1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ধর্মের দিকে ঝুঁকে তুরস্কের শিক্ষাব্যবস্থায় ধস?

৮ আগস্ট ২০১৯

কয়েক সপ্তাহ আগেই তুরস্কের শিক্ষা মন্ত্রণালয় দেশের শিক্ষার্থীদের পারফরম্যান্স নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে৷ ফল ছিল ভয়াবহ৷ বেশিরভাগ শিক্ষার্থীই সঠিক পারফরম্যান্স দেখাতে পারছেন না৷ বিশেষজ্ঞরা এর দায় দিচ্ছেন এরদোয়ান সরকারকেই৷

https://p.dw.com/p/3NZDR
ছবি: ullstein bild - Reuters/MURAD SEZER

সম্প্রতি কিছুদিনের ব্যবধানে, তুরস্ক জুড়ে শত শত ইমাম হাতিপ স্কুল স্থাপন করেছে তুরস্ক৷ এরদোয়ান বিরোধীদের দাবি, এই স্কুলগুলোই এমন অবস্থার জন্য দায়ী৷

এই স্কুলগুলোতে মূলত জোর দেয়া হয় কোরান এবং মহানবী হযরত মোহাম্মদের শিক্ষার ওপর৷ শুরুতে শুধু ইমামদের শিক্ষা দেয়ার জন্য স্কুলগুলো চালু করা হলেও রক্ষণশীল ইসলামিক দল একেপি এই স্কুলগুলোকে সাধারণের মধ্যেও ছড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে৷

এই সংস্কার উদ্যোগের ফলে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এই স্কুলগুলো পুরো দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়ছে৷ জাতীয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, ইমাম হাতিপ গ্রামার স্কুলের সংখ্যা পাঁচ বছরে বেড়ে ৫৩৭ থেকে দাঁড়িয়েছে ১৬০৫-এ৷ এসব প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করছেন ছয় লাখ ২০ হাজার শিক্ষার্থী৷

এই সব স্কুলকে সুবিধা দিতে রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন স্কুলেও আনা হয়েছে পরিবর্তন৷ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই শিক্ষার্থী বা অভিভাবকদের সঙ্গে আলোচনাও করা হয়নি৷ অধিকাংশ স্কুলে ধর্মীয় এবং সাধারণ, এই দুইভাগে আলাদা সেশন চালু করা হয়েছে৷

সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া অনেক অভিভাবকদের একজন পেরিহান ও্যসগ্যুন৷ তার অভিযোগ, যারা ধর্মীয় শিক্ষার দিকে যেতে চায় না, তাদের জন্য সমান সুযোগ রাখা হচ্ছে না৷ ধর্মীয় অংশের ক্লাসরুমগুলো ভালে, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন এবং বেতনও রাখা হয়েছে কম৷

সমালোচকেরা শিক্ষাব্যবস্থার এই হঠাৎ পরিবর্তনের কারণেই শিক্ষার্থীদের পারফরম্যান্সে ধস নেমেছে বলে মনে করছেন৷ উচ্চশিক্ষা লাভের জন্য তুরস্কের শিক্ষার্থীদের টার্কিশ সেন্ট্রাল এগজাম পাস করতে হয়৷ ইমাম হাতিপ স্কুলগুলো থেকে আসা শিক্ষার্থীদের অধিকাংশই এই পরীক্ষায় খারাপ ফল করেন৷

জাতীয় শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে এই স্কুলগুলো থেকে আসা শিক্ষার্থীদের মাত্র ৩৮ শতাংশ ২০১৮ সালের পরীক্ষায় পাস করে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের যোগ্য বিবেচিত হয়েছেন৷ অন্য স্কুলগুলোর তুলনায় এ হার খুবই কম৷

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেচেপ তাইয়্যিপ এরদোয়ান নিজেও ১৯৬০ সালের দিকে ইস্তানবুলের ইমাম হাতিপ স্কুলে পড়াশোনা করেছেন৷ তখন এ ধরনের স্কুলের সংখ্যা খুব কম ছিল৷ কিন্তু ক্ষমতায় আসার পর থেকে এ ধরনের স্কুলকে মূলধারার স্কুলে পরিণত করার উদ্যোগ নিয়েছেন এরদোয়ান৷

এর আগেও প্রায়ই এরদোয়ান বলেছেন, তুরস্কে একটি ধর্মভিরু প্রজন্ম গড়ে উঠুক, এটিই তার লক্ষ্য৷ কিন্তু স্কুলগুলোর শিক্ষাব্যবস্থায় হস্তক্ষেপ করে তিনি বরং একটি রক্ষণশীল প্রজন্ম করে তোলার দিকেই বেশি মনোযোগ দিয়েছেন বলে অভিযোগ সমালোচকদের৷

বুরচু কারাকাস, ডানিয়েল ডেরিয়া বেলুট/এডিকে

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান