দর্শনীয় স্থানের ছবি প্রতিযোগিতার সেরা ১০

সূর্যালোক, বালু, সমুদ্র, পাম গাছ আর গোলাপি রঙের ভিন্টেজ কার- অনেকের কল্পনার আদর্শ রোমান্টিক পরিবেশ৷ জার্মানির কে এল.-এর এমন অনুভূতিই হয়েছিল কিউবার ভারাদেরোতে ছুটি কাটাতে গিয়ে৷কে এল সেখানে গিয়েছিলেন ২০১৮ সালে৷

পেরুর ভিনিচুনচা পাহাড়ের অন্য নাম রেইনবো মাউন্টেন৷ পাহাড়ের পাথরের বর্ণ-বৈচিত্র্যের কারণেই রংধনু পাহাড় নামে ডাকেন অনেকে৷জন জাইরো জি.-র পাঠানো এই ছবির সবচেয়ে বেশি নজরকাড়া দিক অবশ্য ফ্রেমে বন্দি মানুষ এবং প্রাণীগুলোর চনমনে বর্ণীল উপস্থিতি৷

এ ছবির প্রধান আকর্ষণ বর্ণময়তা৷ তা ফুটে উঠেছে কয়েক স্তরে৷ তাতে এমন এক মায়াজাল সৃষ্টি হয়েছে নীচে বরফ, নাকি লবণ দেখা যাচ্ছে, বোঝা দায়৷ এমন অভিনব আইডিয়ার ছবিটি তুলেছেন বলিভিয়ার তানিয়া এফ.৷ ভেন্যু : সালার দে উইয়ুনি৷

নায়াগ্রা জলপ্রপাত দেখতে চার বোন গিয়েছেন একই রঙের পোশাক পরে- ভাবতেই তো ভালো লাগে, তাই না? ডয়চে ভেলের ট্র্যাভেল এডিটরদের খুব মজা দিয়েছে এই ছবি৷ ছবিটি পাঠানোর জন্য কলম্বিয়ার ফাবিওলা এ.-কে অনেক ধন্যবাদ!

হানিমুন করতে সমুদ্র সৈকতেই যেতে হবে কেন? ২০০৯ সালে স্বামীকে নিয়ে গ্রিনল্যান্ডের টাসিলাগে গিয়ে কিন্তু দারুণ সময় কাটিয়েছেন জার্মানির কাটিয়া এস.৷বরফে নীলাভ আলোর খেলার পাশাপাশি সেখানকার নীরবতাও খুব উপভোগ করেছিলেন নবদম্পতি৷

ল্যান্ডস্কেপ ছবি পাঠিয়েছেন অনেকেই৷ সেগুলো দেখাতে পারলে ডয়চে ভেলের খুব ভালো লাগতো৷ শেষ পর্যন্ত সেখান থেকে জার্মানির আলেক্সান্দ্রা পি.-র এই ছবিটাই বেছে নিতে হলো৷ ছবিতে ভিক্টোরিয়া রাজ্যের গ্রেট ওশান রোডের টুয়েলভ অ্যাপোলসের ল্যান্ডস্কেপ৷

২০১৭ সালের এ ছবি পাঠানোর সময় সিঙ্গাপুরের ইয়োহানেস বি. লিখেছেন, ‘‘এই ছবির স্মৃতিকে ছাপিয়ে যাবে এমন কোনো ভ্রমণ-স্মৃতি আমার জীবনে নেই৷’’ ইন্দোনেশিয়ার মাউন্ট রিনজানির চূড়ায় উঠে তার মনে হয়েছে, হাইকিংয়ের জন্য এর চেয়ে ভালো জায়গা পৃথিবীতেই আর নেই৷

আযারবাইজানের বাকু শহরের এই ছবিটি পাঠিয়েছেন মিশরের ইয়াসের এম.৷ কাসপিয়ান সাগরের তীরের শহরটির হেদার আলিয়েভ সেন্টারের স্থাপত্য সৌন্দর্যই এ ছবির প্রধান আকর্ষণ৷

জার্মানির ক্যাথরিন এইচ. অস্ট্রিয়ার হোখসাইগার পাহাড়ে একই সঙ্গে পেয়েছিলেন গ্রীষ্ম এবং স্কি করার আনন্দ উপভোগের সুযোগ৷ বিপরীত অভিজ্ঞতা মুগ্ধ করেছে তাকে৷

সেরা ছবি মন্টেনেগ্রোর জেলকা সি. করোনাকালকে ব্যবহার করেছেন নিজের দেশ ঘুরে দেখার কাজে৷ পাহাড়চূড়ায় উঠে তোলায় প্রকৃতির সব সৌন্দর্যই ধরা পড়েছে এই ছবিতে৷