থিম্পু শহরের গ্রেট বুদ্ধ
ভুটানের রাজধানী থিম্পুর শহরের পাশের কুয়েসেলফোদরং পাহাড়ে উপরে আছে বিশাল আকৃতির এক বুদ্ধ মূর্তি৷ থিম্পুর অন্যতম এই পর্যটন কেন্দ্রটি দেখুন ছবিঘরে৷
প্রতিষ্ঠা
ভুটানের চতুর্থ রাজা জিগমে সিঙ্গে ওয়াংচুকের ৬০তম জন্ম বার্ষিকী উদযাপনে উপলক্ষ্যে প্রতিষ্ঠা করা হয় গ্রেট বুদ্ধ৷ এর নাম বুদ্ধ দরদেনমা স্ট্যাচু বা গ্রেট বুদ্ধ দরদেনমা৷ ২০০৬ সালে এটি তৈরি শুরু হয়৷ ২০১০ সালে এর কাজ শেষ হবার কথা থাকলেও তা এখনো পুরোপুরি তা শেষ হয়নি৷
নির্মাণ খরচ
বুদ্ধ দরদেনমার নির্মাণে ভুটান সরকার ব্যয় করেছে প্রায় ৪৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার৷ আর চলামন এ প্রকল্পের সম্ভাব্য পুরো খরচ ধার্য করা হয়েছ ১০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার৷
সব জায়গা থেকেই দৃশ্যমান
থিম্পু শহরের প্রায় সব জায়গা থেকেই বুদ্ধ দরদেনমা মূর্তিটি দেখা যায়৷ ব্রোঞ্জের তৈরি উপবিষ্ট বুদ্ধের এ মূর্তিটি ১৬৯ ফুট উঁচু, যা ১৭ তলা ভবনের সমান৷
আকাবাঁকা পথ
থিম্পু শহর থেকে পাহাড়ের গা বেয়ে আকাবাঁকা একটি পথ চলে গেছে গ্রেট বুদ্ধ বা বুদ্ধ দরদেনমায়৷ এ পথে চলতে চলতে থিম্পু শহরের সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়৷
এক লক্ষ বুদ্ধ মূর্তি
গ্রেট বুদ্ধ যে ভবনের উপর বসানো আছে, তার ভেতরে বুদ্ধ দর্দেনমার অনুরূপ ১ লক্ষ ব্রোঞ্জের ছোট ছোট মূর্তি রাখা আছে৷ ছোট এই ব্রোঞ্জের মূর্তিগুলো আবার সোনার প্রলেপে মোড়ানো৷
দৃষ্টিনন্দ ভবন
বুদ্ধ দরদেনমা ভবনটি খুবই দৃষ্টিনন্দন৷ এর চার পাশে বাইরের দেয়াল সোনালি টাইলসে আবৃত৷ এর দেয়ালে আছে হাতি আর ঘোড়ার প্রতিকৃতি৷
ভাস্কর্য
বুদ্ধ দরদেনমা স্ট্যাচুর চারপাশের খোলা প্রান্তরে স্থাপন করা হয়েছে সোনালি রঙ্গের বেশ কিছু নারীর ভাস্কর্য৷ সবগুলো মূর্তিই বুদ্ধ দরদেনমামুখী করে স্থাপন করা৷
ভবনের ভেতর
বুদ্ধ দরদেনমা ভবনের ভেতরটাও বেশ সুন্দর৷ ভেতরের পুরোটাই সোনালি রঙের৷ এর ভেতরটা পর্যটকরা ঘুরে দেখতে পারেন৷
প্রধান বৌদ্ধ বিহার
বুদ্ধ দরদেনমা ভুটানের প্রধান বৌদ্ধ বিহার৷ এখানে প্রধান ভান্তের বাসভবন আছে৷