তেল রচনা
বিশ্বে সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হওয়া ভোজ্য তেল হচ্ছে পাম তেল৷ এরপরেই আছে সয়াবিন, রাইসরিষা ও সূর্যমুখী তেল৷
পাম তেল
বিশ্বের সবচেয়ে বেশি উৎপাদিত, ব্যবহৃত ও বিকিকিনি হওয়া তেল এটি৷ পাম, সয়াবিন, রাইসরিষা ও সূর্যমুখী - বিশ্বের সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হওয়া এই চার ভোজ্য তেলের মোট সরবরাহের ৪০ শতাংশই হচ্ছে পাম তেল৷ যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগ ইউএসডিএর হিসেবে এ বছর সাত কোটি ৭০ লাখ টন পাম তেল উৎপাদিত হওয়ার কথা৷
পামের রাজা ইন্দোনেশিয়া
বিশ্বে পাম তেলের সবচেয়ে বড় উৎপাদক ইন্দোনেশিয়া৷ এই তেলের সবচেয়ে বড় রপ্তানিকারক ও ব্যবহারকারীও তারা৷ বিশ্বের মোট পাম তেলের ৬০ শতাংশ সরবরাহ আসে ইন্দোনেশিয়া থেকে৷ এরপরে আছে মালয়েশিয়া (২৫ শতাংশ)৷
পামের ক্রেতা ভারত
ভারতে মোট ভেজিটেবল তেল ব্যবহারের ৪০ শতাংশ হচ্ছে পাম তেল৷ দেশটি বিশ্বে এই তেলের সবচেয়ে বড় আমদানিকারক৷ এছাড়া চীন, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, মিশর ও কেনিয়াও এই তেলের বড় ক্রেতা৷
সয়াবিন তেল
ভোজ্য তেল উৎপাদিত হওয়ার তালিকায় পামের পরেই আছে সয়াবিন তেল৷ যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগের হিসেবে এ বছর পাঁচ কোটি ৯০ লাখ টন সয়াবিন তেল উৎপাদিত হওয়ার কথা৷
সয়াবিন বিক্রেতা আর্জেন্টিনা
সয়াবিন তেল সবচেয়ে বেশি উৎপাদন করে চীন (এক কোটি ৬০ লাখ টন)৷ তারপরে আছে যুক্তরাষ্ট্র (এক কোটি ২০ লাখ টন), ব্রাজিল (৯০ লাখ টন) ও আর্জেন্টিনা (৮০ লাখ টন)৷ তবে এই তেলের সবচেয়ে বড় রপ্তানিকারক আর্জেন্টিনা৷ তারপর ব্রাজিল ও যুক্তরাষ্ট্র৷ আর পামের মতো ভারতও সয়াবিন তেলের সবচেয়ে বড় ক্রেতা৷
রাইসরিষা
মূলত ইউরোপ, ক্যানাডা ও চীনে এই তেল উৎপাদন হয়৷ এ বছর দুই কোটি ৯০ লাখ টন তেল উৎপাদিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে৷ চীন ও যুক্তরাষ্ট্র এই তেল সবচেয়ে বড় আমদানিকারক৷
সূর্যমুখী তেল
রাশিয়া ও ইউক্রেনে বিশ্বের ৫৫ শতাংশ সূর্যমুখী তেল উৎপাদিত হয়৷ আর মোট রপ্তানির ৭৬ শতাংশ করে এই দুটি দেশ৷ চীন, ভারত ও ইউরোপ এই তেলের প্রধান আমদানিকারক৷ ভারতের আমদানি করা সূর্যমুখী তেলের ৯০ শতাংশ আসে ইউক্রেন ও রাশিয়া থেকে৷