‘নকল’ পায়ে হাঁটছে সারস
আহত হয়ে পা হারিয়েছিল এই সারসটি৷ চেক প্রজাতন্ত্রের এসওওএস অভয়ারণ্যের প্রাণিবিশারদরা সারসটির জন্য তৈরি করছেন থ্রিডি প্রিন্টিং-এর একটি কৃত্রিম পা৷
পা হারানো
স্বাভাবিক ছিল সারসটির জীবনযাত্রা৷ হাঁটতো, উড়তো আর ‘শিকার’ ধরে খেতো৷ কিন্তু কিছুদিন আগে একটি চিমনির উপর দিয়ে উড়ে যাওয়ার সময় আহত হয়ে একটি পা হারিয়ে ফেলে সে৷
নজরে পড়ে প্রাণিপ্রেমীদের
পা হারিয়ে ভুগতে থাকা লম্বা ঠোঁটের এ সারস পাখিটির বেদনা চোখে পড়ে চেক রিপাবলিকের এসওওএস অভয়ারণ্যের প্রাণিবিশারদদের৷ যত্নে সারিয়ে তুলবেন এ চিন্তায় তারা তখন পাখিটিকে নিজেদের তত্ত্বাবধানে নিয়ে আসেন৷
বিকল্প পায়ের বুদ্ধি
পা না থাকায় স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় ব্যাঘাত ঘটছিল পাখিটির৷ পায়ের বিকল্প কীভাবে হতে পারে সে নিয়ে তখন চিন্তিত বিশেষজ্ঞরা৷ পেয়েও গেলেন বুদ্ধি৷ থ্রিডি প্রিন্টিংয়ের একটি প্রোস্থেটিক পা সংযোজন করার চেষ্টা শুরু করেন তারা৷
হয়ে গেল পায়ের ডিজাইন
যেই চিন্তা সেই কাজ৷ অভায়ারণ্যের বিশেষজ্ঞরা পা ডিজাইনে নেমে পড়লেন৷ গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে বলা হয়, মাটিয়াস মিশল নামে হাইস্কুল পড়ুয়া এক ছাত্র প্রোস্থেটিক পায়ের একটি নকশা তৈরি করেন৷ নকশা অনুযায়ী পা বানিয়ে তা সারসের শরীরে সংযোজন করা হয়৷
নতুন পায়ে হাঁটা শুরু
ডিজাইনার মাটিয়াস মিশল জানান, পাখিটির আরাম ও সুবিধা বিবেচনায় নিয়ে ফোম বসিয়ে যত্নসহকারে পা’টি তৈরি করা হয়৷ আরামদায়ক পা পেয়ে হাঁটার চেষ্টাও শুরু করে পাখিটি৷ তবে অনভ্যস্ততার বিষয় তো আছেই৷ আর তাই খুঁড়িয়ে খুড়িয়ে হাটার চেষ্টা শুরু করে পাখিটি৷
আপাতত অভয়ারণ্যে
নতুন পায়ে অভ্যস্ত হতে পাখিটির সময় লাগবে৷ তাছাড়া পুরোপুরি সেরে ওঠার এ সময়ে যত্ন দরকার৷ আর তাই আপাতত অভায়ারণ্যেই থাকছে সারসটি৷