দরপতনে বন্ধ পুঁজিবাজার – বাংলাদেশে বিক্ষোভ-সংঘর্ষ
২০ জানুয়ারি ২০১১এই ঘটনার প্রতিবাদে ঢাকাসহ সারাদেশে বিক্ষোভ-ভাঙচুর করেছে বিনিয়োগকারীরা৷ অস্থিরতার জন্য ৬টি ব্রোকারেজ হাউসকে চিহ্নিত করে তাদের কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে৷ রোববার পুঁজিবাজারে লেন-দেন বন্ধ থাকবে৷
দুপুর একটায় লেন-দেন শুরুর ৫ মিনিটের মধ্যেই সার্কিট ব্রেকার অতিক্রম করে সাধারণ সূচক ৬শ' পয়েন্ট কমে যায়৷ আর তখন লেন-দেন বন্ধ করে দেয়া হয় শেয়ার বাজারের৷ এতে বিক্ষুব্ধ বিনিয়োগকারী রাস্তায় নেমে আসেন৷ প্রতিবাদ করেন, করেন গাড়ি ভাঙচুর৷ রাস্তার ওপর কাগজ ও আসবাবপত্র জড়ো করে তাতে আগুন ধরিয়ে দেন৷ বিক্ষোভ মতিঝিল স্টক এক্সচেঞ্জের সামনে থেকে ছড়িয়ে পড়ে শাহবাগ, কারওয়ান বাজার, ধানমন্ডিসহ ঢাকার বিভিন্ন এলাকায়৷ বিক্ষোভ ছড়িয়ে পরে ঢাকার বাইরেও৷ পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ার গ্যাস ছোড়ে, করে লাঠিপেটা৷ বিক্ষোভকারীরাও ইঁটপাটকেল ছোঁড়ে৷ সাদা পোশাকধারী পুলিশও বিক্ষোভ দমনে অংশ নেয়৷
বিনিয়োগকারীরা জানান, তারা অনেকেই পুঁজিবাজারের এই অব্যাহত দর পতনের ফলে পথে বসেছেন৷ তারা বলেন, সরকার তাদের পুঁজি রক্ষায় এখনই কার্যকর ব্যবস্থা না নিলে পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ হবে৷
পুঁজিবাজারের এই আকস্মিক দরপতনের সময় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সভাপতি শাকিল রিজভি ঢাকার একটি হোটেলে পুঁজিবাজার নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছিলেন৷ সার্কিট ব্রেকারের নিয়ম অনুযায়ী সূচক ২২৫ পয়েন্ট নামলেই লেন-দেন স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হওয়ার কথা৷ তাহলে ৬শ' পয়েন্ট কীভাবে নামল, সাংবাদিকরা তাঁর কাছে জানতে চাইলে তিনি সফটওয়্যারের ওপর দায় চাপান৷ বলেন স্বয়ংক্রিয় সফটওয়ার নেই৷
এদিকে ঢাকার বাইরে চট্টগ্রাম, খুলনা ও রাজশাহীসহ বিভাগীয় শহরগুলোতেও বিক্ষোভ হয়েছে৷ ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক প্রায় এক ঘণ্টা অবরোধ করে রাখে বিনিয়োগকারীরা৷ বিক্ষোভের সময় ঢাকাসহ সারাদেশ থেকে পুলিশ অন্তত ৫০ জন বিনিয়োগকারীকে আটক করে৷
সন্ধ্যায় পুঁজিবাজরের নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটি এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন বৈঠক করে রোববার পুঁজিবাজারের লেন-দেন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷ অস্থিরতার জন্য ৬টি ব্রোকারেজ হাউসকে চিহ্নিত করে তাদের কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে৷
প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন