দ্বিতীয় ঢেউয়ের ভয়াবহ স্মৃতি কাটিয়ে দিল্লি স্বাভাবিক হচ্ছে
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে দিল্লির অবস্থা ছিল ভয়াবহ। সেই স্মৃতি কাটিয়ে রাজধানী এখন স্বাভাবিক হচ্ছে।
পরিস্থিতি ভয়াবহ ছিল
কিছুদিন আগেও করোনায় বেহাল ছিল দিল্লি। প্রতিদিন তিন হাজারের বেশি মানুষ আক্রান্ত হচ্ছিলেন। মারা যাচ্ছিলেন প্রচুর মনুষ। হাসপাতালে বেড ছিল না। অক্সিজেনের আকাল। অক্সিজেন না পেয়ে মানুষের দুর্ভোগের অন্ত ছিল না। ওষুধ পাওয়া যাচ্ছিল না। শ্মশানে, কবরস্থানে লম্বা লাইন। তারপর কড়া লকডাউন চালু হয়।
রাজধানীর অবস্থা
এখন দিল্লির অবস্থা অনেকটাই ভাল। দিনে করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন একশর মতো মানুষ। লকডাউনের কড়াকড়ি অনেকটাই শিথিল হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে দিল্লির লাগোয়া গুরুগ্রাম, নয়ডা, ফরিদাবাদেও।
বাজারে ভিড়
লকডাউন তুলে নেয়ার পর বাজারে আবার প্রবল ভিড়। ফিরে এসেছে চেনা ছবি। কিন্তু এর ফলে কি করোনার প্রকোপ আবার বাড়বে? দিন কয়েক আগে দিল্লিতে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা কমে হয়েছিল ৫৯। এখন তা আবার একশ ছাড়িয়েছে। গুরুগ্রামের একটি বাজারের ছবি।
শপিং মলেও মানুষ
খুলে গেছে শপিং মল। যথারীতি সেখানেও ভিড় হতে শুরু করেছে।
অফিস খোলা
সরকারি ও বেসরকারি অফিসও খুলেছে। তবে এখনো অফিসগুলিতে প্রতিদিন ৫০ শতাংশ কর্মী যাচ্ছেন। কনট প্লেসের গাড়ি পার্কিংয়ের এই ছবিই বলে দিচ্ছে দিল্লির পরিস্থিতি।
খুলেছে অস্থায়ী বাজারও
রস্তার ধারের বাজারও খুলছে। ভিড়ও হচ্ছে। এতদিন ধরে বাড়িতে বন্দি মানুষ লকডাউনের বিধিনিষেধ শিথিল হতেই নেমে পড়েছেন রাস্তায়। কেনাকাটা করতে।
ভ্যাকসিনে জোর
কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার ভ্যাকসিন দেয়ার গতি বাড়াতে চাইছে। রাজ্য সরকার এখন তাদের স্কুলেও ভ্যাকসিন সেন্টার খুলেছে। বিনা পয়সায় সেখানে টিকা দেয়া হচ্ছে। উপরের ছবিতে ভ্যাকসিন নেয়ার জন্য অপেক্ষা করছেন মানুষ।