দ্বিতীয় এলিজাবেথের শেষকৃত্য সম্পন্ন
সোমবার সন্ধ্যায় বাবা-মা-বোনের পাশে রাখা হলো রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের কফিন। তার স্বামীর কফিনও রাখা হয়েছে সেখানেই।
বিরাট আয়োজন
সোমবার গোটা লন্ডন ঢেকে ফেলা হয়েছিল পুলিশি নিরাপত্তায়। রাস্তার ধারে হাজার হাজার মানুষ জড়ো হয়েছিলেন রানিকে শেষ বিদায় জানাতে।
১৯৬৫ সালের পর
১৯৬৫ সালে রানি এলিজাবেথের প্রথম প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিলের মৃত্যু হয়। সেবারেই শেষ এই পরিমাণ আয়োজন দেখেছিল লন্ডন। রানির স্বামীর মৃত্যুর পরেও এত জনসমাগম হয়নি। করোনার কারণে সেই অনুষ্ঠান ছোট করা হয়েছিল।
৪০০ অভ্যাগত
গোটা বিশ্ব থেকে ৪০০ অভ্যাগত রানিকে শেষ বিদায় জানাতে লন্ডনে গেছিলেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন থেকে ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁ, বিশ্বের একাধিক রাজ পরিবারের সদস্য, যুক্তরাজ্যের সমস্ত বিশিষ্ট ব্যক্তি এদিনের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন। ছিলেন ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু।
শেষকৃত্যের মুহূর্তে
ওয়েস্ট মিনস্টার থেকে রানির দেহ নিয়ে যাওয়া হয় রয়্যাল কবরস্থানে। যেখানে কবর দেওয়া হয়েছিল রানির বাবা ষষ্ঠ জর্জ, মা, বোন মারগারেটকে। গত বছর ৯৯ বছর বয়সে স্বামী ফিলিপের মৃত্যু হয়েছিল। তার কফিনটিও এদিন বার করে আনা হয়। রানির পাশে তার কফিনটি রাখা হয়।
পরিবারের সামনে
স্থানীয় সময় সন্ধে সাড়ে সাতটায় রানির কফিন চ্যাপেলের কবরস্থানে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। সেখানে রাজপরিবারের সদস্য ছাড়া আর কেউ উপস্থিত ছিল না।
লন্ডন পুলিশের পরিকল্পনা
এত জনসমাগম লন্ডন কখনো দেখেনি বলে দাবি করেছে লন্ডনের পুলিশ। প্রতিটি হোটেল, রাস্তা নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয়েছিল।
মঙ্গলবার থেকে আবার কাজ
সোমবার রাষ্ট্রীয় ছুটি ঘোষণা করা হয়েছিল। মঙ্গলবার থেকে আবার কাজে ফিরবে যুক্তরাজ্য।