখেছেন, ‘আজি কি তোমার মধুর মূরতি/হেরিনু শারদ প্রভাতে!’ কাশ ফুলের মাঝে এই তরুণীর বিষ্ময়মাখা চাহনি বিশ্বকবির ‘শরৎ’ কবিতাটির কথাই মনে করিয়ে দিচ্ছে৷
কাশ বনে কয়েকজন
সময় যতই খারাপ হোক না কেন, প্রকৃতি ঠিকই নিয়ম মেনে তার অপরূপ রূপে সাজে৷ শরতের আকাশে সাদা মেঘের ভেলার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সবুজ প্রান্তরে সাদা কাশও ফোটে৷ সেই সৌন্দর্য দেখে পুলকিত হন না এমন মানুষ কমই আছে৷ তেমন কয়েকজনকে দেখা যাচ্ছে ঢাকার কেরাণীগঞ্জ উপজেলার সারিঘাটের এক কাশ বনে৷
‘বাতাসে আজ ছুটছে হাসি’
পাশ দিয়ে বয়ে গেছে খাল৷ তার এক পাড়ে বিস্তৃত প্রান্তর৷ সেই সবুজেই এখন কাশের সৌন্দর্য অপরূপ শোভা ছড়াচ্ছে৷ ঢাকার কংক্রিটের জঙ্গল পেরিয়েও অনেকেই ঘুরতে যান সেখানে৷
শরৎ রানি
‘শরৎ রানি যেন কাশের বোরখা খানি খুলে/কাশ বনের ওই আড়াল থেকে নাচছে দুলে দুলে,’ নির্মলেন্দু গুণের কবিতার পংক্তির মতোই সুন্দর এখন সারিঘাট৷
শুভ্রতার বনে
সারিঘাটের কাশবন এখন স্থানীয় প্রকৃতিপ্রেমীদের অবসর সময় কাটানোর প্রিয় জায়গা৷ পরিবার কিংবা বন্ধু-বান্ধব নিয়ে অনেকেই যান ঘুরতে৷ এই দুই নারী কাশ বনে আনন্দের মুহূর্তগুলো বন্দি করছেন মুঠোফোনের ক্যামেরায়৷
‘ওগো কাশের মেয়ে’
শুধু সৌন্দর্য অবলোকনেই চলছে না, তার ফুল নেয়াও চাই৷ আপন মনে কাশ তুলছে তাই এক কিশোরি৷
সংগীতপ্রেমী তরুণ
প্রকৃতি থেকেই সুরের সৃষ্টি৷ প্রকৃতিই হয়তো তার সবচেয়ে ভালো সমঝদার৷ এই যুবক তাই একাই বাদ্যযন্ত্রের সুর ভাসিয়ে দিচ্ছেন বাতাসে৷
ছবিবন্দি
এমন সময় আর সুন্দরের দেখা তো কমই মেলে৷ করোনায় যা আরো কাঙ্খিত হয়ে উঠেছে৷ উপভোগ্য সময়টিকে তাই সেলফিবন্দি করে রাখছেন এই জুটি৷