দেয়ালের বাধা মানেনি যে প্রেম
দীর্ঘকাল দেয়ালে বিভক্ত ছিল জার্মানি৷ তবে বার্লিনের সেই প্রাচীর থামাতে পারেনি বহু যুগলের হৃদয়ের স্পন্দন৷ প্রাচীর পতনের তিন দশক পরও অনেক যুগল স্মৃতিচারণ করেন সেই সময়ের আনন্দ
সীমান্তের ওপারে ভালোবাসা
দেয়ালের ব্যবধা্নে জার্মানি আলাদা হয়ে গেলেও তখনকার পূর্ব আর পশ্চিম জার্মানির মানুষের ভাষা আর সংস্কৃতি একই ছিল৷ সংস্কৃতির এ মেলবন্ধন মিলন ঘটিয়েছে অনেক হৃদয়ের৷ তবে সীমান্তের ওপারে থাকা ভালোবাসায় ছিল বেদনাও৷
বিদেশিকে ভালোবাসা
‘‘জীবনসঙ্গীর সাথে আমার প্রথম দেখা হয় ১৯৮৯ সালে বার্লিন দেয়ালের পতনের পর৷ আমরা একই ভাষায় কথা বলি, কিন্তু তার বাড়ি পূর্ব জার্মানি আর আমার পশ্চিম জার্মানি৷ আমি প্রেমে পড়লাম এক বিদেশির,’’ এভাবেই ভালোবাসার দিনগুলোর স্মৃতিচারণ করলেন এক জার্মান যুগল৷
ভালোবাসার টানে স্থান বদল
১৯৯০ সালের প্রথম দিকে দলে দলে মানুষ পূব থেকে পশ্চিমে চলে আসতে শুরু করে৷ এই সুযোগে নিজেদের আবাস পরিবর্তন করেন অনেক প্রেমিকযুগল৷ সেই সময় তাদের অবৈধ অভিবাসী হিসেবে দেখা হতো৷
পূর্ব, না পশ্চিম বুঝবেন কিভাবে?
কেউ যখন পূর্ব জার্মানি থেকে পশ্চিমে বা পশ্চিম থেকে পূর্ব জার্মানিতে আসতেন তখন কী দেখে বোঝা যেতো কে কোন দেশের? এর উত্তরে কেউ কেউ বলছেন পোশাক দেখে আন্দাজ করার কথা৷
অবশেষে শুভক্ষণ
১৯৯০ সালের তিন অক্টোবর আনুষ্ঠিকভাবে একত্রিত হয় দুই জার্মানি৷ অবসান হয় এমন হাজারো যুগলের অপেক্ষা আর বেদনার৷
স্বাগতম জানালেন সবাই
অনেক জার্মান মনে করেন, বার্লিন দেয়ালের পতন শুধু দুই জার্মানিকে শুধু এক করেনি, এটি দু’ভাগ হয়ে যাওয়া একটি সংস্কৃতিকে আবার এক করেছে, গণতন্ত্রকেও এগিয়ে নিয়েছে৷