1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
রাজনীতিইউক্রেন

দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে ইউক্রেন

২৫ এপ্রিল ২০২৪

সামরিক সহায়তার অনুমোদনের আগেই ইউক্রেন অ্যামেরিকা থেকে দূর পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র হাতে পেয়ে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ব্যবহার করেছে বলে জানা গেছে৷ জরুরি ভিত্তিতে দ্রুত অস্ত্র পাঠানোর কাজ শুরু করেছে ওয়াশিংটন৷

https://p.dw.com/p/4f9xO
এম২৭০ আর্মি টেকনিক্যাল মিসাইল সিস্টেম (এটিএসিএমএস)-র পরীক্ষামূলকভাবে ছোঁড়ার দৃশ্য (২০২৩ সালের ফাইল ফটো)
সামরিক সহায়তা অনুমোদনের আগেই ইউক্রেন অ্যামেরিকা থেকে দূর পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র হাতে পেয়ে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ব্যবহার করেছেছবি: U.S. Army/Avalon/Photoshot/picture alliance

যুদ্ধক্ষেত্রে কোণঠাসা ইউক্রেন মার্কিন সামরিক সহায়তার জন্য বেশ কয়েক মাস অপেক্ষা করার পর আবার সাফল্যের আশা করছে৷ মাত্র চার দিনের মধ্যে মার্কিন কংগ্রেসের দুই পক্ষের অনুমোদন ও প্রেসিডেন্টের স্বাক্ষরের পর অস্ত্র, গোলাবারুদ ও সামরিক সরঞ্জাম দ্রুত ইউক্রেনের হাতে তুলে দেওয়ার কাজ শুরু করেছে বাইডেন প্রশাসন৷ আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্তের আগেই তার বেশ কিছু অংশ প্রস্তুত রাখা হয়েছিল৷ প্রেসিডেন্টের স্বাক্ষরের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সরবরাহের কাজ শুরু হয়েছে বলে মার্কিন প্রশাসন জানিয়েছে৷ প্রায় ৬০০ কোটি ডলার অংকের সহায়তা প্যাকেজের মধ্যে জরুরি ভিত্তিতে ১০০ কোটি ডলার অংকের অস্ত্র পাঠানো হচ্ছে৷

প্রকাশ্যে এমন উদ্যোগের পাশাপাশি মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এক গোপন জরুরি সামরিক সহায়তা প্যাকেজের আওতায় ইউক্রেনকে এই প্রথম দূর পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন৷ ইউক্রেনের অনুরোধেই গোপনীয়তার সেই বেড়াজাল রাখা হয়েছিল৷ রাশিয়া উত্তর কোরিয়া থেকে ব্যালিস্টিক মিসাইল হাতে পেয়ে ইউক্রেনে নিক্ষেপ করার পর বাইডেন এই সিদ্ধান্ত নেন৷

‘আর্মি ট্যাকটিকাল মিসাইল সিস্টেম' বা এটিএসিএমএস প্রায় ৩০০ কিলোমিটার দূরে লক্ষ্যবস্তুর উপর আঘাত হানতে পারে৷ তবে মার্কিন প্রশাসন সেটি প্রয়োগের শর্ত বেঁধে দিয়েছে৷ একমাত্র ইউক্রেনের রাশিয়া অধিকৃত অংশেই সেই ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা যাবে৷ রাশিয়ার ভূখণ্ডে সেটি নিক্ষেপ করা যাবে না৷ মার্কিন সংবাদ মাধ্যমের একাংশের সূত্র অনুযায়ী গত সপ্তাহেই ইউক্রেন সেই মিসাইল হাতে পেয়েছে এবং ব্যবহারও করেছে৷ এনবিসি নিউজ নেটওয়ার্কের দাবি, অধিকৃত ক্রাইমিয়া উপদ্বীপ ও বেরডিয়ানস্ক শহরের উপর হামলায় এটিএসিএমএস মিসাইল কাজে লাগিয়েছে ইউক্রেন৷ উল্লেখ্য, ইউক্রেন গত বছরের অক্টোবর মাসে অ্যামেরিকার কাছ থেকে এটিএসিএমএস মিসাইল পেয়েছিল৷ তবে সেই সংস্করণের আওতা ছিল ১৬৫ কিলোমিটার৷

মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন ইউক্রেনের জন্য সামরিক সহায়তাকে ইউরোপ ও অ্যামেরিকার নিরাপত্তার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ বিনিয়োগ হিসেবে বর্ণনা করেছেন৷ তার মতে, ইউক্রেনের পরাজয় ঘটলে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিন কোনো ন্যাটো সদস্য দেশের উপর সরাসরি আক্রমণ করবেন৷ সে ক্ষেত্রে অ্যামেরিকাকেও বাধ্য হয়ে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিতে হবে, ঠিক যেভাবে নাইন-ইলেভেনের পর ন্যাটো অ্যামেরিকার ডাকে সাহায্য করতে এগিয়ে এসেছিল৷

আগামী নভেম্বর মাসে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে সম্ভবত শেষ মার্কিন সহায়তা সত্ত্বেও যুদ্ধক্ষেত্রে ইউক্রেন কতটা সুবিধা করে উঠতে পারবে, সে বিষয়ে তর্কবিতর্ক চলছে৷ হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সালাইভান বলেন, মার্কিন সহায়তা সত্ত্বেও আগামী কয়েক সপ্তাহ ধরে রাশিয়া কিছু সাফল্য পেতে পারে৷ তার মতে, প্রায় ছয় মাসের বিলম্বের পর আবার মাথা তুলে দাঁড়াতে ইউক্রেনের কিছুটা সময় লাগবে৷

এসবি/কেএম (ডিপিএ এপি)