দিল্লিতে পরিযায়ী শ্রমিকদের ক্যাম্প
প্রায় এক সপ্তাহ ভয়াবহ পরিস্থিতির সাক্ষী হওয়ার পরে সামান্য স্বস্তি। পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য দিল্লিতে তৈরি হল অস্থায়ী ক্যাম্প।
আর একজন শ্রমিকও রাস্তায় নেই
মঙ্গলবার সকালে দেশের সুপ্রিমকোর্টকে কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়ে দিল, দিল্লির রাস্তায় আর একজনও পরিযায়ী শ্রমিক নেই। সকলকেই নিয়ে যাওয়া হয়েছে বিভিন্ন অস্থায়ী ক্যাম্পে।
স্কুলেই চলছে ক্যাম্প
২১ দিনের লকডাউনে বন্ধ সমস্ত স্কুল-কলেজ। পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য তেমনই বেশ কিছু স্কুলে তৈরি করা হয়েছে ক্যাম্প। থাকার ব্যবস্থা তো হয়েছেই, দুই বেলা খাবারও দেওয়া হচ্ছে তাঁদের।
পাশে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন
সরকারকে এ কাজে সাহায্য করতে রাস্তায় নেমেছে বেশ কিছু স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। তারাই শ্রমিকদের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করে দিচ্ছে। স্কুলগুলিতে নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে শ্রমিকদের শোয়ার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে।
ড্রোন দিয়ে নজরদারি
ড্রোনের সাহায্যে শ্রমিক ক্যাম্পগুলিতে নজরদারি চালানো হচ্ছে। জেনে নেওয়া হচ্ছে তাঁদের প্রয়োজন।
ঘরের বাইরে শৌচাগার
ক্যাম্পের বাইরে এ ভাবেই তৈরি হচ্ছে শৌচাগার। ভাইরাস যাতে না ছড়ায়, তার জন্য সমস্ত রকম ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। যদিও অভিযোগ, এখনও বহু জায়গায় শ্রমিকরা আটকে আছেন। সকলকে এখনও ক্যাম্পে নিয়ে আসা সম্ভব হয়নি।
পুলিশি প্রহরা
ক্যাম্পগুলির বাইরে পুলিশের পিকেটও তৈরি করা হয়েছে। শ্রমিকদের প্রয়োজনের কথা তাঁরা শুনছেন। একই সঙ্গে দেখছেন, কেউ যাতে ক্যাম্প ছেড়ে বাইরে চলে না যান।
এত সময় লাগল কেন
নাগরিক সমাজের প্রশ্ন, পরিযায়ী শ্রমিকদের কথা সরকার আগে ভাবেনি কেন? কেন হেঁটে বাড়ি ফিরতে গিয়ে মৃত্যু হল শ্রমিকদের? কেন পুলিশ লাঠি চালালো তাঁদের ওপর?
এরপরে কী হবে
আরও একটি প্রশ্ন বার বার উঠছে। এখন না হয় ক্যাম্পে থাকবেন শ্রমিকরা। কিন্তু লকডাউন উঠে গেলে কী হবে তাঁদের? তখন কোথা থেকে খাবার আসবে তাঁদের? দাবি উঠছে, লকডাউনের মধ্যেই শ্রমিকদের জন্য ন্যূনতম আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করুক সরকার।