1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

তুরস্ক প্রশ্নে ডিডাব্লিউ-র পাশে জার্মান সরকার

নাইন ভ্যের্কহাউসার/ এআই৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬

ডয়চে ভেলের নেয়া তুরস্কের যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী আকিফ চায়াতাই কেলেচের সাক্ষাৎকারের ভিডিও বাজেয়াপ্ত করার সমালোচনা করেছেন জার্মান কূটনীতিকরা৷ গণমাধ্যম এবং সংস্কৃতি বিষয়ক কমিশনার মনিকা গ্যুর্টনার এ বিষয়ে কড়া মন্তব্য করেছেন৷

https://p.dw.com/p/1JyMp
DW Conflict Zone Türkei
ছবি: DW/M. Martin

ডয়চে ভেলের নেয়া ভিডিও সাক্ষাৎকার বাজেয়াপ্ত করায় তুরস্কের যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রণালয়ের কড়া সমালোচনা করেছেন মনিক গ্যুর্টনার৷ বুধবার জার্মানির বুন্ডেসটাগে এ বিষয়ে তিনি বক্তব্য রাখলে তা ব্যাপক প্রশংসা কুড়ায়৷ গ্যুর্টনার বলেন, ‘‘একজন মন্ত্রীর টেলিভিশন সাক্ষাৎকার নেয়ার পর সেই ফুটেজ জোর করে নিয়ে যাওয়া, তুরস্কে যা গতকাল (সোমবার) ঘটেছে, তা কোনোভাবেই আমাদের বাকস্বাধীনতার সজ্ঞার মধ্যে পড়ে না৷ এটা অত্যন্ত উদ্বেগজনক৷'' সংসদে বাজেট বিষয়ক অধিবেশন চলাকালে এ কথা বলেন তিনি৷

ডয়চে ভেলের টক শো ‘কনফ্লিক্ট জোন'-এর জন্য তুরস্কের যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী আকিফ চায়াতাই কেলেচের সাক্ষাৎকার নিচ্ছিলেন মিশায়েল ফ্রিডমান৷ আঙ্কারায় সাক্ষাৎকারের এক পর্যায়ে তুরস্কের সাম্প্রতিক ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থান এবং পরবর্তী ঘটনাবলীর প্রসঙ্গ উঠে আসে৷ সাক্ষাৎকার শেষে কেলেচের মুখপাত্র ভিডিও সাক্ষাৎকারটি প্রচারে ডয়চে ভেলেকে নিষেধ করে৷ কিন্তু তাতে রাজি না হওয়ায় মন্ত্রণালয়ের কর্মীরা ফুটেজ বাজেয়াপ্ত করে৷

ডয়চে ভেলে এই ঘটনা জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়কে জানালে তুরস্কে নিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূত মার্টন এর্ডমান তুরস্কের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করেন৷ আলোচনায় তিনি জার্মানি যে বাকস্বাধীনতাকে বিশেষ গুরুত্ব দেয় সে কথা জানিয়েছেন বলে ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মার্টিন শ্যেফার৷

Deutschland Kulturstaatsministerin Monika Grütters und DW Intendant Peter Limburg
গণমাধ্যম এবং সংস্কৃতি বিষয়ক কমিশনার মনিকা গ্যুর্টনারের সাথে ডয়চে ভেলের মহাপরিচালক পেটার লিমবুর্গছবি: DW/A. Wisskirchen

এটা ছিল ‘‘একটি প্রগাঢ় কিন্তু ভালো এবং গঠনমূলক আলোচনা, যেখানে উভয়পক্ষ আশা প্রকাশ করেছে যে, মন্ত্রণালয়ের ঘটনায় তুরস্ক এবং জার্মানির সম্পর্ক আরো খারাপের দিকে যাবে না'', বলেন শ্যেফার৷ প্রসঙ্গত, সম্প্রতি জার্মানির বুন্ডেসটাগে আর্মেনীয়দের হত্যালীলাকে গণহত্যা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ায় এবং তুরস্কে ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থান পরবর্তী রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে জার্মানির সঙ্গে সেদেশের সম্পর্কে ফাটল ধরে৷

শ্যেফার জানিয়েছেন, তুরস্কের কর্মকর্তারা ফুটেজ নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেনি, তবে তারা সেটিকে ‘বাজেয়াপ্ত' করা মনে করছে না৷ তিনি জানান, শর্তহীনভাবে ফুটেজ ফেরত দেয়ার ডয়চে ভেলের দাবিকে সমর্থন দিয়েছে জার্মানির কেন্দ্রীয় সরকার, কেননা, ‘‘আমাদের কাছে বাকস্বাধীনতা কোনোভাবেই আপোষযোগ্য নয়৷''

আপনার কি কিছু বলার আছে? লিখুন নীচে, মন্তব্যের ঘরে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য