1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

থানায় ধর্ষণ

৭ আগস্ট ২০১৯

মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো এক তরুণী আদালতে ধর্ষণের অভিযোগ তোলার পর খুলনা রেলপুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ(ওসি) দুইজনকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

https://p.dw.com/p/3NVOJ
Symbolbild Protest gegen Vergewaltigung
ছবি: picture-alliance/Pacific Press/E. McGregor

‘ঘটনার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের' স্বার্থে বুধবার খুলনা জিআরপি (রেলওয়ে) থানার ওসি ওসমান গণি পাঠান এবং এএসআই নাজমুল হককে থানা থেকে প্রত্যাহার করে পাকশি জেলা রেলওয়ে পুলিশ লাইনে নেওয়া হয়েছে বলে কুষ্টিয়া রেলওয়ে সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার ফিরোজ আহমেদ জানিয়েছেন।

২১ বছর বয়সি ওই তরুণীর অভিযোগ, গত ২ আগস্ট সন্ধ্যায় তাকে খুলনা রেলস্টেশন থেকে আটক করা হয়। রাতে রেলওয়ে থানায় ওসি ওসমান গনি পাঠান, এসআই গৌতম কুমার পাল, এএসআই নাজমুল হক এবং কনস্টেবল মিজান ও হারুন তাকে ধর্ষণ করেন।

মাদক আইনের এক মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে গত ৩ আগস্ট ওই তরুণীকে খুলনার মহানগর হাকিম আতিকুস সামাদের আদালতে তোলে রেলওয়ে পুলিশ। সেখানেই মেয়েটি বিচারকের সামনে ধর্ষণের অভিযোগ তুলে ধরেন।

অভিযোগ শুনে বিচারক মেয়েটির স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানোর নির্দেশ দেন। সোমবার খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে৷

এ ঘটনা তদন্তে সহকারী পুলিশ সুপার ফিরোজের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে রেলওয়ে পুলিশ৷ কুষ্টিয়া রেলওয়ে সার্কেলের ডিআইও-১ পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) শ ম কামাল হোসেইন ও দর্শনা রেলওয়ে ইমিগ্রেশন ক্যাম্পের পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মো. বাহারুল ইসলামকে কমিটির সদস্য করা হয়েছে৷

ফিরোজ বলেন, ‘‘মঙ্গলবার থেকে তারা তদন্ত শুরু করেছেন। তাদের বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলা ও গাফিলতির প্রমাণ পাওয়া গেছে। ঘটনার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের স্বার্থে তাদের ক্লোজড করা হয়েছে। বাকি তিন পুলিশ সদস্যের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।”

তদন্ত কার্যক্রম শেষ না হওয়া পর্যন্ত ধর্ষণের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি। ঘটনাটি সরেজমিন অনুসন্ধান করে সুস্পষ্ট মতামতসহ বিস্তারিত প্রতিবেদন আগামী ৭ দিনের মধ্যে পাকশী রেলওয়ে জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নজরুল ইসলামের কাছে জমা দিতে হবে৷

বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার খুলনা জেলার সমন্বয়কারী অ্যাডভোকেট মোমিনুল ইসলাম জানান, ওই তরুণীকে তারা আইনি সহায়তা দেবেন এবং বিষয়টি খতিয়ে দেখতে তাদের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে।

ওই তরুণীর স্বজনেরা বলছেন, ২ অগাস্ট সন্ধ্যায় ওই তরুণী যশোর থেকে ট্রেনে করে খুলনায় পৌঁছান। স্টেশনে নামার পর রেল পুলিশের সদস্যরা তাকে সন্দেহভাজন হিসেবে আটক করে।

রাতে ওসিসহ পাঁচ পুলিশ সদস্য তাকে ধর্ষণের পর শনিবার পাঁচ বোতল ফেনসিডিলসহ গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাকে আদালতে তোলে। ঘটনা ধামাচাপা দিতে ওসি মোটা অংকের টাকা দেওয়ার প্রস্তাব করেছিলেন বলেও তাদের দাবি।

তবে ধর্ষণের অভিযোগ অস্বীকার করে ওসি ওসমান বলেছেন, ওই নারীকে মহিলা এসআই ও মহিলা কনস্টেবল পাঁচ বোতল ফেনসিডিলসহ আটক করে। রাতে তিন নারী পুলিশসহ আট পুলিশ সদস্য থানায় পাহারায় ছিল সেখানে তাকে ধর্ষণের কোনো সুযোগ নেই।

এসআই/কেএম (বিডিনউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য