1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আত্মঘাতী হওয়ার প্রস্তুতি ছিল সবার!

হারুন উর রশীদ স্বপন ঢাকা
২৬ ডিসেম্বর ২০১৬

আটক দুই ‘নারী জঙ্গি' জেবুন্নাহার ওরফে শীলা ও তৃষামনি ওরফে উম্মে আয়েশাকে সাতদিনের পুলিশ রিমান্ডে নেয়া হয়েছে৷ এদের জিজ্ঞাসাবাদে ‘সুইসাইড মোটিভিশন' ও নারী আত্মঘাতী জঙ্গি সারিকার ব্যাপারে তথ্য পাওয়া যাবে বলে আশা৷

https://p.dw.com/p/2Ut7Q
ছবি: Bdnews24.com

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (মিডিয়া) মাসুদুর রহমান জানান, শনিবার ভোররাত থেকে রবিবার সন্ধ্য পর্যন্ত ঢাকার পূর্ব আশকোনার একটি বাড়িতে পুলিশি অভিযানে সারিকা আত্মসমর্পণের ভান করে এক পর্যায়ে আত্মঘাতী হয়৷ নিজের শরীরে বাধা ‘সুইসাইড ভেস্ট'-এর বিস্ফোরণ ঘটায় সে৷ ফলে সঙ্গে থাকা শিশু সন্তানটি আহত হয়৷ আর অপর দু'জন নারী জঙ্গি শিলা ও তৃষামনি দুই শিশুকে নিয়ে আত্মসমর্পণ করে৷''

এছাড়া অভিযানে আফিফ কাদেরি নামে আরো একজন নিহত হয়৷ সোমবার লাশের ময়না তদন্ত শেষে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ময়নাদন্তকারী চিকিৎসক সোহেল মাহমুদ জানান, ‘‘গুলিতেই আফিফ কাদেরি নিহত হয়েছিলেন৷''

পুলিশের একাধিক সূত্র জানায়, ‘‘পহেলা জুলাই হোলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলার পর জঙ্গিবিরোধী অভিযোন জোরদার করা হলে এ পর্যন্ত মোট ৩৫ জঙ্গি নিহত হয়েছে বাংলাদেশে৷ আশকোনা এলাকার জঙ্গি আস্তনায় পলাতক এবং নিহত জঙ্গিদের স্ত্রী ও পরিবারের সদস্যরা অবস্থান করছিল৷ আর তাদের কেন্দ্র করেই পলাতক নব্য জেএমবি-র জঙ্গিরা সংগঠিত হওয়ার কাজ চালিয়ে আসছিল৷''

পুলিশ ঐ বাড়ি থেকে ‘সুইসাইড ভেস্ট' ছাড়াও ১৯টি গ্রেনেড উদ্ধার করে
পুলিশ ঐ বাড়ি থেকে ‘সুইসাইড ভেস্ট' ছাড়াও ১৯টি গ্রেনেড উদ্ধার করেছবি: Bdnews24.com

আসামি দুই নারী জঙ্গির মধ্যে একজন হলো, মেজর জাহিদুল ইসলামের স্ত্রী রিমান্ডে নেয়া জেবুন্নাহার ওরফে শীলা৷ আর তৃষামনি ওরফে উম্মে আয়েশা নব্য জেএমবি-র এখনকার প্রধান আবু মুসার স্ত্রী৷ পুলিশ মুসাকে খুঁজছে৷ আত্মঘাতী নারী জঙ্গি সারিকা অন্য এক পলাতক জঙ্গি সুমনের স্ত্রী৷ গুলিতে নিহত আফিফ কাদেরি আজিমপুরে নিহত তানভীর কাদেরির ছেলে৷

মাসুদুর রহমান জানান, ‘‘নারী জঙ্গিরা প্রধানত স্বামী অথবা পরিবারের মাধ্যমে জঙ্গি দলে ভিড়েছে৷ দুঃখের বিষয়, এই নারীদের ব্যবহার করেই জঙ্গিদের একটি অংশ সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা করেছিল৷''

masudur rahman - MP3-Stereo

তিনি জানান, ‘‘আশকোনার ঐ বাড়ি থেকে মোট তিনটি ‘সুইসাইড ভেস্ট' উদ্ধার করা হয়েছে৷ গ্রেনেড দিয়ে তৈরি এই ভেস্ট ব্যবহার করে জঙ্গিরা আত্মঘাতী হামলা চালাতে সক্ষম৷ আমাদের ধারণা, তিন নারী জঙ্গিই আত্মঘাতী হওয়ার জন্য প্রস্তুত ছিল৷ আমাদের অভিযানের সময় মোটিভেশনের মাধ্যমে দু'জনকে আত্মসমর্পণ করাতে পারি৷ কিন্তু একজন আত্মসমর্পণের ভান করে আত্মঘাতী হামলা চালাতে গিয়ে নিহত হয়৷''

এদিকে পুলিশ এখন নব্য জেএমবি-র অন্যতম সমন্বয়ক মেজর জিয়া এবং নতুন নেতা মুসাকে আটকের চেষ্টা করছে৷ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল সংবাদমাধ্যমেকে বলেছেন, ‘‘এই দু'জনই পুলিশের নজরদারির মধ্যে রয়েছে৷ আশা করছি তারা অচিরেই ধরা পড়বে৷''

মাসুদুর রহমানের কথায়, ‘‘আমরা মনে করি জঙ্গিদের শক্তি এখন শেষ পর্যায়ে রয়েছে৷ যারা এখনো ধরা পড়েনি, তারা খুব তাড়াতাড়ি ধরা পড়বে৷''

প্রসঙ্গত, পুলিশ ঐ বাড়ি থেকে ‘সুইসাইড ভেস্ট' ছাড়াও ১৯টি গ্রেনেড উদ্ধার করে৷ পুলিশের একাধিক সূত্র দাবি করছে যে, ঐ তিন নারী ছাড়াও নিহত কিশোর আফিফ কাদেরিও মোটিভেটেড ছিল৷

মাসুদুর রহমান জানান, ‘‘আমরা এখন তাদের মোটিভেশনের নতুন কোনো প্রক্রিয়া আছে কিনা তা জানার চেষ্টা করছি৷ বাংলাদেশে প্রথম নারী জঙ্গির আত্মঘাতী হওয়ার ঘটনা জঙ্গিদের আরো গভীর মোটিভেশনের ইঙ্গিত দেয়৷''

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য