1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ফিলিপাইন্সে সামরিক আইন জারি

২৪ মে ২০১৭

তথাকথিত ইসলামিক স্টেট বা আইএস-এর প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করা জঙ্গিদের বিরুদ্ধে লড়তে ফিলিপাইন্সের দক্ষিণে সামরিক আইন জারি করা হয়েছে৷ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এই ঘোষণা দেন দেশটির প্রেসিডেন্ট৷

https://p.dw.com/p/2dUc0
Philippinen Soldaten in der Nähe von Marawi ARCHIV
মারাউয়ি শহরে সেনাসদস্যদের অবস্থানছবি: Getty Images/AFP/R. Umel

এদিকে, এই ঘোষণার পর মাউতে নামের একটি জঙ্গি গোষ্ঠী ঐ এলাকার একটি গির্জায় ঢুকে পুরোহিতসহ কয়েকজনকে জিম্মি করেছে৷

জঙ্গিদের বিরুদ্ধে লড়তে সরকার যে নিরাপত্তা বাহিনী পাঠিয়েছে তাদের ফিরিয়ে না নিলে জিম্মিদের হত্যা করার হুমকি দেয়া হয়েছে৷

মঙ্গলবার বিকেলে দক্ষিণ ফিলিপাইন্সের মারাউয়ি শহরে জঙ্গিদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষের পর সামরিক আইন জারি করা হয়৷ আবু সায়াফ জঙ্গি গোষ্ঠীর অন্যতম নেতা ইসনিলন হাপিলনকে ধরতে পুলিশ অভিযান চালিয়েছিল৷ হাপিলন ফিলিপাইন্সে আইএস-এর প্রধান৷ যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের অন্যতম বিপজ্জনক সন্ত্রাসী হিসেবে আখ্যায়িত করে তাকে ধরার জন্য অর্ধকোটি ডলারের পুরস্কার ঘোষণা করেছে৷

Philippinen Soldat mit Steckbrief eines Abu Sayyaf-Mitglieds
এক সেনাসদস্য ফিলিপাইন্সের আইএস প্রধান হাপিলনের ছবি সম্বলিত লিফলেট বিলি করছেনছবি: Reuters/M. B. Navales

দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী বলছে, আবু সায়াফ ও মাউতে ছাড়াও বেশ কিছু জঙ্গি গোষ্ঠী আইএস-এর প্রতি আনুগত্য প্রদর্শন করেছে৷ এদের মধ্যে বিদেশিদের জিম্মি করে অর্থ আদায়ের জন্য পরিচিত আবু সায়াফ৷ তাছাড়া দেশটিতে চালানো কয়েকটি বড় হামলার জন্যও তাদের দায়ী করা হয়৷ ২০০৪ সালে একটি ফেরিতে হামলা চালিয়ে একশ' জনের বেশি মানুষকে হত্যা করে আবু সায়াফ৷

Infografik Abu Sayyaf Englisch

ফিলিপাইন্সের প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতার্তে আইএস-এর বিরুদ্ধে লড়তে সামরিক আইন জারির কথা অতীতে কয়েকবার বলেছিলেন৷ দেশটির নিরাপত্তা বিষয়ক অন্যতম চিন্তার কারণ আইএস বলেও জানিয়েছিলেন তিনি৷

দেশটির প্রতিরক্ষা সচিব ডেলফিন লরেঞ্জানা বলেছেন, সামরিক আইন জারির কারণে নিরাপত্তা বাহিনী সন্দেহভাজন জঙ্গিদের অভিযোগ ছাড়াই তিনদিন পর্যন্ত ধরে রাখতে পারবে৷

মানবাধিকার কর্মীরা অবশ্য এই আইনের অপব্যবহারের আশংকা করছেন৷ এক্ষেত্রে তাঁরা স্বৈরশাসক ফার্দিনান্দ মার্কোসের আমলের উদাহরণ দিয়েছেন৷ সেই সময় স্বৈর শাসকের সমালোচকদের উপর নির্যাতন চালানো হয়েছিল৷ তাদের ধরে নিয়ে হত্যার ঘটনাও ঘটেছিল৷

বর্তমান প্রেসিডেন্ট দুতার্তে জানিয়েছেন, তাঁর ঘোষণা করা সামরিক আইন ‘নিষ্ঠুর’ হবে এবং মার্কোসের মতোই হবে৷

জেডএইচ/এসিবি (এএফপি)