‘দ্য লায়নেস’ : কেনিয়ার মাসাই ‘সিংহী দল
কেনিয়ার আম্বোসেলি ন্যাশনাল পার্কের সব জীবজন্তুর নিরাপত্তার দায়িত্বে এক দল নারী৷মাসাই নৃ-গোষ্ঠীর সেই নারীদের জীবন দেখুন ছবিঘরে...
ভাষার নাম ‘মা’
কেনিয়ার জঙ্গলে বসবাসরত নৃ-গোষ্ঠী মাসাই৷ নিলো-সাহারা ভাষার অন্যতম ‘মা’ ভাষায় কথা বলেন তারা৷ যাযাবর যোদ্ধা হিসেবে পরিচিত এই আদিবাসীদের নারীদের দেয়া হয়েছে আম্বোসেলি ন্যাশনাল পার্কের রেঞ্জারের দায়িত্ব৷ ছুটিতে বাড়ি আসা টিম লায়নেস-এর এক সদস্যকে স্বাগত জানাচ্ছেন ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরা মা্সাই নারীরা৷
কাঠ সংগ্রহ
কেনিয়ায় প্রথম করোনায় সংক্রমিত ধরা পড়ার দিনে আম্বোসেলি ন্যাশনাল পার্কে টহল দিচ্ছিলেন দ্য লায়নেস-এর সদস্যরা৷ সেদিনই তারা ঠিক করেন, মাস চারেক অন্তত কর্মস্থল ছাড়বেন না৷ চার মাস সেখানেই থেকেছেন৷ ছবিতে কাঠ সংগ্রহ করছেন দ্য লায়নেস-এর কয়েকজন সদস্য৷
পশু-পাখিদের স্বার্থে
বাড়িতে গিয়ে কেউ করোনায় সংক্রমিত হলে সঙ্গে সঙ্গে আম্বোসেলি ন্যাশনাল পার্কে ফিরে পশু-পাখিদের দেখভাল করতে পারবেন না ৷ দ্য লায়নেসের সদস্যরা কোয়ারান্টিনে গেলে শিকারীদের অবৈথভাবে পশু শিকার সহজ হয়ে যেতো৷ শিকারীদের রোখার জন্য করোনাকালেও আম্বোসেলিতে থাকার সিদ্ধান্ত নেন মাসাই নারীরা৷
জিরাফ রক্ষা
দ্য ইন্টারন্যাশনাল ফান্ড ফর অ্যানিমেল ওয়েলফেয়ার-এর অর্থায়নে ২০১৭ সালে কাজ শুরু করে দ্য লায়নেস৷ গাড়ি নিয়ে টহলে বের হওয়া এই রেঞ্জারদের একজন জানান, সপ্তাহ খানেক আগে একটি জিরাফকে হত্যা করার সময় দুই শিকারীকে আটক করেন তারা৷
হাতিদর্শন
টহল গাড়ির খুব কাছে এসে দাঁড়িয়েছে এক হাতি৷ প্রায়ই এমন অভিজ্ঞতা হয় দ্য লায়নেস-এর৷
গাছের ছায়ায়
টহল দিতে দিতে ক্লান্ত মাসাই নারীরা৷ তাই গাছতলায় একটু বিশ্রাম৷
সজাগ দৃষ্টি
বাড়ি বাড়ি গিয়ে খোঁজ নিতে হয় এলাকায় বাঘ, সিংহ হানা দেয় কিনা, তারা ঘরের গরু-ছাগল খেয়ে ফেলে কিনা৷ কখনো আবার দূরবীনে চোখ রেখে দেখতে হয় সন্দেহভাজন কোনো ব্যক্তি এলাকায় ঢুকেছে কিনা৷
ক্যাম্পে খাওয়া
এক সঙ্গে ক্যাম্পে থাকেন মাসাই নারীরা৷ সেখানে রাতের খাবার পরিবেশন করছেন একজন৷