ধূমপান ত্যাগ করুন – দ্রুত সুস্বাস্থ্য ফিরে পাবেন
সিগারেটের ধোয়ায় দু’শ-রও বেশি ‘টক্সিন’ রয়েছে, যা শরীরের ক্ষতি করে৷ তবে ধূমপান ত্যাগ করার পর দ্রুতই শরীর সে ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারে৷
সিগারেট ছাড়া বিশ মিনিট
ধূমপানের প্রায় ২০ মিনিট পর আপনার শরীরের রক্তচাপ এবং ‘পালস রেট’ আবারো স্বাভাবিক হতে শুরু করে৷ ধূমপানের সময় এগুলো বেড়ে যায়, কেন না নিকোটিন আপনার দেহের ‘সিম্পেথিটিক নার্ভাস সিস্টেম’ সক্রিয় করে দেয়৷ তখন অনেকটা জরুরি অবস্থার মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় দেহে৷
ধূমপানবিহীন ১২ ঘণ্টা
শেষ ধূমপানের ১২ ঘণ্টা পর আপনার রক্তে কার্বন মনোক্সাইডের পরিমাণ কমতে থাকে এবং অক্সিজেনের লেভেল বেড়ে স্বাভাবিক পর্যায়ে পৌঁছায়৷ ধূমপানের সময় আপনার শরীরে প্রবেশ করা কার্বন মনোক্সাইড রক্তে অক্সিজেনের স্বাভাবিক প্রবাহে বাধা দেয়৷
সিগারেট ছাড়া দু’দিন
সিগারেট ছাড়ার দু’দিন পর আপনার গন্ধ নেয়ার এবং স্বাদ গ্রহণের ক্ষমতা ফিরতে শুরু করে৷ নিয়মিত ধূমপান এ সবকে দুর্বল করে দেয়৷
সিগারেট ছাড়া তিনদিন
সিগারেট ছাড়ার তিনদিন পর আপনার শ্বাসনালী শিথিল হতে শুরু করে৷ তখন শ্বাসপ্রশ্বাস আরো সহজ হয়৷ একইসঙ্গে আপনার শরীরও নিকোটিনমুক্ত হয়, যার বিরূপ প্রভাবও দেখা দিতে পারে৷ যেমন আপনার মাথাব্যথা করতে পারেন, বমি বমি ভাব হতে পারে, এমনকি আপনার মধ্যে হতাশা বা অকারণে দুশ্চিন্তাও দেখা দিতে পারে৷ তবে এ সব ব্যাপার সাময়িক৷
সিগারেট ছাড়া কয়েকমাস
ধূমপান ছাড়ার কয়েকমাস পর আপনার দেহের মধ্যকার রক্ত সরবরাহ ব্যবস্থা আগের তুলনায় ভালো হয়৷ ফুসফুসের অক্সিজেন গ্রহণের পরিমাণ বাড়ে ৩০ শতাংশ৷ কাশিও কমে যায়৷ কেননা ফুসফুসের মধ্যে আবারো গজাতে শুরু করে ‘নেত্রলোম’৷ এগুলো ফুসফুসকে পরিষ্কার রাখতে সহায়তা করে৷
সিগারে ছাড়া এক, দশ, কিংবা ১৫ বছর
হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা অধূমপায়ীদের চেয়ে ধূমপায়ীদের ৭০ শতাংশ বেশি৷ তবে সিগারেট ছাড়া এক বছর কাটানোর পর হৃদরোগের আশঙ্কা ৫০ শতাংশ কমে যায়৷ ধূমপান ত্যাগের দশ বছরের মধ্যে ফুসফুসে ক্যানসারের আশঙ্কা কমে যায় অর্ধেকে৷ এছাড়া ধূমপান ত্যাগের ১৫ বছর পর করোনারি হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা যাঁরা কখনো ধূমপান করেননি, তাঁদের সমান হয়ে যায়৷