1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

থাইল্যান্ডে ‘দন্তহীন’ মানবাধিকার কমিশন চালু

২৩ অক্টোবর ২০০৯

থাইল্যান্ডে পনেরতম আসিয়ান শীর্ষ সম্মেলনের শুরুতেই শুক্রবার আসিয়ান আন্ত:সরকার মানবাধিকার কমিশন চালু করা হল৷ এবং এই কমিশনের কঠোর সমালোচনা করেছেন সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা৷ তাঁদের ভাষায়, এ কমিশন ‘দন্তহীন’ হয়ে থাকবে৷

https://p.dw.com/p/KDa6
থাইল্যান্ডে শুরু আসিয়ান সম্মেলনছবি: picture-alliance/ dpa

বড় রকমের এক বিতর্কের মধ্য দিয়ে শুরু হল এবারকার আসিয়ান সম্মেলন৷ জোটের নেতাদের সঙ্গে কথা বলার জন্য আসিয়ান সিভিল সোসাইটি যেসব প্রতিনিধি নির্বাচন করেছিল, ক্যাম্বোডিয়া, লাওস, মিয়ানমার, ফিলিপাইনস ও সিঙ্গাপুরের সরকাররা তাদের প্রত্যাখ্যান করে৷ মিয়ানমার তাঁদের জায়গায় সুশীল সমাজের প্রতিনিধিত্ব করার জন্য দুই প্রাক্তন পুলিশ প্রধানকে বেছে নেয় বলে প্রকাশ৷ প্রতিবাদে ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া ও থাই সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা নেতাদের সঙ্গে নির্ধারিত বৈঠক বর্জন করেন৷ একটি মানবাধিকার কমিশন চালু করার প্রথম দিনেই আসিয়ান দেশগুলোর সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে এহেন আচরণে ক্ষুব্ধ মানবাধিকারকর্মীরা৷ তাঁদের আশঙ্কা, আসিয়ান সদস্য দেশ মিয়ানমারের মত মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী দেশগুলোকে ঠেকাতে এই কমিশন তেমন কিছু ভূমিকা রাখতে পারবে না৷

থাই প্রধানমন্ত্রী আভিসিত ভেজ্জাজিভা যখন তাঁর উদ্বোধনী ভাষণে নতুন কমিশনকে সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের এক নিশ্চিত আলোচনা সহযোগী বলে অভিহিত করলেন, তখন তা স্পষ্টতই শুন্যগর্ভ শুনিয়েছে মানবাধিকারকর্মীদের কাছে৷ প্রধানমন্ত্রী আভিসিত ব্যাংকক থেকে ১৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিমে অবস্থিত ছাআম শহরে তিন দিনের আসিয়ান শীর্ষ সম্মেলনের উদ্বোধন করলেন শুক্রবার৷ ডাক দিলেন আরও বেশি গতিময় এক আসিয়ান গড়ে তোলার৷

গত এপ্রিল মাসে প্রচন্ড বিক্ষোভের মুখে থাইল্যান্ডের সৈকত শহর পাতায়াতে স্থগিত হয়ে যায় আসিয়ান সম্মেলন৷ সেই সম্মেলনটিই আবার শুরু হল শুক্রবার৷ এর জন্য গড়ে তোলা হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা বলয়৷ সেখানে নিয়োগ করা হয়েছে নিরাপত্তা বাহিনীর ১৮ হাজার সদস্যকে৷ শহরের প্রতিটি রাস্তায় টহল দিয়ে বেড়াচ্ছে সুসজ্জিত সমর যান৷

বৃহস্পতিবার আসিয়ানের সমন্বয় পরিষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়৷ ১৫ তম এই সম্মেলনের বিভিন্ন খুঁটিনাটি বিষয় নিয়ে আলোচিত হয় সেখানে৷

বার্তা সংস্থা এএফপি বলছে, আসিয়ানের এ সম্মেলনে সবচেয়ে গুরুত্ব সহকারে আলোচিত হবে দুটি বিষয৷ এক, অর্থনৈতিক মন্দার হাত থেকে এই জোটকে যত শিগগির সম্ভব উদ্ধার করা এবং দুই, জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতি মোকাবিলার পথগুলো প্রশস্ত করা৷

আসিয়ান জোটের সদস্য দেশগুলো অর্থাৎ থাইল্যান্ড, ব্রুনেই, ক্যাম্বোডিয়া, ইন্দোনেশিয়া, লাওস, মালয়েশিয়া, মিয়ানমার, ফিলিপিন্স, সিঙ্গাপুর এবং ভিয়েতনাম এবারের এই সম্মেলনে চীন, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, ভারত, অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করবেন নানা খাতের সহযোগিতা বিষয়ে৷ আসিয়ানের সদস্য দেশগুলোর ইচ্ছা, ২০১৫ সালের মধ্যে নিজেদেরকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের আদলে নিয়ে আসা৷ আর তাই তারা চাইছে ভারত এবং চীনের মত দেশের সহযোগিতা৷

সম্মেলন চলবে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত৷

প্রতিবেদক: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক

সম্পাদনা: আবদুস সাত্তার