1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মেসিডোনিয়ায় বিক্ষোভ

৪ জুন ২০১৮

নাম পরিবর্তন নিয়ে গ্রিসের সঙ্গে মেসিডোনিয়ার তরজা এখন সপ্তমে৷ নাম বিতর্কে মেসিডোনিয়া ইউরোপীয় ইউনিয়নে যুক্ত হওয়া পিছিয়ে যেতে পারে৷ অখুশি গ্রিস সে ক্ষেত্রে ভেটো দিতে পারে৷

https://p.dw.com/p/2yuxO
ছবি: Reuters/O. Teofilovski

নাম বদল নিয়ে যখন মেসিডোনিয়া ও গ্রিসের আলোচনা চূড়ান্ত পর্বে এসে পৌঁছেছে, সে সময় নাম পরিবর্তনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে মেসিডোনিয়ায়৷ এমনকি নাম বদলের বিতর্কে দুই শিবিরে বিভক্ত হয়ে পড়েছে মেসিডোনিয়া৷ হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমেছেন৷ শনিবার নাম পরিবর্তনের বিরুদ্ধে দক্ষিণপন্থিরা রাজধানী স্কোপজেতে বিক্ষোভ দেখান৷ 

দক্ষিণপন্থি দল ভিএমআরও-ডিপিএমএনই মেসিডোনিয়ার পতাকা হাতে নিয়ে জমায়েত করে প্রতিবাদীদের হাতে ছিল ব্যানার৷ কিছু ব্যানারে লেখা ছিল. ‘মেসিডোনিয়ার জয় হবে৷' ২৭ বছর ধরে এই নাম নিয়ে মেসিডোনিয়ার সঙ্গে গ্রিসের বিবাদ চলছে৷ মেসিডোনিয়ার প্রধানমন্ত্রী জোরান জায়েভ বলেছেন, তাঁরা এই বিবাদ নিষ্পত্তির শেষ পর্যায়ে রয়েছেন৷

মেসিডোনিয়ার নাম নিয়ে গ্রিসের আপত্তি রয়েছে৷ কারণ, গ্রিসের উত্তরে একটি প্রদেশের নামও মেসিডোনিয়া৷ গ্রিসের আশঙ্কা, নামের মিল থাকায় তা থেকে সীমান্ত সমস্যা তৈরি হতে পারে৷ এই বিবাদের জেরে মেসিডোনিয়ার ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ন্যাটোর সদস্য হওয়ার লক্ষ্য বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে৷ নাম বিতর্কে গ্রিসের ইচ্ছেয় সায় না দিলে ভেটো দিতে পারে তারা৷ সে ক্ষেত্রে মেসিডোনিয়া ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য হতে পারবে না৷

বিরোধী দলের নেতা মিকোস্কি জানান, তাঁর দল ভিএমআরও-ডিপিএমএনএই কোনওভাবেই সংবিধানের বিরুদ্ধে গিয়ে নাম পরিবর্তনে সায় দেবে না৷ প্রতিবাদ মিছিলের আগে তিনি বলেন, ‘‘এই ব্যাপারে আমরা খুবই পরিষ্কার৷''

নতুন নামে অবশ্যই ‘মেসিডোনিয়া' শব্দটি থাকবে৷  সম্ভাব্য নামগুলির মধ্যে ‘নিউ ম্যাসিডোনিয়া' এবং ‘আপার ম্যাসিডোনিয়া' নামগুলি আছে৷ 

গ্রিসের আপত্তি সত্বেও এই দেশ ‘ফর্মার যুগোস্লাভ রিপাবলিক অফ মেসিডোনিয়া' নামে ১৯৯৩ সালে জাতিসংঘে যোগ দিয়েছিল৷  

পিএস/এসিবি