1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আশ্চর্য পুতুল তৈরি করেন সুইস শিল্পী

৯ সেপ্টেম্বর ২০২০

অনেক মানুষ গড্ডালিকাপ্রবাহে গা ভাসিয়ে না দিয়ে ভিন্ন পথে চলার সাহস দেখান৷ সুইজারল্যান্ডের এক ব্যক্তি দম দেওয়া জটিল যন্ত্র তৈরি করে ডিজিটাল যুগেও এমন এক প্রায় হারিয়ে যাওয়া ধারা বাঁচিয়ে রাখছেন৷

https://p.dw.com/p/3iC2e
ছবি: DW

ফ্রঁসোয়া জুনোর জগতে স্বাগতম৷ তিনি বিশ্বের অন্যতম সেরা দম দেওয়া যন্ত্র নির্মাতা৷ সুইজারল্যান্ডের এই মানুষটি নিজেকে শিল্পী ও মিস্ত্রি হিসেবে গণ্য করেন৷ তারের জাল দিয়ে তৈরি যন্ত্রগুলির মাধ্যমে তিনি ডিজিটাল প্রযুক্তিসর্বস্ব বিশ্বকে এক কাব্যিক সংকেত দিতে চান৷ এমন উদ্যোগের সার্থকতা বোঝাতে জুনো বলেন, ‘‘আনন্দ দিতে, স্বপ্ন ও ম্যাজিক দেখাতে এমন যন্ত্র তৈরি করা হয়৷ আমার তৈরি যন্ত্র মানুষকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে৷ অনেকটা জাদুর মতো, কারণ যন্ত্র কীভাবে চলে, অনেকেই প্রথমে তা বোঝেন না৷’’

জটিল এবং ওয়াইন্ডিং বা দমের প্রক্রিয়ায় তাঁর যন্ত্রগুলি চলে৷ অনেকটা দম দেওয়া পুরানো ঘড়ির মতো৷ বিদ্যুতের প্রয়োজন হয় না৷ নিখুঁতভাবে পরিকল্পিত নড়াচড়ার কাজ করে সেই সব যন্ত্র৷

এ যুগেও দম দেওয়া যন্ত্র বানান তিনি

ফ্রঁসোয়া জুনোর বর্তমান প্রকল্পের মধ্যে একটির নাম লিওনার্দো দা ভিঞ্চি৷ প্রায় এক দশক ধরে ইটালির এই বিশ্ববিখ্যাত ব্যক্তির ৮০ সেন্টিমিটার দীর্ঘ এক দম দেওয়া অ্যান্ড্রয়েড প্রতিরূপ তৈরির কাজ করছেন তিনি৷ জুনো বলেন, ‘‘আমি চাই, এই মূর্তি হেলিকপ্টার বা ঘোড়ার জটিল আঁকাজোকার কাজ করুক৷ তাছাড়া যেমনটা দেখা যাচ্ছে, সেটিকে উলটো করে ল্যাটিন লেখার কাজ করতে হবে৷’’

অ্যান্ড্রয়েড বা মানুষের মতো দেখতে যন্ত্র তৈরির স্বপ্ন গ্রিস ও মিশরের প্রাচীন সভ্যতায়ও দেখা গিয়েছিল৷ তবে অষ্টাদশ শতাব্দীতে এমন স্বপ্ন বাস্তব করার প্রচেষ্টা তুঙ্গে উঠেছিল৷ রেনেসাঁ যুগে জটিল যন্ত্র তৈরি হতে লাগলো, যেগুলি সংগীত সৃষ্টি করতে বা আঁকতে পারতো৷ ফ্রঁসোয়া জুনো সেই ধারা বাঁচিয়ে রাখতে চান৷ তিনি বলেন, ‘‘সম্ভব হলে আঁকার ও লেখার যন্ত্র সম্পর্কে আমার জ্ঞান এবং আমার সব গবেষণা সংরক্ষণ করে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য রেখে যেতে চাই৷’’

ফ্রঁসোয়া জুনোর হাতে তৈরি যন্ত্রর একমাত্র লক্ষ্য হলো জাদু সৃষ্টি করা, মানুষকে মুগ্ধ করা৷ জটিলতার কারণে সম্ভ্রম আদায় করার কোনো ইচ্ছা তাঁর নেই৷

ইয়োসেফিন গ্যুন্টার/এসবি