দুবাইয়ের আমিরের বিরুদ্ধে পলাতক স্ত্রীর মামলার শুনানি
প্রাণনাশের ভয়ে পালিয়েছেন বলে অভিযোগ দুবাই আমিরের স্ত্রী প্রিন্সেস হায়ার৷ লন্ডনের আদালতে স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেণ তিনি৷
দেখা গেল আদালতে
লন্ডনের একটি আদালতে গত মঙ্গলবার উপস্থিত হতে দেখা গেছে দুবাই আমিরের স্ত্রী প্রিন্সেস হায়া বিনত আল-হুসেইনকে৷ স্বামীর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের মামলার প্রথম শুনানির দিনে উপস্থিত হলেন তিনি৷
সন্তানকে নিজের কাছে রাখার দাবি
চলতি বছরের শুরুর দিকে দুবাই থেকে পালিয়ে লন্ডনে আশ্রয় নেন তিনি৷ জানা গেছে প্রিন্সেস হায়া ও দুবাই আমির শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদরে ১১ বছর বয়সি একটি কন্যা ও সাত বছর বয়সী একটি পুত্র সন্তান রয়েছে৷ সন্তানদের নিজের কাছে রাখার দাবি নিয়ে আদালতে হাজির হয়েছেন হায়া৷
আরো যত অভিযোগ হায়ার
লন্ডনে পালিয়ে এসে বেশ কয়েকটি মামলা দায়ের করেন তিনি৷ এর মধ্য রয়েছে সন্তানদের সুরক্ষায় জোরপূর্বক বিয়ে দেওয়া ঠেকানো ও সব ধরনের হয়রানি থেকে নিজেকে সুরক্ষার মামলা৷
কোথায় থাকেন হায়া?
প্রিন্সেস হায়া দুবাই থেকে প্রথমে জার্মানি গিয়ে রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়েছিলেন বলে জানা গেছে৷ জার্মানিতে রাজনৈতিক আশ্রয় না পেয়ে তিনি যান লন্ডনে৷ গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, হায়া লন্ডনের কেনসিংটনে অবস্থিত একটি মনোরম বাড়িতে বাস করেন যার মূল্য আনুমানিক দশ কোটি ডলার৷
দুজনেই পরিচিত লন্ডনে?
প্রিন্সেস হায়া পড়াশোনা করেছেন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে৷ তিনি একজন ক্রীড়াবিদও৷ ২০০০ সালের সিডনিতে অনুষ্ঠিত অলিম্পিকেও অংশগ্রহন করেছিলেন তিনি৷ এদিকে আমির শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদেরও সম্পর্ক রয়েছে বৃটিশ রাজপরিবারের সাথে৷
কে এই হায়া?
পুরো নাম প্রিন্সেস হায়া বিনত আল-হুসেইন৷ জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহর সৎ বোন তিনি আর দুবাই আমির শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদের ছয় নম্বর স্ত্রী৷
কেন পালিয়েছিলেন তিনি?
বিষয়টি এখনো স্পষ্ট নয় কেন প্রিন্সেস হায়া দেশ ত্যাগ করেছেন৷ তবে গণমাধ্যম বলছে এর মাঝে কোন পারিবারিক জটিলতা থাকতে পারে৷
ত্রিপাক্ষিক জটিলতা
যুক্তরাজ্যের সাথে দুবাইয়ের রয়েছে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক৷ প্রিন্সেস হায়ার এ বিষয়টি নিয়ে দুবাইয়ের সাথে পুরোনো এ সম্পর্ক নষ্ট করবে না যুক্তরাজ্য, বলছেন বিশেষজ্ঞরা৷ এদিকে হায়ার ভাই আবদুল্লাহও বেশ ঘনিষ্ঠ দুবাই শাসক মোহাম্মদ বিন রশিদের৷ আবার দুদেশের মধ্যে রয়েছে নিবিড় অর্থনৈতিক সম্পর্ক৷ এসব মিলিয়ে পরিস্থিতি বেশ জটিল৷