1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বাংলাদেশি ‘ক্রীতদাস’ উদ্ধার

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা১৮ অক্টোবর ২০১৪

থাইল্যান্ডের একটি জঙ্গল থেকে থেকে ৮৯ জন বাংলাদেশিকে উদ্ধারের দাবি করেছে সেদেশের কর্তৃপক্ষ৷ তাদের ‘ক্রীতদাস’ হিসেবে বিক্রির জন্য সেখানে নেয়া হয়৷ এর আগে থাইল্যান্ডের সংবাদ মাধ্যমে ১৭৩ জন বাংলাদেশি নিখোঁজের খবর ছাপা হয়৷

https://p.dw.com/p/1DY5F
Jamaika Sklaven Illustration
প্রতীকী ছবিছবি: Getty Images

থাইল্যান্ডের উপকূলবর্তী একটি জঙ্গলে গত সোমবার ওই ৮৯ জন বাংলাদেশিকে পাওয়া যায়৷ উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিদের ক্রীতদাস হিসেবে বিক্রির জন্য অপহরণ এবং ভাল চাকরির লোভ দেখিয়ে বাংলাদেশ থেকে জাহাজে করে থাইল্যান্ডে নেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে৷

থাই পুলিশ শনিবার তাদের উদ্ধারের পর খোলামেলা একটি ঘরের মধ্যে রেখেছে৷ আবদুর রহিম নামের এক ব্যক্তি উদ্ধার হওয়ার পর গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তাদের জঙ্গলে নিয়ে আসার পর কোন খাবার দেয়া হয়নি৷ ১০ দিন ধরে তারা গাছের পাতা খেয়ে বেঁচে ছিলেন৷

তিন সন্তানের বাবা আবসার মিয়া জানিয়েছেন, বাড়ির জন্য তার মন কাঁদছে৷ তিনি স্বজনদের কাছে ফিরতে চান৷

থাই কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গত এক সপ্তাহে থাইল্যান্ডের পর্যটন কেন্দ্র ফুকেটের উত্তরে ফাঙ্গা দ্বীপ থেকে মোট ১৩০ জন বাংলাদেশিকে উদ্ধার করা হয়৷

এর আগে গত সপ্তাহে থাইল্যান্ডের সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবরে বলা হয়, বাংলাদেশ থেকে ইঞ্জিনচালিত একটি নৌকায় করে নেয়া মোট ৩১০ জন যাত্রীর মধ্যে ১৭৬ জন নিখোঁজ রয়েছেন৷ ১৩৪ জনকে আগেই উপকূল থেকে উদ্ধার করা হয়৷ তাদের মধ্যে ১৬ জন রোহিঙ্গা রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে৷ তবে শনিবার উদ্ধার করা ৮৯ জন আগে নিখোঁজ ১৭৬ জনের মধ্যে কেউ কি না তা নিশ্চিত করেনি থাই কর্তৃপক্ষ৷

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের একটি সরকারি প্রতিনিধি দল এখন থাইল্যান্ডে রয়েছেন৷ তারা উপকূল থেকে উদ্ধার হওয়া ১৩৪ জনের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করছেন৷ জিজ্ঞাসাবাদে দু'জন - যাদের মধ্যে একজন কিশোরও রয়েছেন - জনিয়েছেন যে তাদের বাংলাদেশ থেকে ‘অপহরণ' করে নেয়া হয়েছে৷ অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা তাদের অপহরণের পর প্রথমে মাছধরা জাহাজে আটকে রাখে পরে কক্সবাজার সমুদ্র বন্দর এলাকা থেকে থাইল্যান্ডের দক্ষিণাঞ্চল উপকূলের একটি দুর্গম দ্বীপের উদ্দেশে রওয়ানা হয়৷

উদ্ধারকৃতরা জানান, তাদের জঙ্গলে আটকে রেখে ব্যাপক মারধর ও নির্যাতন করা হয়েছে এবং ঠিক মতো খাবারও দেওয়া হয়নি৷

বাংলাদেশের এক কর্মকর্তা থাই গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, আমরা এ ধরনের ঘটনা আর কখনো ঘটতে দেখিনি৷ কারণ বাংলাদেশ থেকে সাধারণত পাচারের ঘটনা ঘটে না৷

উল্লেখ্য, মানব পাচার প্রতিরোধে থাইল্যান্ডের অবস্থা খুবই নাজুক৷ ২০১৪ সালে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট মানব পাচার ইনডেক্সে থাইল্যান্ডের অবস্থা আরো নামিয়ে টায়ার-৩ এ রেখেছে৷ আর এই ঘটনার মধ্য দিয়ে স্পষ্ট হয়েছে যে থাইল্যান্ডের দক্ষিণে মানব পাচার রুট পুরোপুরি খোলা রয়েছে এবং পাচারকারীরা সেখানে সক্রিয় আছেন৷