1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

দোষ স্বীকার ফ্লয়েডের হত্যাকারীর

১৬ ডিসেম্বর ২০২১

অবশেষে আদালতের সামনে হত্যার দায় স্বীকার করে নিলেন জর্জ ফ্লয়েড হত্যায় জড়িত পুলিশ অফিসার। শাস্তি এখনো ঘোষণা হয়নি।

https://p.dw.com/p/44LCM
জর্জ ফ্লয়েড
ছবি: Chris Tuite/ImageSPACE/ZUMAPRESS/picture alliance

এর আগে আদালতের সামনে নিজেকে নির্দোষ বলেছিলেন তিনি। বুধবার মত বদলালেন মিনেসোটায় জর্জ ফ্লয়েড হত্যার মূল অভিযুক্ত পুলিশ অফিসার ডেরেক শওভিন। বিচারকের প্রশ্নের উত্তরে নিজের দোষ কবুল করেছেন তিনি। এর ফলে তার জেল হেফাজতের সময় কমতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

চলতি বছরের গোড়াতেই দোষী প্রমাণিত হয়েছিলেন ওই বর্ণবাদী পুলিশ অফিসার। নিজেকে তিনি নির্দোষ বললেও আদালত তাকে সাড়ে ২২ বছর জেলজীবনের শাস্তি দিয়েছিল। বুধবার সেই নির্দোষ প্রমাণের শুনানি ছিল। কিন্তু আদালতকে অভিযুক্ত জানান, তিনি মত পরিবর্তন করেছেন। তিনি দোষ স্বীকার করতে চান। বিচারক এরপর ওই পুলিশ অফিসারকে জিজ্ঞাসা করেন, ফ্লয়েডের ঘাড়ের উপর তিনি নয় মিনিটেরও বেশি সময় পা তুলে রেখেছিলেন কি না! ফ্লয়েড অচৈতন্য হয়ে যাওয়ার পরেও তিনি তা তুলে রেখেছিলেন কি না! তিনি জেনেবুঝেই ফ্লয়েডকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছিলেন কি না! শওভিন সবকটি অভিযোগই মেনে নেন। বুধবার বিচারক তার শাস্তি শোনাননি।

দোষ স্বীকার করায় ওই পুলিশ অফিসারের শাস্তির মেয়াদ কমতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।বিচারক যদি ২৫ বছরের সাজা দেন আর অপরাধী যদি জেলে ভালো ব্যবহার করেন, তাহলে সাড়ে ছয় বছরের মধ্যে তিনি মুক্তি পেতে পারেন। সেই হিসেব মাথায় রেখেই অপরাধী দোষ স্বীকার করেছেন বলে মনে করা হচ্ছে।

জেলেসংকীর্ণ সলিটারি কনফাইনমেন্টে রাখা হয়েছে ওই পুলিশ অফিসারকে। এদিন কমলা রঙের জেলের পোশাকে আদালতে গিয়েছিলেন তিনি। আদালতের বাইরে তার হাতে হাতকড়া ছিল।

মুক্তি পেলেও আর কখনো পুলিশে ফিরে যেতে পারবেন না ওই অফিসার। তেমন একটি চুক্তিপত্রে তাকে সই করতে হয়েছে।

ফ্লয়েডের আইনজীবী জানিয়েছেন, অবশেষে সত্যের জয় হলো। অপরাধীর দোষ স্বীকার প্রমাণ করে দিল আন্দোলনের শক্তি আছে। বস্তুত, ফ্লয়েড হত্যার পরেই ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছিল গোটা অ্যামেরিকায়।

এসজি/জিএইচ (এপি, রয়টার্স)