1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

দীপিকা অমর, আমি আকবর, জন অ্যান্টনি: শাহরুখ

৩১ জানুয়ারি ২০২৩

সম্প্রীতির বার্তা দিলেন শাহরুখ খান। তার পাঠান সুপারহিট হওয়ার পর তিনি জানালেন, শুধু বিনোদনের জন্য সিনেমা করি।

https://p.dw.com/p/4MthT
ছবি: DESI ENTERTAINMENT PARIS

প্রথম ছয়দিনের মধ্যে শাহরুখ খানের ছবি পাঠান পাঁচশ কোটির বেশি আয় করেছে। তারপর লাইভ সেশন করলেন শাহরুখ।  বেরিয়ে এলো সেই ভিনটেজ শাহরুখ। প্রতিটি কথায় মজা করছেন। প্রতিটি কথার ফাঁকে গুঁজে দিচ্ছেন কিছু বার্তা। আরা কখনো স্পষ্ট করে বলছেন, পাঠান নিয়ে বিতর্ক অর্থহীন। কারো মনে আঘাত দেয়ার জন্য নয়, বরং তিনি ও সহ-অভিনেতা, অভিনেত্রীরা সিনেমা করেন বিনোদনের জন্য। তাদের কাছে একটাই মন্ত্র, তা হলো বিনোদন।

শাহরুখ বললেন, ''দীপিকা পাড়ুকোন হলো অমর, আমি শাহরুখ খান হলাম আকবর, আর জন আব্রাহাম হলো অ্যান্টনি।'' 

১৯৭৭ সালে মনমোহন দেশাই সুপারহিট সিনেমা বানিয়েছিলেন অমর, আকবর, অ্যান্টনি। সেই সিনেমার নাম নিয়ে শাহরুখের বক্তব্য, ''এই অমর, আকবর, অ্যান্টনি মিলেই সিনেমা বানায়। এদের মধ্যে কোনো তফাৎ নেই। আমাদের একজনের সঙ্গে অন্যজনের কোনো বিভেদ নেই।  আমাদের সংস্কৃতি এক। আমরা দর্শকদের ভালোবাসি, তাই সিনেমা তৈরি করি।''

বলিউডের বাদশার কথায়, ''আমরা আপনাদের ভালোবাসি, আমরা আপনাদের ভালোবাসা চাই। এখানে প্রযোজক অনুরাগ কাশ্যপ পাশে বসে বলছেন, একশ কোটি, দুইশ কোটি, পাঁচশ কোটি। কিন্তু বিশ্বাস করুন, আমরা তার জন্য সিনেমা করি না। আমরা ভালোবাসার জন্য করি।''

শাহরুখের স্বীকারোক্তি, ''আমার যখন মন খারাপ করে, আমি ব্যালকনিতে এসে দাঁড়াই, মন ভালো থাকলেও দাঁড়াই। আমি সৌভাগ্যবান যে এমন একটা ব্যালকনি আছে। আপনাদের ভালোবাসাই আমার সব। আমি ভাগ্যবান, লাখ লাখ মানুষ আমাকে ভালোবাসে।''

শাহরুখের দাবি, ''আমরা অভিনয় করি। বিভিন্ন চরিত্রের অভিনয়। আমরা কারো মনোভাবে আঘাত দিতে চাই না। আমরা ভালোবাসা, সৌভাতৃত্ব, আনন্দ ছড়িয়ে দিতে চাই। উত্তর, দক্ষিণ, পূর্ব, পশ্চিম যে কোনো প্রান্তে যিনিই সিনেমা বানান না কেন, তিনি এর জন্যই বানান। আমরা যখন খারাপ মানুষের চরিত্র করি, যেমন আমি ডন-এ করেছি, জনও করেছে, সেটা কাউকে আঘাত করার জন্য নয়, আমরা কেবল বিনোদন চাই।''

শাহরুখ বলেছেন, ''ভারতের মতো এই মহান দেশের সংস্কৃতি, গল্প আমরা বলতে চাই। তবে আধুনিক যুগের মতো করে। আমরা এখনকার তরণ-তরণীদের ভাষায় কথা বলেছি।''

জিএইচ/এসজি (পিটিআই, এনডিটিভি)