1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

দুর্নীতির জের ধরে বিপাকে ইউরোপের দুই দেশ

২৮ মে ২০১৯

অস্ট্রিয়ায় সরকারের পতন ও রোমানিয়ায় ক্ষমতাসীন দলের নেতার কারাদণ্ড – দুর্নীতি সংক্রান্ত দু'দুটি ঘটনা ইউরোপে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে৷ চরম দক্ষিণপন্থি ও ইইউ-বিরোধী রাজনৈতিক শক্তির ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠছে৷

https://p.dw.com/p/3JGbj
রোমানিয়ায় ইইউ-পন্থিদের বিক্ষোভ
ছবি: picture-alliance/dpa/AP Photo/V. Ghirda

ইউরোপে চরম দক্ষিণপন্থি ও ইউরোপ-বিরোধী শক্তির উত্থান বিগত কয়েক বছর ধরে মারাত্মক আকার ধারণ করেছে৷ অস্ট্রিয়া ও ইটালির মতো দেশের জোট সরকারের শরিক হিসেবে ক্ষমতাকেন্দ্রে থাবা বসিয়েছে চরম দক্ষিণপন্থি শক্তি৷ জার্মানিতে প্রধান বিরোধী দলের আসন দখল করেছে এই শিবিরের এএফডি দল৷ ইউরোপের পূর্বাংশে একাধিক দেশে এমন কিছু দল ক্ষমতায় এসেছে, যারা ইইউ-র মৌলিক মূল্যবোধকে চ্যালেঞ্জ করছে৷ কিন্তু দুর্নীতি, অভিবাসন বিরোধিতা, ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিরুদ্ধে বিষাদগারের মতো একাধিক কারণে বার বার সংবাদ শিরোনাম দখল করছে এই দলগুলির কার্যকলাপ৷

সম্প্রতি অস্ট্রিয়ায় এক কেলেঙ্কারির জের ধরে ক্ষমতা ছাড়তে হয়েছে চরমপন্থি এফপিও বা ফ্রিডম পার্টিকে৷ ইউরোপীয় পার্লামেন্ট নির্বাচনের ঠিক আগে এমন একটি ভিডিও প্রকাশ্যে চলে আসে, যাতে এই দলের শীর্ষ নেতার দুর্নীতি হাতেনাতে ধরা পড়েছে৷ ফলে জোট সরকার থেকে এই দলকে বাধ্য হয়ে বিদায় নিতে হয়েছে৷ রবিবার ইউরোপীয় পার্লামেন্ট নির্বাচনে ভালো ফল করা সত্ত্বেও সোমবার সংসদে অনাস্থা ভোটে হেরে গিয়ে সে দেশের চ্যান্সেলর সেবাস্টিয়ান কুয়র্ৎসকে বিদায় নিতে হলো৷ আগামী সেপ্টেম্বর মাসে আগাম নির্বাচনে সেই দেশের রাজনৈতিক সমীকরণের দিকে গোটা ইউরোপের নজর থাকবে৷

সোমবার দুর্নীতি সংক্রান্ত আরেকটি ঘটনা ইউরোপকে নাড়া নিয়েছে৷ রোমানিয়ার ক্ষমতাসীন দলের নেতা লিভিউ দ্রাগনেয়া সাড়ে তিন বছরের জন্য কারাবাস শুরু করেছেন৷ ইউরোপীয় পার্লামেন্ট নির্বাচনে দুর্নীতিতে জর্জরিত ক্ষমতাসীন দলের ভরাডুবির ঠিক পরের দিন রোমানিয়ার এক আদালত দ্রাগনেয়া-র বিরুদ্ধে কারাদণ্ডের রায় বহাল রেখেছে৷ ফলে তাঁর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়লো৷ বিচার ব্যবস্থার বিতর্কিত সংস্কারের উদ্যোগের কারণে দ্রাগনেয়া ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে বারবার সংঘাতে জড়িয়ে পড়ছিলেন৷ ফলে রোমানিয়া প্রথমবার ইইউ-র সভাপতি দেশের দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে চরম অস্বস্তিতে পড়েছিল৷

দ্রাগনেয়া এর আগেও নির্বাচনি কারচূপির অভিযোগে আদালতে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন৷ ফলে তিনি দলের নেতা হয়েও প্রধানমন্ত্রী পদে বসতে পারেননি৷ তবে ক্ষমতাকেন্দ্রের বাইরে থেকেও তিনি কলকাঠি নেড়ে চলছিলেন৷ মঙ্গলবার ক্ষমতাসীন দলের জরুরি বৈঠকে পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে আলোচনা করা হবে৷

মৌলিক মূল্যবোধ ও আইনের শাসন ইউরোপীয় ইউনিয়নের অত্যন্ত গর্বের বিষয়৷ অস্ট্রিয়া, রোমানিয়ার ঘটনার পাশাপাশি ক্ষুদ্র দেশ মাল্টার সরকারের বিরুদ্ধেও সোমবার সমালোচনা শোনা গেল৷ ২০১৭ সালের অক্টোবর মাসে সে দেশের এক সাংবাদিক হত্যার তদন্তে কোনো অগ্রগতির অভাবের জন্য সরকারের নিষ্ক্রিয়তাকে দায়ী করেছে ইউরোপীয় পরিষদ৷ আগামী বুধবার বিষয়টি নিয়ে একটি রিপোর্ট প্রকাশিত হবে৷

এসবি/এসিবি (এএফপি, রয়টার্স)