1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

থাইল্যান্ডে রাজকীয় সংস্কার কত দূরে?

৩১ জুলাই ২০২১

১৯৩২ সালে থাইল্যান্ডে রাজকীয় শাসনামল শেষ হয়৷ এরপর থেকে দেশটির রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার বাইরে থাকার কথা রাজা-রানির৷ কিন্তু এক্ষেত্রে প্রায় সময় ব্যতিক্রম দেখা যায়৷

https://p.dw.com/p/3yLZw
Thailand Proteste in Bangkok
ছবি: Jorge Silva/Reuters

১৯৩২ সালের পর থাইল্যান্ডে ১৩ বার সফল অভ্যুত্থানের ঘটনা ঘটেছে৷ প্রতিবারই দেশটির রাজা এতে সমর্থন দিয়েছেন৷

রাজার এই ক্ষমতা বাতিলসহ ১০ দফা দাবি জানিয়েছে গণতন্ত্রপন্থি আন্দোলনকারীরা৷ গতবছরের মাঝামাঝি থেকে এই আন্দোলন শুরু হয়৷ রাজকীয় ব্যবস্থায় আরও স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা আনা ছাড়াও দেশটির বর্তমান সরকারের পদত্যাগের দাবি জানিছেন আন্দোলনকারীরা৷ রাজার রাজনৈতিক ক্ষমতা কমানো ও রাজপরিবারের খরচ কমানোরও দাবি জানিয়েছেন তারা৷

থাইল্যান্ডে রাজপরিবারের সমালোচনা করার দায়ে সর্বোচ্চ ১৫ বছরের কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে৷ আর্টিকেল ১১২ আইন অনুযায়ী এই সাজা দেয়া যায়৷ গতবছর আন্দোলন শুরু হওয়ার পর এই আইনের আওতায় রাজপরিবারকে অবমাননা ও রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়৷ সম্প্রতি তাদের ১২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে৷ ২৫ বছর বয়সি ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষার্থী পাতসারাভালে তানাকিতভিবুলপন তাদের একজন৷ গতবছর গ্রেপ্তার হওয়ার পর ‘রাজপরিবারকে অসম্মান' না করার শর্তে তাকে জামিনে মুক্তি দেয়া হয়েছিল৷ ডয়চে ভেলেকে তিনি বলেন, ‘‘সরকার যদি আর্টিকেল ১১২ প্রয়োগ করে আমাদের নীরব রাখার চেষ্টা করে তাহলে আমরা বুঝতে পারি, আমরা শুধু রাজার প্রশংসা করতে পারব, কোনো প্রশ্ন করতে পারবনা৷’’

বুধবার থাই রাজা মাহা ওয়াচিরালংকনের জন্মদিন গেছে৷ সেদিন হলুদের পরিবর্তে কালো পোশাক পরতে সামাজিক মাধ্যমে প্রচারণা চালানো হয়েছিল৷

গণতন্ত্রপন্থি আন্দোলন আপাতত মিইয়ে গেলেও প্রকাশ্যে যে রাজপরিবারের সংস্কারের কথা তোলা গেছে সেটাকেই বড় অর্জন হিসেবে দেখছেন থাই শিক্ষাবিদ পাভিন চাচাভালপোঙপুন৷ তিনি রাজপরিবারের কট্টর সমালোচক৷ বর্তমানে জাপানে নির্বাসনে আছেন তিনি৷

হংকংয়ের সিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের থাই রাজনীতির গবেষক জমেস বুকাননও মনে করেন, রাজপরিবারের নিয়ে প্রকাশ্য আলোচনা ‘একটা বড় ঘটনা'৷ তিনি বলেন, ‘‘আন্দোলনের মূল সাফল্য হচ্ছে, প্রতিষ্ঠানের সমালোচনা করা নিয়ে থাকা ট্যাবু ভাঙা ও আর্টিকেল ১১২-র ভয় কাটানো৷’’

থাই শিক্ষাবিদ পাভিন মনে করেন, আন্দোলনকারীদের তাদের দাবি রাস্তা থেকে সংসদ পর্যন্ত নিয়ে যেতে হলে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সহযোগিতায় যেতে হবে৷ তবে বর্তমান রাজনৈতির প্রেক্ষাপটে এটা কঠিন বলেও মনে করেন তিনি৷ কারণ থাইল্যান্ডের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী প্রায়ত চান-ওচা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতায় গেছেন৷ রাজা ওয়াচিরালংকন এতে সমর্থন দিয়েছেন৷

তবে রাজপরিবারের সংস্কারের বিষয়টি যেহেতু এখন জনগণের মধ্যে আলোচিত হচ্ছে তাই সরকার বিষয়টি চেপে যেতে পারবেনা বলে মনে করেন ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষার্থী পাতসারাভালে৷

হং চিয়ু/জেডএইচ

গত বছরের ডিসেম্বরের ছবিঘর দেখুন....

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান