1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির জন্য আওয়ামী ব্যবসায়ী সিন্ডেকেট দায়ী’

২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

মুষ্টিমেয় লোভী ব্যবসায়ীদের কারণে নিত্যপণ্যের বাজার ঊর্ধ্বমুখী বলে মনে করেন আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান৷ তবে এজন্য আওয়ামী লীগের ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটকে দায়ী করেন সাবেক সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ৷

https://p.dw.com/p/4Nx2L
মুষ্টিমেয় লোভী ব্যবসায়ীদের কারণে নিত্যপণ্যের বাজার ঊর্ধ্বমুখী বলে মনে করেন আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান৷ তবে এজন্য আওয়ামী লীগের ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটকে দায়ী করেন সাবেক সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ৷
ছবি: DW

শুক্রবার ‘ডয়চে ভেলে খালেদ মুহিউদ্দীন জানতে চায়' টকশো-তে যোগ দিয়ে তারা এসব কথা বলেন৷ এবার আলোচনার বিষয় ছিল ‘বাজারে আগুন: পুড়ছে কারা, লাভ কাদের?’

মুষ্টিমেয় লোক কারা, কেন তাদের চিহ্নিত করা যাচ্ছে না এমন প্রশ্ন রাখা হয় সিদ্দিকুর রহমানের কাছে৷ জবাবে তিনি বলেন, ‘‘এটা কিন্তু আসলে ধরা বড় মুশকিল৷ একেক সময় একেক জন করে একেকটা জিনিস৷ এখানে তাকে আইডেন্টিফাই করে, তাকে টার্গেট করে শাস্তি দেয়া, এটা খুব ডিফিকাল্ট জিনিস৷’’

তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন গভর্নরকে নিয়ে আশাবাদী এই ব্যবসায়ী নেতা৷ তিনি বলেন, ‘‘তিনি (বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর) চেষ্টা করছেন যে, এলসি ওভার ইনভয়েস, আন্ডার ইনভয়েস-এগুলো হয় কিনা৷ হয়, হয় না যে তা নয়৷ আপনি দেখেছেন কিছুদিন আগে তিনি ১০০টি এলসি বন্ধও করেছিলেন৷ এসবের সঙ্গে যারা জড়িত, চেষ্টা করছেন তাদেরকে আইডেন্টিফাই করার জন্য ও আইনের আওতায় আনার জন্য৷’’

সিদ্দিক আরো বলেন, ‘‘কমোডিটি আইটেম এমন জিনিস যে, তারা বারবার অজুহাত দিয়ে পার পেয়ে যায়৷ চট্টগ্রাম বন্দরে বসে থাকতে হয়, আনলোড করতে পারে না৷ বিভিন্ন রকমের কথাবার্তা থাকে৷ তেলের দাম বেড়ে, ট্রান্সপোর্টেশন কস্ট বেশি, এসব জিনিস কিন্তু তারা বের হয়ে যায়৷ কিন্তু সরকার চেষ্টা করছে৷’’

বিএনপি নেতা হারুনুর রশীদ বলেন, ‘‘ব্যবসায়ীদের ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ-বিএনপি মাইন্ডেড ব্যবসায়ী তো আছেই৷ স্বাভাবিকভাবেই ব্যবসায়ীরা যারা রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে যারা আওয়ামী লীগ করে আওয়ামী লীগের কাছ থেকে সুবিধা নেয়, তারা চাঁদা দেয়, আওয়ামী লীগকে বিভিন্নভাবে সহায়তা করে৷ এটা আজকে নতুন না৷ আমাদের যারা ব্যবসায়ী মহল রয়েছে, তারা বিভিন্ন ভাগে বিভক্ত৷ গত ১৫ বছর ধরে গোটা ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট কিন্তু ব্যবসায়ীদের নিয়ন্ত্রণে৷’’

দুর্নীতিবাজদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে দেশের সব মানুষের সহযোগিতা চেয়েছেন আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক৷

রাজনৈতিক দলগুলোকে ব্যবসায়ীদের চাঁদা দিতে হয় বলে যে প্রচলিত ধারণা সমাজে রয়েছে, তা স্বীকার করেছেন বিএনপি নেতা হারুনুর রশিদ৷ তবে সেটাকে চাঁদা বলতে নারাজ তিনি৷ পরিবর্তে ‘আর্থিক সহায়তা’ বলে এটিকে ‘স্বাভাবিক কারণ' হিসেবে দেখতে চান তিনি৷

হারুনুর রশীদ বলেন, ‘‘আসলে ব্যবসায়ীদের চাঁদার কথাটা ওইভাবে না বলে...ব্যবসায়ীরা রাজনৈতিক দলগুলোকে আর্থিক সহায়তা দেয়৷ এটা তো বাস্তব সত্য৷’’

তিনি বলেন, ‘‘আমাদের বিএনপি-আওয়ামী লীগ যেকোনো রাজনৈতিক দলের মধ্যে যারা ব্যবসায়ী, যাদের সমর্থন রয়েছে তারা তো স্বাভাবিক কারণে আর্থিকভাবে তাদের সমর্থিত দলকে আর্থিক সহায়তা করতেই পারে৷’’

ব্যবসায়ীদের চাঁদা প্রসঙ্গে সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘‘আমার জীবনে আমি কাউকে চাঁদা দিইনি, না কোনো পলিটিশিয়ানকে, না কোনো চাঁদাবাজকে৷ আমার জীবনে কাউকে আমি চাঁদা দিইনি৷’’

কখনও চাঁদা নিয়েছেন কিনা জানতে চাইলে হাসতে হাসতে তিনি বলেন, ‘নিইনি, দিইনি৷’’

এফএস/টিএম

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান