এরপর জীবন থমকে দাঁড়িয়ে পড়ার কথা ছিল৷ কিন্তু তা হতে দেননি মউশ্রী ও তাঁর বাবা-মা৷ অবিশ্বাস্য অধ্যবসায়, পরিশ্রম আর নিষ্ঠা দিয়ে নিজের দর্শন-প্রতিবন্ধকতার যাবতীয় অসুবিধা অতিক্রম করে যান মউশ্রী৷ স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, একে একে সব সাফল্যের চৌকাঠ পেরিয়ে পিএইচডি পর্যন্ত পৌঁছে যান৷
এখন মউশ্রী একটি আইন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপিকা৷ তাঁর সাফল্য, তাঁর জীবনযাপন একবারের জন্যেও মনে করায় না যে, মউশ্রী দৃষ্টি-প্রতিবন্ধী৷ ছোটবেলায় বাবা-মায়ের সাহায্য সঙ্গে ছিল, এখন স্বামীও পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন হাত ধরে থাকার জন্য৷ এখন এতটাই পূর্ণ মউশ্রীর জীবন যে, তিনি হাসিমুখে বলতে পারেন – আই অ্যাম এনজয়িং মাই লাইফ!
মউশ্রীর অস্তিত্ব আসলে অন্ধকার থেকে আলোয় ফেরা এক অসাধারণ জীবনেরই উদযাপন৷ মউশ্রীর দৃষ্টান্ত বাকি সমাজের কাছে, হার না মানার, চলতে থাকার, এগিয়ে যাওয়ার৷ অন্যকে রাস্তা দেখানোর এক বাতিস্তম্ভ তিনি৷