দক্ষিণ কোরিয়ার বর্ণিল লন্ঠন উৎসব
দক্ষিণ কোরিয়ার বৃহত্তম লন্ঠন উৎসব দেখতে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ২০ লাখেরও বেশি পর্যটক আসেন সৌলে৷ ১৭ দিন চলা এই উৎসব শেষ হয়েছে ১৮ নভেম্বর৷
সৌলের দশম বার্ষিক লন্ঠন উৎসব
‘সৌল ড্রিম, ফ্লোয়িং লাইট’ এই থিমকে ভিত্তি করে দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী মেতেছিল ১০ম বার্ষিক লন্ঠন উৎসবে৷ উৎসবে দেশটির বর্ণিল ঐতিহ্য ও প্রথাকে উপস্থাপন করা হয়েছিল৷
হাঁটুন আর দৃশ্য উপভোগ করুন
১ দশমিক ৩ কিলোমিটার জুড়ে এই উৎসবের আয়োজন করা হয়েছিল, যেটি দেখতে আপনাকে একটি পথই ব্যবহার করতে হবে৷ সৌলের রাতের আকাশকে উদ্ভাসিত করেছিল লাখো লন্ঠনের বর্নিল আলোকচ্ছটা, যাতে মুগ্ধ ছিলেন অতিথিরা৷
মজার সব চরিত্র স্বাগত জানাচ্ছিল অতিথিদের
কোরিয়ার জাতীয় ক্রীড়া উৎসবের চরিত্রদের দিয়ে প্রথম প্রদর্শনী সাজানো হয়েছিল৷ এটি দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিযোগিতা, যাতে ২০ হাজার ক্রীড়াবিদ ৪০টি খেলায় অংশ নেন৷ ২০১৯ সালে এই প্রতিযোগিতা শতবর্ষ উদযাপন করবে৷
রাতে কাগজের লম্বা রোবটের রাজত্ব
কোরীয় শিশুদের কাছে রোবট টেকওন ভি বা ভল্টার দ্য ইনভিনজিবল খুব জনপ্রিয়৷ উৎসবের সবচেয়ে উঁচু এই লন্ঠন তৈরি করতে বেশ কয়েক ঘণ্টা লেগেছিল৷ আশ্চর্যের হলেও সত্যি, পুরোটাই তৈরি হয়েছে কোরিয়ার ঐতিহ্যবাহী হাতে বানানো কাগজ দিয়ে৷
লন্ঠন জ্বালিয়ে কিছু প্রার্থনা
অতিথিরা উৎসবের অনেক আয়োজনে অংশ নিতে পেরেছেন৷লন্ঠন বানানো এবং লন্ঠন জ্বালিয়ে তা লেকের জলে ভাসিয়ে কোনো ইচ্ছা পূরণের প্রার্থনাও করেছেন তাঁরা৷
তাইওয়ানের বিশাল পাখি
এই উৎসবে অংশ নিয়েছে তাইওয়ান ও ফিলিপাইন্স৷ তাইওয়ান বানিয়েছে বিশাল এক পাখি আর ফিলিপাইন্স বর্ণিলভাবে তাদের পর্যটন ভবনকে উপস্থাপন করেছে৷
সংস্কারের তাৎপর্য
চেওংগেশেওন ঝর্ণা সৌলের সংস্কৃতির কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে৷ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লাখো পর্যটক এটি দেখতে আসে৷ ২০০৫ সালে এটির সংস্কার না হলে কোরিয়ার এই লন্ঠন উৎসব বা অন্যান্য আয়োজন হয়ত এখানে করা সম্ভব হতো না৷