দশ বছর পর জবরদখল-মুক্ত জাতীয় সড়ক এবার চওড়া হবে
জবরদখলের সমস্যর জন্য দশ বছর ধরে মুর্শিদাবাদে জতীয় সড়কের একটি অংশ চার লেন করা যাচ্ছিল না। অবশেষে প্রশাসন সক্রিয় হলো।
দশ বছর ধরে
মুর্শিদাবাদের বেলডাঙ্গার কাছে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক। অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সড়কে প্রচুর যানবাহন চলে। কিন্তু বেলডাঙ্গার কাছে এই জাতীয় সড়ক চার লেনের করা যাচ্ছিল না। বারবার প্রশাসনকে অনুরোধ করেও কাজ হয়নি। বেআইনিভাবে দোকান বানিয়ে বসেছিলেন কিছু মানুষ। রাস্তা চওড়া না হওয়ায় যানজট, দুর্ঘটনা লেগেই ছিল।
কীভাবে সম্ভব হলো
বহরমপুরের সাংসদ অধীর চৌধুরী একটি চিঠি লিখেছিলেন সড়ক পরিবহণ মন্ত্রী নীতিন গড়করিকে। এই রাস্তা চওড়া করা নিয়ে। গত ১৮ জানুয়ারি গড়করি তার জবাবে বলেন, গত দশ বছর ধরে দুই দশমিক এক কিলোমিটার রাস্তা জবরদখল থাকায় সেখানে চার লেনের কাজ করা যাচ্ছে না। অধীর যেন প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলেন। এরপরই রাস্তার ওই অংশ দ্রুত জবরদখল-মুক্ত করে প্রশাসন।
রাস্তার অবস্থা
জবরদখল থাকার জন্য রাস্তা চওড়া করা যায়নি। ফলে জাতীয় সড়ক একটা ছোট রাস্তা হয়েই থেকে গেছে এখানে। দশ বছর ধরে চেষ্টার পরেও লাভ হয়নি।
প্রশাসনের বক্তব্য
প্রশাসনের বক্তব্য, অতীতে তারা জাতীয় সড়ক জবরদখল মুক্ত করার চেষ্টা করেছে। কিন্তু জবরদখলকারীদের কাছ থেকে প্রবল বাধা এসেছে। সংঘর্ষ পর্যন্ত হয়েছে।
এবার ভাঙা হয়েছে দোকানপাট
এবার অধীরের প্রয়াস, গড়করির চিঠির পর অসাধ্যসাধন সম্ভব হয়েছে। দোকানপাট ভাঙা হয়েছে।
কী ছিল এখানে?
মিষ্টির দোকান, ফলের দোকান, সাইকেল সারাইয়ের দোকান-সহ নানা ধরনের দোকান ছিল এখানে। সরকারি জমিতে অনেকটা জায়গা জুড়ে দোকান তৈরি করা হয়েছিল।
কাজ শুরু
ন্যাশনাল হাইওয়ে অথরিটি কাল বিলম্ব না করে রাস্তা চওড়া করার কাজ শুরু করে দিচ্ছে। দশ বছর পর রাস্তা চওড়া হতে চলেছে। চার লেনের রাস্তা হলে মুর্শিদাবাদ তো বটেই, উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের মানুষ উপকৃত হবেন।