1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
ব্যবসা-বাণিজ্যইউরোপ

পোশাক রপ্তানিতে সুদিন আসছে

২২ জুলাই ২০২০

বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতের জন্য সামনে বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে৷ পণ্যে বৈচিত্র্য এনে নতুন বাজার ধরতে পারলে আগামী বছর থেকেই এই খাত ঘুরে দাঁড়াবে৷

https://p.dw.com/p/3fht3
বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতের জন্য সামনে বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে৷ পণ্যে বৈচিত্র্য এনে নতুন বাজার ধরতে পারলে আগামী বছর থেকেই এই খাত ঘুরে দাঁড়াবে৷
ছবি: DW/A. Islam

জার্মানির বার্লিনে ডয়চে ভেলের স্টুডিওতে আয়োজিত ‘খালেদ মুহিউদ্দীন জানতে চায়’ টকশোতে এমন আশা ব্যক্ত করেছেন আলোচকরা৷

করোনার কারণে দেশের রপ্তানির সবচেয়ে বড় খাতটি বিপাকে পড়েছিল৷ পোশাক কারখানার উদ্যোক্তা ও রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমই এর হিসাবে, তিন শতাধিক ক্রেতা প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৩১৫ কোটি ডলারের রপ্তানি আদেশ স্থগিত হয়েছিল৷ সদ্য সমাপ্ত ২০১৯-২০ অর্থবছরে রপ্তানি নেমে এসেছে দুই হাজার ৭৯৫ কোটি ডলারে, যা তার আগের বছরের চেয়ে ৬১৮ কোটি ডলার কম৷

তবে এই পরিস্থিতি ধীরে ধীরে কাটতে শুরু করেছে৷ নতুন অর্ডার পাচ্ছে কারখানাগুলো৷ ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই-এর সাবেক সভাপতি একে আজাদ বলেন, ‘‘এখন আমরা আবার ঘুরে দাঁড়িয়েছি৷ প্রায় প্রত্যেকটা কারখানায় ৭০ ভাগ বুকিং আছে৷ ছোট ছোট কিছু কারখানা এখনও একটু সমস্যায় আছে৷ সেপ্টেম্বর, অক্টোবরে এই পরিস্থিতি ৯০ ভাগ ভালো হয়ে যাবে৷’’ তার প্রত্যাশা, করোনার ভ্যাকসিন যদি চলে আসে ২০২১-এ রপ্তানি ২০ ভাগ বাড়বে৷

বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানির সবচেয়ে বড় বাজার ইউরোপ৷ আলোচনায় অংশ নিয়ে চেক প্রজাতন্ত্র প্রবাসী ব্যবসায়ী আবুল বাশার লিটন বলেন,  এখানকার অনেক দেশেই রপ্তানি আরো বাড়ানোর সুযোগ আছে৷ এক্ষেত্রে চেক প্রজাতন্ত্রসহ আশেপাশে নতুন বাজার খোঁজার উপরও জোর দেন তিনি৷

তবে এরইমধ্যে ইউরোপে সরকার নতুন বাজার খুঁজতে কাজ শুরু করেছে বলে জানান জার্মানির এনআরভে রাজ্যের অনারারি কনসাল জেনারেল হাসনাত মিয়া৷ বলেন, বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানির ৩০ ভাগেরই গন্তব্য জার্মানি৷ যেটা প্রায় ৫০৯ কোটি ডলার৷ জুন পর্যন্ত ২১ দিনে শুধু জার্মানিতে ১৮০ কোটি ডলার রপ্তানি হয়েছে৷তিনি বলেন, ইউরোপের পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে, এক্ষেত্রে বাংলাদেশ যাতে কোনোভাবে বাজার না হারায় সেজন্য কাজ করতে হবে৷ 

রপ্তানির ক্ষেত্রে দামের বিষয়টিও আলোচনায় উঠে আসে৷ কারখানা মালিকরা অনেক সময় অভিযোগ করেন, ক্রেতাদের কাছ থেকে তারা ন্যায্য দাম পান না৷ জার্মান প্রবাসী ব্যবসায়ী জাহিদ ঠাকুর মনে করেন, এজন্য রপ্তানিকারকদেরও দায় রয়েছে৷ নিজেদের মধ্যে ক্রেতা ধরার প্রতিযোগিতার কারণেই তারা যথাযথ দাম পাচ্ছেন না৷ এই বিষয়ে বিজিএমইকে মনযোগী হওয়ার পরামর্শ তার৷ 

তবে এ কে আজাদ বিষয়টিকে বড় করে দেখেন না৷ তিনি মনে করেন, বাংলাদেশের একমাত্র সুবিধা সস্তা শ্রম এবং পণ্যের কম দাম, যা না থাকলে অবকাঠামোগত কারণে বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাকের বাজার অন্য দেশে চলে যাবে৷

চট্টগ্রাম থেকে আলোচনায় অংশ নেন সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী৷ তিনি অভিযোগ করে বলেন, করোনার সময়ে তৈরি পোশাক খাতে খুবই নগণ্য প্রণোদনা দিয়েছে সরকার৷ এক্ষেত্রে ঋণকে প্রণোদনা বলাও ঠিক হচ্ছে না৷ আবার আওয়ামী লীগের না হলে কোনো ব্যবসায়ী ঋণ পান না বলেও দাবি এই রাজনীতিবিদের৷ ‘‘রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা, দলীয় পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়া বাংলাদেশে এখন ব্যবসা করা খুবই কঠিন,’’ বলেন তিনি৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য