থ্যাংকসগিভিং ডে ও ট্রাম্পের টার্কি
যুক্তরাষ্ট্রে করোনার মধ্যে থ্যাংকসগিভিং ডে পালিত হচ্ছে৷ কিন্তু করোনা উপেক্ষা করে অনেক মানুষ সড়ক ও আকাশ পথে বাড়ি ফিরেছেন৷ হোয়াইট হাউজেও ছিল ভিন্ন আমেজ৷ বিস্তারিত ছবিঘরে৷
থ্যাংকসগিভিং প্রথা
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প এবং ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্প থ্যাংকসগিভিং পালন করেছেন৷ মঙ্গলবার এই দিবস উপলক্ষ্যে ঐতিহ্যবাহী প্রথা ‘টার্কি পার্ডনিং’ অনুষ্ঠানের আয়োজন হয় হোয়াইট হাউজের রোজ গার্ডেনে৷
টার্কি নির্বাচন
টুইটারে একটি পোলের মাধ্যমে জানতে চাওয়া হয়েছিল কর্ন আর তাই ভাই কব এই দুইজনের মধ্যে কাকে জীবনভিক্ষা দেয়া হবে৷ এই পোলে জয়ী হয় কর্ন৷ তার মানে এই নয় যে কব থ্যাংকসগিভিং এর খাবারে পরিণত হয়েছে৷ আগামী মাস থেকে কর্ন এবং কব যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন ভেটেরেনারি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রদর্শিত হবে৷
কর্ন আর কবের ওজন
আইওয়া থেকে এই দুটি টার্কিকে থ্যাংকস গিভিং এর জন্য আনা হয়েছিল৷ ন্যাশনাল টার্কি ফেডারেশনের চেয়ারম্যান রন কার্ডেলের খামারে বড় হয়েছে তারা৷ আইওয়া স্টেট ইউনিভার্সিটিতে বাকি জীবনটা কাটাবে এই দুই টার্কি৷ কর্নের ওজন ১৯ কেজি আর কবের ওজন সাড়ে ১৮ কেজি৷
পাঁচতারা হোটেলের আরাম আয়েশ
কর্ন আর কব রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসির বিলাসবহুল হোটেল উইলার্ড ইন্টারন্যাশনাল হোটেলে বিছানায় বসে আছে৷ এই হোটেলে অনেক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও তারকারা আতিথ্য গ্রহণ করে থাকেন৷ ১৯৪৭ সাল থেকে ক্ষমার জন্য নির্বাচিত টার্কিরা এই হোটেলে থাকে৷ ক্ষমা প্রদান অনুষ্ঠানের আগের দিন এই হোটেলে সাধারণ মানুষের দেখার জন্য তাদের আনা হয়৷ তারকা বনে যাওয়া এই টার্কিদের নিজের কক্ষ থাকে হোটেলে৷
ঐতিহ্যবাহী প্রথা
১৮৭০ সাল থেকে থ্যাংকস গিভিং দিবসে টার্কি খামারিদের প্রেসিডেন্টকে টার্কি উপহার দেয়ার প্রথা চলে আসছে৷ ১৯২৩ সাল থেকে ১৯৪০ পর্যন্ত বন্ধ থাকার পর ৪৭ এ তা আবার শুরু হয় এবং এর সাথে যোগ হয় জীবনভিক্ষা অনুষ্ঠান৷ ১৯৮৯ সালে সিনিয়র বুশ জীবনভিক্ষার এই প্রথা আনুষ্ঠানিকভাবে প্রথম শুরু করেন৷
ক্ষমা প্রদান অনুষ্ঠান
হোয়াইট হাউজে ক্ষমা প্রদান অনুষ্ঠানে ট্রাম্পের পরিবারের অন্য সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন৷ সপরিবারে ইভাঙ্কা ট্রাম্প উপস্থিত ছিলেন সেখানে৷
নির্বাচনের পর দ্বিতীয়বার
নির্বাচনে জো বাইডেনের জয় নিশ্চিতের পর দ্বিতীয়বারের মত জনসমক্ষে এলেন ট্রাম্প৷ হোয়াইট হাউজের রোজ গার্ডেনে এই অনুষ্ঠানে কর্ন এবং কবের মৃত্যুদণ্ড বাতিল করে জীবন দানের ঘোষণা দেন তিনি৷ আনুষ্ঠানিকতা শেষে সাংবাদিকরা তাকে অনেক প্রশ্ন করলেও তার জবাব দেননি তিনি৷
থ্যাংকসগিভিঙের ছুটি কাটাতে বাড়ির পথে
করোনাকালে বিমানপথে যাত্রায় অনেক ঝুঁকি৷ আর এই ঝুঁকি নিয়েই যুক্তরাষ্ট্রে থ্যাংকসগিভিং এ বাড়ি গিয়েছিলেন অনেকে৷ তবে বিমানবন্দরে সবার মুখেই ছিলো মাস্ক বা ফেস শিল্ড৷
কলোরাডো, ক্যালিফোর্নিয়া বিমানবন্দরে নেই সামাজিক দূরত্ব
ছুটি উপলক্ষে বিমানবন্দরে ছিলো ভিড়৷ ফলে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা সম্ভব হয়নি৷
বিমান ক্রুদের প্রস্তুতি
ক্যালিফোর্নিয়ার লস অ্যাঞ্জেলেস বিমানবন্দরে বিমান ক্রুদের দেখা যাচ্ছে পিপিই পরে বিমানে ওঠার প্রস্তুতি নিচ্ছেন৷
শিকাগোতে যানজট
ইলিনয় অঙ্গরাজ্যের শিকাগো শহরের রাস্তা এটি৷ ছুটিতে বাড়ি ফেরারএই ছবি যেনো বাংলাদেশে ঈদের ছুটির কথা মনে করিয়ে দেয়৷
বিমানবন্দরে করোনা পরীক্ষা
কয়েকটি দেশে ভ্রমণের ক্ষেত্রে করোনা পরীক্ষা বাধ্যতামূলক৷ তাই বিমানবন্দরে রাখা হয়েছে এমন ব্যবস্থা৷
বোর্ডিংয়ে বিপত্তি
কলোরাডো অঙ্গরাজ্যের ডেনভারে বিমানবন্দরের চিত্র এটি৷ বোর্ডিংয়ের আগে সবাই অপেক্ষা করছে৷ কিন্তু নেই সামাজিক দূরত্ব৷