1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

তেলের দামের রেকর্ড বৃদ্ধিতে বিপাকে বাংলাদেশের মানুষ

৬ আগস্ট ২০২২

বিশ্ববাজারে মূল্যবৃদ্ধির কারণ দেখিয়ে একলাফে জ্বালানি তেলের দাম প্রায় ৫০ শতাংশ বাড়িয়েছে বাংলাদেশের সরকার৷ তবে আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম গত সপ্তাহে একশো ডলারের নীচে নেমে এসেছে৷

https://p.dw.com/p/4FCy4
গত নভেম্বরে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার পর ধর্মঘট ডাকে পরিবহণ সংগঠন৷ বিপাকে পড়েন সাধারণ মানুষ
গত নভেম্বরে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার পর ধর্মঘট ডাকে পরিবহণ সংগঠন৷ বিপাকে পড়েন সাধারণ মানুষছবি: Habibur Rahman/ABACA/picture alliance

বাংলাদেশে ডিজেল ও কেরোসিনের দামরাতারাতি ৪২ দশমিক পাঁচ শতাংশ বাড়িয়ে প্রতি লিটার ১১৪ টাকা করা হয়েছে৷ পেট্রোলের দাম ৫১ দশমিক এক ছয় শতাংশ বেড়ে প্রতি লিটার ১৩০ টাকা হয়েছে৷ অকটেনের দাম বেড়েছে ৫১ দশমিক ছয়-আট শতাংশ৷ প্রতি লিটারে যার দাম পড়বে ১৩৫ টাকা৷ এর আগে বাংলাদেশে জ্বালানি তেলের দাম একবারে কখনোই এতটা বাড়ানো হয়নি৷

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের মূল্যবৃদ্ধির ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের মূল্যের ঊর্ধ্বগতির সঙ্গে সমন্বয়, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের লোকসান কমানো ও পাচার ঠেকাতে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে৷

ডিজেলের দাম বৃদ্ধির সরাসরি প্রভাব পড়ছে বাস, ট্রাক, ভ্যানের ভাড়ায়৷ লঞ্চসহ নৌযানের ভাড়াও বাড়বে৷ সবমিলিয়ে পরোক্ষ প্রভাব পড়তে চলেছে একাধিক খাতে৷ যে সব পণ্য পরিবহণের মাধ্যমে বাজারে আসে, সেগুলিরও দাম বাড়বে৷ ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম আরো বাড়বে৷

শনিবার বাসের ভাড়া সমন্বয় করতে বিআরটিএর সঙ্গে পরিবহণ মালিকদের বৈঠকে বসার কথা রয়েছে৷ যদিও যাত্রী কল্যাণ সমিতি তেলের বাড়তি দাম প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছে৷

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বিআরটিসির চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ‘‘নতুন করে সিদ্ধান্ত আসার আগ পর্যন্ত আমরা আমাদের বাস চালাব৷ কোনো বাস বন্ধ থাকবে না৷''

প্রায় শতভাগ জ্বালানি তেল আমদানি করা বাংলাদেশেরপরিবহণ খাতের ৯০ শতাংশ এবং বিদ্যুৎ উৎপাদনের ৩৪ শতাংশ তেল নির্ভর৷ দেশে ব্যবহৃত তেলের ৭০ শতাংশের বেশি ডিজেল৷ শুক্রবার সকালেই বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছিলেন, বিশ্ববাজারে দাম বেড়ে যাওয়ায় জ্বালানি ও বিদ্যুতের দামের সমন্বয় করতে হবে৷ এরপর রাতেই দাম বৃদ্ধির খবর আসে৷

২০২১ সালের ৩ নভেম্বরে সবশেষ জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছিল বাংলাদেশে৷ ফের জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় জনসাধারণের নাভিশ্বাস উঠতে শুরু করেছে এরিমধ্যেই৷ গণমাধ্যমে তেলের দাম বাড়ার খবর আসার পরই ভিড় জমতে শুরু করেছিল রাজধানীর ফিলিং স্টেশনগুলিতে৷ ব্যক্তিগত গাড়ি সিএনজিতে চলার সুযোগ থাকলেও মোটর সাইকেল চালাতে অকটেন বা পেট্রোল লাগে৷

জ্বালানির দাম বাড়ানোর পর শনিবার সকাল থেকেই ঢাকার সড়কে গণপরিবহণ সংখ্যা কমে গেছে৷ রামপুরা, মৌচাক, মালিবাগ, কাকরাইল মোড়ে গণপরিবহনের জন্য মানুষের জটলা ছিল৷

এদিকে বাংলাদেশ এমন একসময়জ্বালানি তেলের দামবাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে যখন বিশ্ববাজারে পণ্যটির দাম কমে ১০০ ডলারের নীচে এসেছে৷ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের তথ্য অনুযায়ী বৃহস্পতিবার ব্রেন্ট ক্রুডের ভবিষ্যৎ দাম ছিল ৯৪.১২ ডলার এবং ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের দাম কমে এসেছে ৮৮.৫৪ ডলারে, যা গত ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়ার ইউক্রেন হামলার পর সর্বনিম্ন৷ ব্লুমবার্গের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এপ্রিলের পর জ্বালানি তেলের সাপ্তাহিক দামে সবচেয়ে বেশি পতন হয়েছে গত সপ্তাহে৷

আরকেসি/এফএস (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম, রয়টার্স)