দেশটা আবার পাকিস্তান হয়ে যাচ্ছে | পাঠক ভাবনা | DW | 29.12.2015
  1. Inhalt
  2. Navigation
  3. Weitere Inhalte
  4. Metanavigation
  5. Suche
  6. Choose from 30 Languages

পাঠক ভাবনা

দেশটা আবার পাকিস্তান হয়ে যাচ্ছে

‘রাতে নয়, আনন্দ করতে হবে দিনে' বর্ষবরণে পুলিশের এই নিষেধাজ্ঞা এবং সন্ধ্যার পরে উৎসব না করার পরামর্শ প্রধানমন্ত্রীর৷ এ সম্পর্কে জেনে বেশিরভাগ পাঠকই খুশি হয়েছেন৷ তবে কেউ কেউ আবার বিরূপ মন্তব্যও করেছেন আমাদের ফেসবুক পাতায়৷

বর্ষবরণের এই নিষেধাজ্ঞার খবরে আমাদের ফেসবুকে পাঠক হরি খান এটাকে সঠিক সিদ্ধান্ত বলেই মন্তব্য করেছেন৷ তিনি লিখেছেন, ‘‘অবশ্যই সিদ্ধান্তটা সঠিক হয়েছে, আমাদের সেই বাঁধন আপুর কথা মনে পড়ে গেল৷ আর যেহেতু এটা ইংরেজি বছর এভাবে আনন্দ না করা ভালো৷''

এই সিদ্ধান্ত কিন্তু মোহাম্মদ আরিফুল হুদার একেবারেই পছন্দ হয়নি৷ তাঁর ভাষায় ‘‘আওয়ামী লীগ দিন দিন দেশটাকে পাকিস্তানের মতো বানাইতেছে৷ পাকিস্তানের মতো মসজিদে হামলা৷ তাই তিনি বাঙালিকে জেগে ওঠার আহ্বান জানিয়েছেন এভাবে: ‘‘জেগে উঠো বাঙালি, হটাও শেখ হাসিনা, তা না হলে দেশটা ধ্বংস হয়ে যাবে৷''

তবে পাঠক শিশিরের মতে এটা দারুণ সিধান্ত৷ তিনি লিখেছেন, ‘‘সরকারকে ধন্যবাদ, এটা যেন অব্যাহত থাকে সব বছর৷ অনেক ছেলে-মেয়েরা নোংরামি করতে পারবে না৷''

ফয়সাল আহমেদ কার্যকর সিদ্ধান্তের জন্য ধন্যবাদ দিয়েছেন৷ পাঠক তানভির ও তানজিলা আকতার জুম্মু সরকারকে ধন্যবাদ দিয়েছেন এই ভাবনার জন্য৷ ডয়চে ভেলের ফেসবুক বন্ধু মাসুমও এই পরামর্শকে সমর্থন করেছেন৷

সৌরভ পাল বলছেন, ‘‘উচিত কাজ হয়েছে, কারণ বছরের শেষ দিনে ঢাকায় যা চলে তা নাকি অনৈতিক৷''

নাঈম সরকারেরও প্রায় একই মত৷ তাঁর মন্তব্য, সরকার একটা ভালো সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷ অভি রহমান ও মোহাম্মদ হাবীবুর রহমানের মতেও এটা খুব ভালো সিদ্ধান্ত ৷ পাঠক বুলবুল তো আরবী বছর বাদ দিয়ে ইংরেজি বছর নিয়ে এতে মজা করতে হবে কেন – সেটাই বুঝে পান না৷

শহিদুল ইসলামের মতে, বাংলাদেশ নাকি পাকিস্তান হয়ে যাচ্ছে৷ ‘‘দেশটা আবার পাকিস্তান হয়ে যাচ্ছে৷'' হ্যাঁ, ঠিক এই কথাটাই লিখেছেন ফেসবুক পাতায় পাঠক শহিদুল ইসলাম৷

ঢাকায় ঘরের বাইরে নতুন বছর উদযাপনে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে বাংলাদেশ পুলিশ৷ সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন মসজিদে বোমা হামলায় প্রাণহানির কারণে পুলিশ এই ঘোষণা দেওয়ায় আনোয়ার হোসেন চটে গেছেন এবং পুলিশদের সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য করেছেন৷

সংকলন: নুরুননাহার সাত্তার

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

নির্বাচিত প্রতিবেদন