1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

দেশ ছাড়ছেন স্পেনের প্রাক্তন রাজা

৪ আগস্ট ২০২০

চল্লিশ বছর ধরে তিনি স্পেনের রাজা ছিলেন। কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির তদন্ত শুরু হতেই দেশ ছাড়ছেন প্রাক্তন রাজা খুয়ান কার্লোস ওয়ান।

https://p.dw.com/p/3gN1b
ছবি: picture-alliance/AP Photo/A. Comas

তাঁর দেশ ছাড়ার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে নিজের ছেলে ও বর্তমান রাজা ষষ্ঠ ফেলিপেকে একটি চিঠি লিখেছেন খুয়ান কার্লোস। তাতে বলেছেন, ''আমি সব সময় স্পেন ও রাজতন্ত্রের ভালো চেয়েছি। দেশের লোকের সেবা করেছি।'' ওই চিঠিতেই দেশ ছাড়ার সুচিন্তিত সিদ্ধান্তের কথাও জানিয়েছেন তিনি। 

স্পেনের প্রাক্তন রাজা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এমন একটা সময়ে যখন তাঁর বিরুদ্ধে অর্থ নয়ছয় ও বিদেশে অর্থ পাচারের অভিযোগে মাস দুয়েক আগে তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযোগ, তিনি সৌদি আরব থেকে আট কোটি ৫০ লাখ ইউরো নিয়েছিলেন।

প্যালেসের বর্তমান আধিকারিকরা জানিয়েছেন, বর্তমান রাজা তাঁর বাবার প্রতি শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। তবে কবে তিনি দেশ ছাড়বেন এবং কোথায় যাবেন সে বিষয়ে কিছু জানাননি হুয়ান।

স্পেনের ডিক্টেটর ফ্রান্সিসকো ফ্রাংকো ১৯৭৫ সালে মারা যাওয়ার পর খুয়ান কার্লোস ওয়ান রাজা হন। স্পেনে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পিছনে তাঁর অবদান প্রচুর। এমনিতে তিনি ছিলেন জনপ্রিয় রাজা। কিন্তু ২০১২ সালে স্পেন যখন আর্থিক সংকটের ধাক্কায় বেসামাল, তখন তিনি বতসোয়ানায় বিলাসবহুল ছুটি কাটান। তা নিয়ে সে সময় প্রচুর বিতর্ক হয়। 

দুই বছর পর ২০১৪ সালে ছেলেকে রাজা করেন খুয়ান কার্লোস। তখন তিনি বলেন, ভুল সংশোধন করে নিজেকে সংশোধন করে বাকি জীবন কাটাতে চান তিনি। সেই সময় তাঁর মেয়ে রাজকুমারী ক্রিস্টিনাকে নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগে দেশে তোলপাড় হয়। আদালতে অবশ্য তাঁকে নির্দোষ বলে রায় দেয়। কিন্তু  ২০১৫তে তাঁর ডাচেস উপাধি কেড়ে নেওয়া হয়। 

এই বছরের গোড়ায় বর্তমান রাজা তাঁর বাবার প্যালেস ভাতা বন্ধ করে দেন। তাঁর বিরুদ্ধে সুইজারল্যান্ডে তদন্ত শুরুর পরই এই সিদ্ধান্ত নেন বর্তমান রাজা। তবে এ নিয়ে রাজপ্রাসাদেও মতবিরোধ ছিল। একাংশের মতে, বর্তমান রাজা তাঁর বাবার দুর্নীতির খবর আগে থেকেই জানতেন।

প্রাক্তন রাজার দেশ ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে রাজনৈতিক মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। উপ প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এভাবে পালিয়ে যাওয়াটা রাজাসুলভ কাজ নয়। বরং তাঁর নিজের দেশের লোকের কাছে দায়বদ্ধ থাকা উচিত। তাঁর এই সিদ্ধান্তকে গণতান্ত্রিক সরকার স্বাগত জানাতে পারে না।

জিএইচ/এসজি(এপি, ইএফই)