1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

দক্ষিণ কোরিয়ায় করোনা আক্রান্ত বেড়েই চলেছে

২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০

চীনে মৃত্যু মিছিল অব্যাহত। তারই মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়ায় এ বার ক্রমশ ছড়াচ্ছে করোনা ভাইরাস। ইরানে মৃত আরও দুই।

https://p.dw.com/p/3YMWQ
ছবি: picture-alliance/ZUMAPRESS.com/R. Fouladi

করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে দক্ষিণ কোরিয়ায়। মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত সেখানে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৮৯৩। অন্য দিকে চীনে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ৬৬৩। জাপান উপকূলে আটকে যাওয়া প্রমোদতরি ডায়মন্ড প্রিন্সের চতুর্থ যাত্রীর মৃত্যুর খবর মিলেছে। ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়েছে ইরান এবং ইটালিতে। ফের উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

মঙ্গলবার সকালে চীনের সরকারি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, নতুন করে দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৫০৮ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৭১ জনের। তবে গত কয়েক সপ্তাহের তুলনায় মৃত এবং আক্রান্তের সংখ্যা অনেকটাই কমেছে। যদিও উহান প্রদেশের অবস্থা এখনও ভয়াবহ। অধিকাংশ মৃত্যু সেখানেই ঘটছে। বাকি দেশের থেকে এখনও আলাদা করেই রাখা হয়েছে উহান প্রদেশকে। বাইরের কোনও গাড়িও সেখানে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অবশ্য এখন উদ্বিগ্ন দক্ষিণ কোরিয়া নিয়ে। প্রতিদিনই সেখানে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। বেশ কিছু চার্চ রবিবারের প্রার্থনায় জন সমাগম বন্ধ করে দিয়েছে। গোটা দেশ জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে আতঙ্ক। বেশ কিছু স্কুল আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করে দিয়েছে।

এ দিকে জাপানেও ছড়াচ্ছে ভাইরাস। জাপানের প্রশাসন জানিয়েছে, ডায়মন্ড প্রিন্সের বহু যাত্রীর দেহেই করোনার সংক্রমণ মিলেছে। ওই জাহাজের চতুর্থ যাত্রীর মৃত্যুর কথাও জানানো হয়েছে জাপানের তরফে। ইরান আরও দুই ব্যক্তির মৃত্যুর কথা জানিয়েছে। তুরস্ক, ইরাক, পাকিস্তান নিজের দেশের নাগরিকদের ইরানে প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে। ইরানের সীমান্ত সিল করে দেওয়া হয়েছে।

ইটালির অবস্থাও উদ্বেগজনক। সোমবার সকাল পর্যন্ত সে দেশে ১৫০ জনেরও বেশি ব্যক্তির শরীরে করোনার সংক্রমণ পাওয়া গিয়েছিল। মঙ্গলবার ইটালির একটি পত্রিকার দাবি, আক্রান্তের সংখ্যা ২০০ ছাড়িয়ে গিয়েছে। এরই মধ্যে চীনের একটি বিশ্ববিদ্যালয় দাবি করেছে, করোনা ভাইরাসের প্রতিষেধক তারা আবিষ্কার করে ফেলেছে। তবে এখনও পর্যন্ত এ বিষয়ে চীনের সরকার কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি। আদৌ সেই ওষুধ ব্যবহার করা যাবে কি না, তাও স্পষ্ট নয়।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, ডিপিএ, এপি)